পড়াশোনা করার জন্য বাসায় নানান জনে নানান ভাবে উপদেশ আদেশ কিংবা মারধর করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে অনেকেই না বুঝে সন্তানদের উপর অনেক ধরনের অস্বাভাবিক নীতি জুড়ে দেন। এর থেকে রেহাই পেতে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে দিব্যি উসৃংখ্যল জীবন বেছে নিচ্ছে। এর জন্য যারা এসব দেখাশোনা করবেন তাঁদের জানা উচিৎ সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা আসলেই কী? কিভাবে পড়াশোনা করা উচিৎ সেটা আগে তাঁদেরই বুঝে নেওয়া দরকার।
পড়াশোনা করার সঠিক পদ্ধতি জানুন
সন্তানের পড়াশোনা দেখভালের আগে নিজে জানুন কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে হয়। নিজেদের সময় কী করেছেন সেসব না ভেবে বর্তমান সময়ে কিভাবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানো যায় তার দিকে মনোযোগ দিন। ধরুন আপনার সময়ে মোবাইল ফোনই ছিলো না তাই বলে এখন আপনার সন্তান মোবাইল ফোনে তার কোন বন্ধুর সাথে কথা বললে আপনি তাকে বকাঝকা করে দিলেন, বিষয়টা মোটেও যৌক্তিক নয়। তবে এখন অনেক শিক্ষার্থীই মোবাইলে নানান ধরনের অপরাধ কার্যক্রম নিয়ে আলাপ করে, সেদিকে দৃষ্টি অবশ্যই রাখবেন। মূল কথা হচ্ছে পড়াশোনা করার সঠিক পদ্ধতি জানুন।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
কিভাবে হোমওয়ার্ক করবে, কিভাবে গ্রুপ প্র্যাক্টিস করবে এর সব কিছুই আপনাকে আগে থেকে ধারনা নিতে হবে। শিক্ষার্থীর সাথে যে কোন বিষয়ে চ্যালেঞ্জ নেয়ার আগে নিজে সেই বিষয়টি জেনে নেওয়া খুবই দরকারী।
যেকোন ভাবেই পড়াশোনা হতে পারে
কখনো তর্কাতর্কীতে জড়াবেন না, পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রাধান্য দিন
অনেকেই হয়ত মনে করেন আপনার পড়াশোনার পদ্ধতিই হয়ত সঠিক, অন্যেরটা সঠিক নয়। তাই এ নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হতে পারে। নিজেকে নিয়ন্ত্রন করুন, নিজের সব কিছু সঠিক হলেও অন্যের সব কিছু বেঠিক তা বলা যায় না। দৃষ্টিভংগী বদলানো উচিৎ। শিক্ষার্থীর চিন্তা চেতনা এসব গুরুত্বের সাথে নিন। যে পদ্ধতিতে সে পড়তে চায় তাকে সে পদ্ধতিতে পড়তে দিন। নিজের জন্য সে যেভাবে চায় সেভাবেই পড়ুক। তবে পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল করার কথা তাকে জানিয়ে দিন। ছোট বাচ্চাদের বেলায় তর্কাতর্কীর প্রভাব খুবই খারাপ।
পড়াশোনার জন্য সঠিক কোন পদ্ধতি কোথায় পাবেন?
বাংলা একটা রচনা শেখার জন্য সেই রচনা কোথাও না কোথাও থেকে পড়ে ফেলা যায়। সঠিক রচনা শেখার রীতি কে জানে? কোন একটা গাইড বই পড়ে রচনা লিখে আসলেই যে তা সঠিক সেকথা বলার কোন অবকাশ নেই। রচনা শেখার জন্য প্র্যাক্টিস লাগে, তথ্য লাগে, লিখতে জানতে হয়। শব্দ শিখতে হয়। অনেক লম্বা একটা প্রক্রিয়ার পর ভাল একটা রচনা লিখতে পারা যায়। এইভাবে শিখলে একটি রচনা হবে সবার থেকে আলাদা। নিজস্বতা থাকবে এবং এটাই হচ্ছে রচনা লেখার মূল উদ্দেশ্য। আমাদের সিলেবাসে রচনা এজন্যই এসেছে।
কিন্তু সবাই কিভাবে শিখছে? একটা গাইড বই কিনে সেখানে বিষয়ের উপরে অনুর্ভর কিছু পন্ডিতের অনুর্ভর কিছু লেখা চিৎকার দিয়ে মুখস্ত করে সেটাই লিখে দিয়ে আসছে। এটা রচনা শিক্ষা হলো না। অনেক শিক্ষকও এর পেছনের বিষয়টা ভাবেন না। শিক্ষার্থীর মনের ভেতর কোন ক্রিয়েটিভ দৃষ্টান্ত স্থাপনের পরিবর্তে যখন বাংলার শিক্ষকও প্রাইভেট পড়ানোয় মনোযোগ দেন তখন আর সঠিক পদ্ধতির কথা বলে কী লাভ? কিন্তু আপনি আপনার সন্তানের জন্য কিংবা নিজের শিক্ষা লাভের জন্য এর ভেতরে প্রবেশ করা উচিৎ। কোথাও না পেলে বিভিন্ন বই পুস্তক ঘেঁটে নিজেকে জানানো উচিৎ।