কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, এমন চিন্তা করেন সেই মানুষের সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়। এই পৃথিবীতে সব মানুষই টাকা চায়। সেই টাকা কারো হয়ত কম কিংবা কারো বেশি। টাকা আয় করার জন্য সবাই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেক পাগলও জানে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়। তাই বাড়তি টাকা আয় করতে সবাই চেষ্টা করেন। অনেকেই তো আবার এত টাকা আয় করেন যে তাঁর কয়েক জীবন এমনিতেই কেটে যাবে, তাও আবার তিনি ভাবতে বসেন কিভাবে আরো টাকা ইনকাম করা যায়? সাধারণ কিছু মানুষও ভাবে, কিভাবে বাড়তি আয়ের উপায় বের করা যায়? আপনিও নিশ্চয়ই বলছেন, হ্যাঁ আমিও টাকা আয় করতে চাই? কে না চায় চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় বের করতে? আসুন দেখি কয়টি পথে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

টাকা আয় করার পদ্ধতি জানেন তো?

টাকা আয় করা নিয়ে সবাই সবাই কিন্তু ব্যস্ত। অথচ বেশিরভাগ মানুষই টাকা আয়ের পদ্ধতি জানেন না। তার দৃষ্টান্ত আমরা পাই পরিসংখ্যান দেখে যে সারাবিশ্বে কত মানুষই গরীব, নিম্ন আয়ের। যারা ধনী তাদের টাকা আয় করার পদ্ধতি দেখেছেন? তারা কীভাবে আয় করে? এখানেই রয়েছে সত্যি একটা গোপন রহস্য। টাকা আয় করার পদ্ধতি জানা থাকলে আর পেছনের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় না।

কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান

লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন

বেশিরভাগ মানুষই জানেন, চাকরি করে টাকা আয় করা যায়। অনেকেই আবার বাড়তি আয়ের জন্য নানান অবৈধ পন্থা নিয়ে ভাবেন। কিন্তু এই বিশ্বে টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই কিছু নীয়ম আর পন্থা আছে। সেদিকে নজর দিলে টাকা আয় করার জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। টাকা আয়ের কয়েকটি চিরাচরিত বৈধ পদ্ধতি বা টাকা আয়ের উপায় হলো- ব্যবসা, চাকরি, উৎপাদন, চিকিৎসা, শিক্ষাদান, পরামর্শ, সেবা। এর মধ্যে অনেক কিছুই পড়ে। এর বাইরেও কিছু আছে যেমন মিডিয়া বা বিজ্ঞাপন কিংবা দালালি, কন্ট্রাক আরো অনেক। এসব করে টাকা আয় করা অনেকেই জানে। কিন্তু আজকাল এসবে আর মানুষের সন্তুষ্টি কোথায় হচ্ছে? টাকা সবারই আরো অনেক বেশি পরিমানে দরকার। সবার দরকার একেবারে শীর্ষে পৌঁছানো। সেই পর্যন্ত যেতে হলেও আলাদা পদ্ধতি আছে। খুঁজে বের করুন, শীর্ষ ধনী হবার সঠিক পদ্ধতি।

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়

টাকা আয়ের জন্য অনেক কিছু জানলেন, এবার আসুন জানি কিভাবে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় বের করা যায়? এটা সত্যিই তেমন কঠিন কিছু না। আপনি যদি নিশ্চিত হন যে চাকরির পাশাপাশি আপনি কিছু বাড়তি টাকা আয় করবেন তাহলে জেনে নিন কয়েকটি সহজ পদ্ধতি। পদ্ধতি যত সহজ তত বেশি প্রতিযোগীতা বাড়ে। তবু দেখুন কাজগুলো আপনি পারেন কি না-

১। কনসালটেন্সি বা পরামর্শদাতাঃ আজকাল কোন কিছুই আর ফ্রী তে নেই। পরামর্শ এখন কেনা বেচা করা যায়। যে কাজে আপনি বেশি পারদর্শী তা দিয়ে শুরু করুন পরামর্শদান। যদি কোন অফিস নিতে না পারেন তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিখে বা বিজ্ঞাপন দিয়েও পরামর্শ দেয়া শুরু করতে পারেন। প্রথম দিকে অল্প আয় হলেও একসময় এই আয় বাড়বে। আপনি নিজেও একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য আমি পরামর্শ দেব সবসময় ওয়েব এ গিয়ে জানুন- কত কম খরচে আপনি একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট পেতে পারেন।

২। পন্য, সেবা বা পরামর্শ অথবা অন্য যেকোন সম্পদের বেচাকেনায় সাহায্য করুনঃ আপনার কোন ব্যবসা নাও থাকতে পারে। তাতে তেমন কোন ক্ষতি নেই। আপনি অন্যের পন্য সামগ্রী বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন। কারো জমি কিংবা সম্পদের বেচাকেনা করিয়ে দিতে পারেন। তাতেও আপনার একটি নির্দিষ্ট আয় আরম্ভ হবে। টাকা আয় করার ক্ষেত্রে টাকার পরিমান কম বেশি এসব দেখা সব সময় ঠিক নয়। কাজ করাটাই আসল।

৩। আপনার পছন্দের একটি কাজ শিখুন এবং তা দ্বিতীয় ইনকাম এর জন্য কাজে লাগানঃ আপনি পছন্দ করেন এমন একটি কাজ শিখে নিন। যেকোন কাজই শেখা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন যে কাজটি শিখছেন তাতে আপনার কত সময় লাগতে পারে? বেশি সময় লাগলে আপনার তাতে কোন ধৈর্য্যচুতি আবার না হয় যেন। ফটোগ্রাফী, ফ্রীল্যান্সিং, ডাটা এন্ট্রি, ফটো এডিটিং এমন অনেক কাজ আছে যা আপনি চাইলেই কয়েক মাসে শিখে নিতে পারেন। এসব কাজ থেকে খুব দ্রুত আয়ও করতে পারেন।

ফটোগ্রাফী করে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারেন
ফটোগ্রাফী করে আয় করা

৪। সরবরাহ কাজে সাহায্য করে টাকা আয় করুনঃ আজকাল অনেক ব্যবসায়ী পন্য সরবরাহ করতে গিয়ে অনেক হিমসিম খান। এসব ক্ষেত্রে আপনি যদি জানেন কোন পন্যের সরবরাহ খুব সহজে আর সবচেয়ে কম মূল্যে তাহলে যেকোন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে নিয়ে নিন আপনার পরামর্শ ফী। এভাবে বিভিন্ন ধরনের পন্য সরবরাহ কাজে আপনি সাহায্য করতে পারেন। এভাবেও মাসিক একটা আয় বের করা যায়। অনেকেই মিডিয়া হিসেবেও কাজটা করে থাকেন।

৫। বই লিখে ফেলুন, ইবুক লিখে তা থেকে আয় করুনঃ বই লেখার কথা উঠে আসলেই অনেকে ভাবেন, আরে আমি কী লেখক নাকি? দেখুন ভাল লেখক না হলেও এমন কিছু বই লেখা সম্ভব যার থেকে আপনি অনেক আয় করতে পারেন। হতে পারে আপনি কোন একটি নতুন কৃষি উদ্ভাবন করেছেন যা চাইলেই একটি ইবুক লিখে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে তা বিক্রি করতে পারেন। এমন অনেক ইবুক সেলিং সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার বই নিজেই লিখে কভার ডিজাইন করে তা পাবলিশ করতে পারেন। অ্যামাজন সেলফ পাবলিশিং তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও বাংলায় লিখলে আপনি এখানে ট্রাই করে দেখতে পারেন। https://hs-bd.com/

বই লিখে আয় করুন, ইবুক হতে পারে অন্যতম উপায়
বই লিখে আয় করুন, ইবুক হতে পারে অন্যতম উপায়

৬। ব্লগ লিখে আয় করুনঃ ব্লগ লেখা অনেক পুরনো ধারনা। কিন্তু এখনো এর থেকে আয় করা সম্ভব। এজন্য আপনি একটি খ্যাতিমান ওয়েবসাইট নির্বাচন করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন সাইটেও আপনার লেখা জমা দিতে পারেন। এখন অনেকেই পেমেন্ট দেয়। আপনার জানার জন্য লিখছি- কিভাবে ডট ইনফো(https://kivabe.info/) প্রকাশিত লেখার জন্য পেমেন্ট দেয়। এর পরিমান নির্ধারিত হয় লেখার মান এবং এর প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে। চাকরির পাশাপাশি নানান তথ্য উপাত্ত লিখে একটা নির্দিষ্ট পরিমান আয় করতে পারেন। ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার জন্য এটা একটা কার্যকরী পদক্ষেপ।

৭। ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও ব্লগিং করুনঃ নানান ধরনের ভিডিও আজকাল মোবাইল ফোনেই ধারন করা যায়। যেমন ভ্রমন বিষয়ক ভিডিও ব্লগ। এছাড়াও রান্না, বাগান করা কিংবা কোন DIY(Do It Yourself) ভিডিও তৈরী করে একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে ফেলুন। মোট ৪০০০ ভিউ এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হলেই ইউটিউব আপনাকে এ্যাড দেখানোর সুযোগ দিবে। যার মাধ্যমে আপনি পাবেন কমিশন। এর পরিমান অনেক গুন হতে পারে।

৮। বকৃতা করায় পারদর্শীতা থাকলে পডকাষ্ট এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হতে পারেন। এখন ইউটিউব চ্যানেলেও ভাল বক্তৃতার কদর আছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় আপনি নিজের পরিচিতির সাথে সাথে আয়ও করতে পারেন।

৯। অনলাইন কোর্স তৈরী করে তার বিক্রি করতে পারেনঃ যদি আপনি কোন কিছু জানেন যা হয়ত অনেকেই তত ভাল জানে না তার একটা ভিডিও তৈরী করে ফেলুন। এবার তা অনলাইন ক্লাস হিসেবে সাবস্ক্রিপশন আকারে বিক্রি করতে পারেন। অথবা চাইলে এককালীন মূল্যেও বিক্রি করতে পারেন। এসব আবার সিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমেও বিক্রি করা যায়।

১০। বিভিন্ন সাইটে সার্ভে করেও আয় করতে পারেনঃ আজকাল নানান ধরনের পন্যের কিংবা সেবার সার্ভে করা হয়। এসব সার্ভে থেকেও আয় করা যায়। এর জন্য আপনার কাছে নানান ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে। সেসব প্রশ্নের সঠিক বা আপনার মনে হচ্ছে সঠিক এমন উত্তর দিয়ে আয় করতে পারেন। অনলাইনের কাজ এর মধ্যে এরকম অনলাইনে আয়ের সহজ পদ্ধতি খুবই কমই পাওয়া যায়। অনলাইনের কাজ বলতে অনেকে আবার খুব কঠিন কিছু বুঝে নেন। আসলে অনলাইনের কাজ সহজ কঠিন অত্যন্ত কঠিন সব ধরনেরই হয়। সোজা কাজে আয় কম এবং প্রতিযোগীতা হয় বেশি।

১১। ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়ঃ ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি অনেকেই জানতে চান। অনেকেরই নানান ভ্রান্ত ধারনা আছে। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? ফেসবুক কিভাবে আয় করে? হ্যাঁ, এর উত্তর জানলে আপনার জন্য আয় করা সহজ হবে। ফেইসবুক এখন অতি মাত্রায় জনপ্রিয়। এখান থেকে নানান ভাবে আয় হতে পারে। ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি হিসেবে যদি ধরুন ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করবেন তাও পারবেন। যেকোন প্রোডাক্ট এর জন্য বেশ কিছু গ্রুপ, হ্যাশ ট্যাগ, এবং নানান লিংক নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। সেখানে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হলে কমিশন কিংবা মার্জিন পাবেন। আবার আপনি চাইলে বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন। যদি আপনার পন্যের চাহিদা বেশি হয়, এবং ফেইসবুক মার্কেটিং এ এর মধ্যেই জানেন কিভাবে পন্য বিক্রি করতে হয় তবে তা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরো বেশি আয় করতে পারেন। আপনার নির্দিষ্ট এরিয়াতে ফেইসবুক সেই প্রোডাক্ট দেখতে সাহায্য করবে এবং সেলস বেশি হবে তা নিশ্চিত।

এছাড়াও আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে অনেক কিছুই করতে পারেন। এসব আপনার বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করলে ভাল হয়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় হচ্ছে

নিবন্ধন

লগিন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের সম্পর্কে

কিভাবে ইনফো - Kivabe Info

কিভাবে ডট ইনফো একটি বাংলা তথ্য শেয়ারিং সাইট। এএখানে আপনি নিজে যেমন জানতে পারবেন তেমনি চাইলে সবাইকে জানাতেও পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

যোগাযোগের জন্য

© কিভাবে ইনফো - Kivabe Info 2013-2022

Developed by: Behostweb.com

আপনি আমাদের সাথে একমত হয়ে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মানে আপনি আমাদের কুঁকি পলিসি গ্রহন করেছেন। পড়ুন প্রাইভেসি পলিসি . সব কুঁকি মেনে নিন