সড়ক পথে নেপাল ভ্রমন করা কিছুটা হলেও জটিল। তার কারন আপনাকে ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। ভারতের ট্রানজিট ভিসা পাওয়া খুব সহজ নয়। এর জন্য আছে কিছু নীয়ম। ভারতের ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে নিচের তথ্যসমূহ জেনে রাখুন-
-
- আপনার ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসি থেকে ট্রানজিট ভিসা ফর্ম পুরন করতে হবে। ওয়েবসাইটের লিঙ্কঃ http://www.ivacbd.com/
- ২/২ সাইজের ছবি এক কপি লাগবে।
- বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড
- দুইশ ডলার এনডোর্স করে নিতে হবে, তার ব্যাংক কপি সাথে লাগবে
- আসা এবং যাওয়ার টিকেট লাগবে, সাধারনত ঢাকা থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত টিকেট থাকলেই হয়।
- পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
- নেপাল এ অবস্থানের জন্য সেখানকার হোটেল বুকিং এর ডকুমেন্ট থাকতে হবে।
সব কাগজ পত্র নিয়ে সরাসরি নিজেও জমা দিতে পারেন। সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৬০০টাকা নিবে। তবে যদি কোন কারনে সেইদিন জমা না দিতে পারেন, পরের দিন আবারো একই টাকা নেয় ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসি। এক্ষেত্রে কাগজপত্র সঠিকভাবে গুছিয়ে নিলেই ভাল। কোন কিছু যদি নিশ্চিত হতে গেলে নিচের দুইটি নাম্বারে কল করে জেনে নিতে পারেন-
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
- হট লাইন: ০৯৬১২ ৩৩৩ ৬৬৬
- হট লাইন: ০৯৬১৪ ৩৩৩ ৬৬৬
এবার আসুন নেপালের অবস্থা জেনে নেওয়া যাক-
আকাশ পথে নেপাল গেলে ভিসা নেপালে নেমেই পোর্ট এন্ট্রি ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন আপনি। তবে সড়ক পথে গেলে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। সাথে থাকবে ভারতের ট্রানজিট ভিসা।
ভিসা আবেদনপত্র বিনামূল্যে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নেপাল দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করা যায়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আগ্রহীরা রোরবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং বৈদেশিক পর্যটকরা সরাসরি ভিসা পেয়ে থাকেন।
সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য একই বছরে প্রথম ভিসার জন্য কোনো ফি দিতে হবে না। একই বছরে দ্বিতীয় ভিসার জন্য ফি দিতে হবে।
সাধারণ পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
* সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি এবং পাসপোর্টের ফটোকপি।
ব্যবসায়িদের জন্য কাগজপত্র
* ট্রেড লাইসেন্সের ইংরেজি অনুবাদ এবং নোটারিকৃত কপির মূলকপি।
* বাংলা ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।
* বিজনেস কার্ড (বাংলা ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে)।
* অফিসিয়াল প্রত্যয়নপত্রের ইংরেজি অনুবাদ কপির মূলকপি।
* বৈধ পরিচয়পত্রের এবং সর্বশেষ প্রাপ্তসনদের সত্যায়িত কপি অথবা কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয়নপত্র / সুপারিশ পত্র।
* বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ/ অফিসের লেটার প্যাডে পাসপোর্ট নম্বরসহ নামের তালিকা লিখতে হবে। লেটার প্যাডে বিভাগীয় প্রধানের অফিসিয়াল সিল স্বাক্ষরসহ সুপারিশ থাকতে হবে।
আবেদন পত্র জমাদানের পূর্বে লেটারটি এই নম্বরে ০০৮৮-০২-৮৮২৬৪০১ ফ্যাক্স করতে হবে।
জাতিসংঘ সড়ক, ডিপ্লোম্যাটিক জোন, বারিধারা, ঢাকা।
ফোন- ৯৮৯২৪৯০, ৯৮৯২৫৬৮, ফ্যাক্স- (০০-৮৮-০২) ৮৮২৬৪০১
ই-মেইল- eondhaka@dhaka.net, ওয়েবসাইট: www.nepembassy-dhaka.org
ভ্রমন
বাংলাদেশের চ্যাংরা বান্দা বন্দর পাড়ি দিতে পারেন হানিফ বা শ্যামলী’র সহযোগীতায়। এর পর সেখান থেকে অনেক সার্ভিস আছে নেপাল যাবার। আপনি যদি কোন দলবদ্ধ যাত্রি হন তবে মাইক্রোবাস নিতে পারেন। এর সুবিধা হচ্ছে আপনাকে যথাস্থানে নিয়ে যাবে।
মন্তব্যসমূহ