ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা , কিভাবে ক্রেডিট কার্ড কাজ করে

ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নেওয়া বা গ্রামীন ব্যাংক থেকে মাইক্রো ক্রেডিট অথবা ব্যাংক লোন নেয়া অনেকটাই কাছাকাছি। ক্রেডিট কার্ড কাছাকাছি হলেও সামান্য ব্যাতিক্রম। এর জন্য অনেক সময় ব্যাংক প্রতিবছর একটা ফী নেয়, কোন কোন ব্যাংক আবার সেই ফী বিভিন্ন পদ্ধতিতে ছাড় দেয়। মোটকথা যদি ব্যাংকের দেয়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম মানা যায় তবে সম্পূর্ন সুদ বিহীন কিংবা বাৎসরিক ফিস ছাড়াই একে রাখা যায়। অনেকের খরচের প্রবনতা বেশি, তাদের জন্য ক্রেডিট কার্ড বিপদজনকও। কিভাবে ক্রেডিট কার্ড কাজে লাগে কিংবা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হচ্ছে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা জানুন, কেন ক্রেডিট কার্ড নিবেন?

ক্রেডিট কার্ড কী কী কাজে লাগে তা জানা দরকার। যদি এসব কাজ আপনার বেলায় না লাগে তবে ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলায় না যাওয়াই ভাল। ক্রেডিট কার্ড আপনি যা যা করতে পারবেন তা হলো –

কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান

লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন

১। হাতে টাকা না থাকলেও কেনাকাটা করতে পারবেন।

২। দামী কোন পন্য কিনে তা ধীরে ধীরে মাসে মাসে পরিশোধ করতে পারবেন।

৩। নগদ টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো থেকে অভ্যাহতি পেতে পারেন। ভবিষ্যতে দৃশ্যত টাকা হয়ত আর থাকবেই না এমন কথাও শোনা যাচ্ছে আজকাল। ইলেক্ট্রনিক মানি ব্যাপারটি এখনি অনেক দেশে চালু হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশেও আপনি চাইলে ব্যাংক থেকে কার্ডের টাকা পরিশোধ করতে পারেন, আবার কারো কাছ থেকে টাকা নিতে চাইলে ব্যাংকের মাধ্যমেই নিতে পারেন। এভাবে আপনি দৃশ্যত টাকা না স্পর্শ করেও অর্থনৈতিক কাজ পরিচালনা করতে পারেন।

৪। স্বল্পকালীন লোন সুবিধা নিতে পারেন। এ পদ্ধতিতে আপনি চেকের মাধ্যমে কিছু পরিমান টাকা ক্রেডিট কার্ড থেকে তুলে তা যে কোন কাজে লাগাতে পারেন। পরে নির্দিষ্ট সময়ে সে টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন।

৫। অনলাইন কেনাকাটা কিংবা বিদেশের বিভিন্ন কাজে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। অনেক জরুরী ফী বা নিবন্ধনে বিদেশে টাকা প্রদানের জন্য ক্রেডিট কার্ড এক্সেপ্ট করে থাকে।

কিভাবে ক্রেডিট কার্ড কাজ করে

বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা কিভাবে গ্রাহক পায়

বাংলাদেশে প্রায় সকল ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা একই রকমের। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম চোখে পড়ে তা ব্যাংক নিজের থেকে প্রদান করে সে জন্য। এছাড়া ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা পদ্ধতি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট গ্রাহকের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান ক্রেডিট লিমিট প্রদান করা। এর পরিমান ৩০ হাজার থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। গ্রাহকের অর্থনৈতিক প্রোফাইল অনুযায়ী এর সীমা নির্ধারিত হয়। এর উপর ভিত্তি করে ক্রেডিট কার্ডের কয়েকটি ক্লাস আছে। যেমন সিলভার, গোল্ড এবং প্লাটিনাম। এছাড়াও বাজারে আছে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড যেমন ভিসা(Visa), মাষ্টার(Master), এমেক্স(আমেরিকান এক্সপ্রেস American Express). এই ক্রেডিট লিমিট দিয়ে গ্রাহক যখন যা খুশি কিনতে পারেন। নগদ উত্তোলন এর ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত তোলা যায়। যা এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন যোগ্য।

এছাড়াও একেক ব্যাংক একেক ধরনের ক্রেডিট কার্ড সুবিধা দেয়। এর মধ্যে ভিসা এবং মাস্টার কার্ড প্রায় সব ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংকই দিয়ে থাকে। এমেক্স শধু বাংলাদেশের সিটি ব্যাংক(City Bank) দেয়। এদের মধ্যে আবার যে কার্ড যেই ব্যাংক প্রোমোশনাল কাজে বেশি ব্যবহার করে সেই ক্রেডিট কার্ডে সুবিধা তত বেশি। হোটেল বুকিং, এয়ার টিকেট বুকিং কিংবা লাইফ স্টাইল কেনাকাটায় নানান রকমের ডিস্কাউন্ট মেলে এসব ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সৌজন্যে।

বিল পরিশোধের সময় সীমা- ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা

ক্রেডিট কার্ডের একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে। একেক কার্ডের একেক সময়ের বিল সাইকেল থাকে। অর্থাৎ মাসের একটা নির্দিষ্ট তারিখে স্টেটমেন্ট পাঠায় এবং নির্দিষ্ট তারিখে মিনিমাম বিল দিতে হয়।গ্রাহক যদি কোন খরচ না করে থাকেন তবে তার কোন বিল আসবে না। প্রায় প্রত্যেক কার্ডের বেলাতেই ৪০ দিন থেকে ৪৫ দিনের একটা বিল সাইকেল থাকে। যেমন মে মাসের ২৯ তারিখে যদি কোন কেনাকাটা করা হয় তবে তা জুলাই মাসের ১২ তারিখে জমা দিতে হয়(এমেক্স এর এই নীয়ম)। অন্যান্য ব্যাংকে অন্যান্য তারিখ থেকে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দিয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে পুরো বিল না দিলেও চলে, ন্যুনতম বা মিনিমাম বিল(মূল বিলের ৫%) দিয়ে দিলে ব্যাংক খুশি থাকে। বাকী বিলের জন্য নির্দিষ্ট হারে ইন্টারেষ্ট দিতে হয়। এই ইন্টারেষ্ট প্রতিদিনের জন্য কার্যকরী। ব্যাংক এই সুদের হার অতি উচ্চ হারে কেটে নেয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০% এর মত সুদ নেওয়ার ঘটনা আছে।

যদিও এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন নির্ধারিত নীতিমালা না থাকায় কার্ড সিস্টেমে সব চেয়ে বেশি হারে সুদ প্রদান করতে হতো গ্রাহককে। গত বছর এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালা নির্ধারন করায় এখন আর আগের মত সুদের হার নেই কোথাও। ব্যাংক যদি ১০% হারে ঋন দিয়ে থাকে তবে ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫% হারে সুদ নিতে পারবে। এর মানে হচ্ছে নিয়মিত ব্যাংক লোন এ ইন্টারেষ্ট যা হবে ক্রেডিট কার্ডে তার থেকে ৫%পর্যন্ত বেশি হতে পারবে।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা – ফী মওকুফ করা যায়

কার্ড ক্যাটেগরী অনুযায়ী একেক ধরনের কার্ড একেক ব্যাংকে একেক ধরনের বাৎসরিক ফী নির্ধারন করেছে। নির্দিষ্ট পরিমান লেনদেন করার শর্তে অনেক ব্যাংক তাদের গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড এর প্রতিবছরের ফী ছাড় দিতে দেখা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক এই ছাড় দেওয়ার পদ্ধতি অটোমেটিক বা সয়ংক্রিয় ভাবে করে। এদের মধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড অন্যতম।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অসুবিধা কী কী?

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা যেমন তেমনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অসুবিধাও আছে। এর জন্য সময় একটা খুব জরুরী বিষয়। নির্দিষ্ট সময়ে বিল জমা না দিলে বিলম্ব মাশুল দিতে হয়। এই মাশুল ৫০০ থেকে ১০০০টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অনেকেই ভুলে গিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে বিল দিতে পারেন না, তাদের বেলায় খুবই খারাপ অবস্থা। বিলম্ব মাশুল দিতে দেরি হলে তার উপরেও ব্যাংক ইন্টারেষ্ট ধার্য্য করতে থাকে।

হাতে বাড়তি টাকা থাকলে যেমন কাজে অকাজে খরচ করে মানুষ তেমনি ক্রেডিট কার্ড থাকলেও প্রচুর খরচ করে। এভাবে খরচ বেশি করতে করতে এক সময় দেনায় ঢুবে যেতে থাকে।

প্রাইভেসি রক্ষা না করতে পারলে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি হয়ে টাকা দূষ্কৃতিকারী নিয়ে নিতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় হচ্ছে

নিবন্ধন

লগিন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের সম্পর্কে

কিভাবে ইনফো - Kivabe Info

কিভাবে ডট ইনফো একটি বাংলা তথ্য শেয়ারিং সাইট। এএখানে আপনি নিজে যেমন জানতে পারবেন তেমনি চাইলে সবাইকে জানাতেও পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

যোগাযোগের জন্য

© কিভাবে ইনফো - Kivabe Info 2013-2022

Developed by: Behostweb.com

আপনি আমাদের সাথে একমত হয়ে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মানে আপনি আমাদের কুঁকি পলিসি গ্রহন করেছেন। পড়ুন প্রাইভেসি পলিসি . সব কুঁকি মেনে নিন