এখন ঈদ চলছে। দেশে বিদেশে সবাই মাংশ খাওয়া নিয়ে খুব ব্যস্ত। শিশুদের খাবার দাবার নিয়ে আপনি হয়ত চিন্তিত। কতটুকু খেতে দিলে আপনার শিশু নিরাপদ থাকবে তার জন্য হয়ত ভাবছেন? যদি নাও ভেবে থাকেন তবে ভাবতে হতে পারে। কারন এই সময়ে মাংশ সহ নানান ধরনের উচ্চ ক্যালরির প্রোটিন খাবার ক্ষতির কারন হয়ে দেখা দিতেও পারে। তাই আসুব কিভাবে শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করি।
শিশুদের সময়ের খাবার সঠিক সময়ে দিন শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন
ধরুন, এখন ঈদ তাই শিশুর খাবার ইচ্ছা আগের থেকে কমে যেতে পারে। তার কারন সে অনিয়মিত খেয়ে পেটের ভেতর গ্যাস ফর্ম করতে পারে। এজন্য খেয়াল রাখুন সে নিয়ম মেনে সময় মত খাবার খাচ্ছে কি না। যদি সময় মত খাবার খায় তবে তার সেই সময় অব্যহত রাখুন। শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন করতে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার পরিবেশন করুন।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
খাবারের পরিমান এর দিকে নজর দিন
শিশুর খাবার গ্রহনের সময় তার খাবার আগের মত কি না সে দিকে নজর দিন। আমাদের দেশের শিশুরা অনেক সময় খুব ভাল স্বাদের খাবার একটু বেশি খেয়ে ফেলতে পারে। এতে তাদের পেটের মধ্যে স্বাভাবিক হজম নাও হতে পারে। এর জন্য তাদের খাবারের পরিমান দেখুন। সামান্য একটু বেশি খাবে তা কিন্তু স্বাভাবিক। এই পরিমান কখনোই আগের তুলনায় ১.৫গুনের বেশি হবে না। অর্থাৎ আগে যদি ৪০০গ্রাম খাবার খেত এখন খাবে সর্বোচ্চ ৬০০গ্রাম এবং এই খাবার গ্রহনের পরে তার শারিরিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করা জরুরী। শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন করতে খাবারের পরিমান নির্ধারণ করুন।
তেল চর্বি জাতীয় খাবার যেন শিশু কম খায় সেদিকে নজর দিন
তেল চর্বি জাতীয় খাবার খুব বেশি না দেয়াই হচ্ছে উত্তম পন্থা। শিশুকে মাংশ খাওয়ানোর জন্য নানান ধরনের উদ্ভাবনী করা যেতে পারে। তবু তেল চর্বি থেকে দূরে রাখাই হবে যত্মবান বাবা মায়ের কাজ।
ব্যায়াম এবং নানান ধরনের এক্টিভিটিতে যুক্ত থাকা
খাবার দাবার গ্রহনের এই সময়ে শিশুর নানান ধরনের ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করা উচিৎ। শরীর ফিট রাখার জন্য এবং অতিরিক্ত চর্বি খেয়ে যেন অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি না হয় তার জন্য শরীর চর্চা হতে পারে মুক্তির পথ। ভাল ব্যায়াম করলে শিশুদের খিদে বেড়ে যায়, এতে শিশুদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন করতে সহজ হয়।
শিশুদের জন্য চিত্ত বিনোদন এর ব্যবস্থা থাকা জরুরী। খাবার, শরীর চর্চা এবং বিনোদন মূলক নানান ব্যবস্থা শিশুকে এনে দিতে পারে স্বাভাবিক জীবন। অন্যথায় শিশুদের জীবন নানান সমস্যায় জর্জরিত হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ