আমার একটা লেখা অনেকেরই ব্যক্তিগত জীবনে আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে আর তা হলো কিভাবে ব্যাংক থেকে হোম লোন এর আবেদন করবেন? অনেকেই ফোন করে কিংবা ইমেইল পাঠিয়ে জানতে চেয়েছেন। কার সাথে যোগাযোগ করবেন, কিভাবে যোগাযোগ করবেন ইত্যাদি। বাড়ি বানাতে কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন কিভাবে লোন পাওয়া যায়। আজ জানাবো কিভাবে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করবেন, সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ না করলে কতটা ঝুঁকি আছে এসব।
ঋন পাওয়ার শর্ত সমূহ, ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার আগে জানুন
বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত অর্থ লেনদেনে বৈধ প্রতিষ্ঠান তা সে ব্যাংক বা অন্যান্য বিনিয়োগ কারী সংস্থা হলেও তার থেকে ঋন নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে সরকারী বেসরকারী অনেক ব্যাংক আছে যারা সরাসরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ঋন দিয়ে থাকেন। সহায় সম্বল হীন কোন মানুষকে কোন ব্যাংক ই ঋন দেয় না। তাই নিন্মলিখিত বিষয়সমূহ ব্যাংক সরাসরি পর্যবেক্ষন করেন-
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
১) চাকুরী/ব্যাবসা/পেশাজীবি কিংবা বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আয় করেন কি না
২) ব্যক্তিগত সম্পদ অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট অন্তত ৬মাসের বা তিন মাসের
৩) ব্যাংকের সাথে এ পর্যন্ত লেনদেন এর ইতিহাস, কোন পেনাল্টি/ঋন খেলাপী আছে কি না
৪) নতুন লোন দিলে তা পরিশোধ করতে পারবেন কি না
৫) বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, করদাতা আইডি, বর্তমান বাড়িঘরের ঠিকানা
এসব নানান দিকে খেয়াল রেখে ব্যংক ঋন দেন। তারপরেও অনেক সময় ভুল ভ্রান্তিজনিত কারনে ব্যতিক্রম কিছু লোন ও দিয়ে দিতে দেখা যায়।
ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া
ব্যাংক থেকে ঋন নিতে হলে সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার দরকার হয়। নিজে ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি ম্যানেজার বা সার্ভিস কাউন্টার থেকে তথ্য নেওয়া উচিৎ। সরকারী ব্যাংক হলে সিনিয়র লেভেলের কোন অফিসারের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করা উচিৎ। অন্যথায় সমস্যা হতে পারে।
ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন করে কাষ্টমার কেয়ারেও যোগাযোগ করতে পারেন। প্রত্যেক ব্যাংকের নিজস্ব কাস্টমার কেয়ার সেন্টার আছে যেখান থেকে সহজেই তথ্যাদি জানা যায়। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধীর সাথে কথা বলার জন্য নাম্বার পেতে ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখুন। নিচে একটি তালিকায় ওয়েব লিংক সহ ব্যংকের নাম দেয়া হলো।
ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার পরে কাজ না হলে কী করবেন?
অনেক ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও সমস্যা সমাধান না হয়ে নানান পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কমপ্লায়েন্ট সেল এর সাথে যোগাযোগ করেও সমাধান করা যেতে পারে। প্রত্যেক ব্যাংকের হেড অফিসে এরকম একটা সেল আছে। বিস্তারিত নিচের লিংক গুলোতে পাবেন।
তারপরেও যদি সমাধান না হয় তবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হলে ১৬২৩৬ নম্বরে যে কোন ফোন থেকে (বাংলাদেশের মধ্যে) অফিস টাইমে কল করে অভিযোগ বা সমস্যার কথা তুলে ধরা যায়। যদি ফোন না পাওয়া যায় তবে ইমেইল করেও জানানো যায়। ইমেইল ঠিকানা- bb.cipc@bb.org.bd
মন্তব্যসমূহ