আমাদের দেশে টাকা পয়সা লেনদেন এখনো জটিল একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কিছু সাধারণ মানুষ কে। অথচ দেখুন তৃতীয় বিশ্বের কিছু কিছু দেশ এর মধ্যের ক্যাশ লেন দেন প্রথা বাদ দিয়ে দিয়েছেন। আমরা কবে যাব সেখানে তা স্বপ্ন।
তবু আসুন দেখি বাংলাদেশে টাকা লেনদেনের প্রক্রিয়াগুলি। ইতিমধ্যেই অনেকেই জেনে গেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন আনাচে কানাচে টাকা ২৪ ঘণ্টা আনা নেয়া করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়ে গেছে। এর ঝক্কি ঝামেলাও বিস্তর। আমি নিজে ব্যবহার করে তবেই বলছি। তবু আরামের ব্যাপার হল পাঠানো যায়। কিন্তু চার্জ অনেক বেশি।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
অনেক আগে বাংলাদেশে চালু ছিল মানি অর্ডার, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যেত। তার পর চালু হয়েছিল কুরিয়ার সার্ভিস। সেই সব এখনো আছে হয়ত। কিন্তু আমি যতদূর জানি এখন চলে এসেছে আরো আধুনিক পদ্ধতি সমূহ। অন্যান্য দেশে ভার্চুয়াল মানি চালু হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু যা আছে তা দিয়েই চালু করা যেতে পারে দ্রুত টাকা লেনদেন।
মোবাইল ব্যংকিংঃ এখন সারাদেশে যত রিটেইল ব্যাংক আছে তার ৯০ ভাগ চালু করেছে মোবাইল ব্যাংক। এর জন্য একেক কোম্পানি একেক ফ্যাসিলিটি চালু করেছে। তবে সব চে’ ভাল বলতে তেমন কিছু এখানে নেই। ২৪ঘন্টা লেনদেন করা যায় আর প্রতি হাজারে সর্বোচ্ছ ২০টাকা পর্যন্ত চার্জ কেটে নেয়া হয়। কেউ কেউ এর মধ্যে কম দিয়েও অফার দিচ্ছেন। তবে ডাচ বাংলা ব্যাংক কিছুটা সহজ। মাত্র দশ টাকায় লোড দেয়া যায় ব্যাঙ্ক কাউন্টারে। কিন্তু এজেন্ট এর কাছে সেই সমান প্রক্রিয়া।
মন্তব্যঃ অতি জরুরী ছাড়া লেনদেন না করাই ভাল। যদি চার্জ আরো অনেক কমে আসে তখন দেখা যেতে পারে।
অনলাইন ব্যাংকিংঃ সেই একই প্রক্রিয়া তবে সরাসরি ব্যাংকিং , যার জন্য কোন এজেন্ট নাই। অতিরিক্ত চার্জ নাই। যার একাউন্টে টাকা দেয়া দরকার তার একাউন্টে দিয়ে দিলেই শেষ। কিছুটা সময় সাপেক্ষ তবে চার্জ খুবই কম একবং বেশির ভাগ ফ্রি। ট্রান্সফার সুবিধা এখনো সব ব্যাংক চালু করেনি। ব্র্যাক ব্যাংক , ডাচ বাংলা, দি সিটি, ইসলামী ব্যাংক এরকম কয়েকটি ব্যাঙ্ক মোটামুটি সুবিধা দিচ্ছে। তবে থার্ড পার্টি ট্রান্সফারে সাবধান, আমি একটি ট্রান্সফারের টাকা এখনো পাইনি। আর ডাচ বাংলার অনলাইন ব্যাংকিং সবচে ফালতু, টাকা যদি একবার যায় তা আর ফিরে পাবার আশা নেই। আমি একটা ভুল বশত প্রিপেইড নাম্বারে বিল পে করায় ১৫০০টাকা এখনো পাইনি।
সতর্ক না থেকে উপায় নেই।
মন্তব্যঃ একই ব্যংকের মধ্যে লেনদেন করা যেতে পারে।
এসব ছাড়া আর তেমন কোন বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম নেই যা দিয়ে লেন দেন করা যায়।