বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল হিসেবে খ্যাত হলেও এখানে বসবাসকারী মানুষ গরমে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েন আবার শীতেও একেবারে কাবু হয়ে যেতে দেখা যায়। এধরনের ঠান্ডায় সবচে’ বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন বৃদ্ধ এবং শিশু। বাকীদের কিছুটা কম ঝুঁকিতে দেখা যায়।
এই লেখা যখন লিখছি তখন আমি হসপিটালে আমার মাত্র ৫ মাস বয়সী ছেলের পাশে, যার ঠান্ডা লেগে যায় এবং নিউমোনিয়া থেকে ভয়াবহ কফ কাশি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। অথচ আরেকটু সাবধানতা আর যত্নশীল হলেই এই পরিস্থিতি থেকে বেঁচে যাওয়া যেত। আজ আমি সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই শিশুর যত্ন নিয়ে লিখছি।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
শিশুর খাবার গ্রহন : শিশুদের খাবারের ব্যাপারে সজাগ আর অবিচক্ষণ থাকাটা জরুরী। যদি পানি খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় তবে কোন ক্রমেই নরমাল কিংবা ঠান্ডা পানি খাওয়ানো যাবে না। তার কারন ঠান্ডা পানি গলায় ঠান্ডা লাগানোর জন্য প্রথম এবং প্রধান কারন। গরম খাবার কিংবা তরল খাওয়াতে পারেন।
গোসল করানোঃ শিশুর গোসল করানো অনেক বেশি সাবধানে করতে হয়। গোসলে পুরা ঠান্ডা পানি যেন না থাকে, আবার অনেক গরম পানিও হতে পারবে না। হালকা গরম পানিতে খুব কম সময়ে গোসল সারতে হবে। গোসলের সাথে সাথে জরুরী ভাবে গায়ের জমা পানি মুছে ফেলতে হবে। এবং সাথে সাথে জামা কাপড় পরিয়ে দিতে হবে। দেরি হলেই ঠান্ডা লেগে যাবে।
ঘুমানোর সময় পরিচর্যাঃ শিশুর ঠান্ডা লাগার আরেকটি কারন হলো ঘুমের মধ্যে গা ঘেমে গিয়ে ঠান্ডা লেগে যায়। তাছাড়া ঘরে যদি আলো বাতাস চলাচলের কোন জায়গা না থাকে তবে আরো বেশি সম্ভাবনা দেখা যায়। তাই শিশুর স্বাস্থ্য আর ঠান্ডা লাগা থেকে তাকে ভাল রাখতে হলে এই পরিবেশের দিকে নজর দিতে হয়।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াঃ শীতের হাত থেকে শিশুকে রক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অনেক পরামর্শ থাকে। সেসব কাজে লাগিয়ে কিছুটা সাহায্য পাওয়া যায়। অনেকেই পারিবারিক স্বাস্থ্য পরামর্শকদের কাছ থেকে নীয়ম কানুন জেনে নেন। তারাও এই বিষয়ে আগাম কিছু সতর্কতা জেনে নিতে পারেন।
কোন কারনে শিশুর ঠান্ডা লেগে গেলে ডাক্তারের সাক্ষাৎঃ এটা জরুরী যে যদি কোন কারনে ঠান্ডা লেগেই যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাক্ষাৎ নিতে হবে। বড়দের মত দেরি করা যাবে না মোটেও। শিশুদের বেলায় খুব দ্রুত দুর্ভলতা প্রকাশ পায়। শিশু কারনে অকারনে কাঁদতে থাকে। এছাড়াও শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়া সহ নানা রকম লক্ষন দেখা দেয়।
এসব লক্ষন ই ঠান্ডা লেগে যাবার লক্ষন।
মন্তব্যসমূহ