আমাদের জীবনে নানাবিধ ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আমরা মুল্যবান অনেক জিনিস কাগজপত্র কিংবা সম্পদ টাকা পয়সা ইত্যাদি হারিয়ে ফেলি। কিংবা অনেক সময় আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে অনেক ভয়ভীতির উদ্রেক হয়। অনেকেই অলৌকিক বিষয়ে মাথা ঘামান, কিংবা ভয় পান। এসব খুটিনাটি বিষয়ে অবশ্যই আপনি পেতে পারেন আইন শৃংখ্যলা বাহিনীর সহায়তা। আর এ জন্যই আইন শৃংখ্যলা বাহিনীর প্রাথমিক পর্যায়ের পদক্ষেপ অনুযায়ী জিডি করে পুলিশের কর্তব্যরত অফিসারকে অবহিত করতে হয়। যার ফলে আইন শৃংখ্যলা বাহিনীর সাধ্যের মধ্যে কিংবা আয়ত্বের মধ্যে থাকলে সমুহ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিভাবে থানায় জিডি করতে হয় তা নিয়ে একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করছি।
জি ডি করার নিয়মঃ কিভাবে থানায় জিডি করতে হয়?
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
থানায় জিডি করার ক্ষেত্রে তেমন কঠিন কোন নিয়ম নেই। ঘটনা ঘটার কিংবা সম্ভাব্য ঘটনার ইঙ্গিত পাবার সাথে সাথেই পার্শ্ববর্তী কোন থানায় নিজে সশরীরে গিয়ে ঘটনার বিবরন কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক বা কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানাতে হয়। এক্ষেত্রে একটি ফর্ম পুরন করেও সমস্যা তুলে ধরা যেতে পারে। তবে লিখিত অথবা কোন ফর্ম পুরন করে হলেও সমস্যা কিংবা তার বিবরন পেশ করে পুলিশ পরিদর্শকের নথিতে অন্তর্ভুক্ত করার পর একটি নম্বর পাওয়া যায় । যাকে বলা হয় জিডি নম্বর। পরবর্তীতে এই নাম্বার দেখিয়ে যে কোন অনাকাংখ্যিত সমস্যাও এড়ানো যায়।
একটি নমুনা এমন হতে পারে-
তারিখঃ ………………
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।
বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম: …………………………………
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….
এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত …………………….. তারিখ ……………. সময় …………….জায়গা থেকে আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।
বর্ণনা : (যা যা হারিয়েছে)
বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।
বিনীত
নাম:
ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর:
কিভাবে থানায় জিডি করার সময় আরো সতর্ক হবেন?
কেউ যদি হুমকি দেয় কিংবা কোন ক্ষতি করার সম্ভাবনা প্রকাশ পায় তবে সেই ব্যক্তি পরিচিত হলে তার নাম, ঠিকানা বিস্তারিত তথ্য জিডি কপিতে উল্যেখ করতে হয়। এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির আবেদন করতে হয়।
পুরো জিডি কপিটি কম্পিউটার কম্পোজ করে নিয়ে এসেও জমা দেয়া যেতে পারে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে জিডি কপি তৈরী করতে হবে এবং বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে আবেদন করতে হবে।
জিডি কপি দুইটি নিতে হয়, একটি কপি থানায় ব্যবহারের জন্য আর অন্য কপিতে থানার কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ একটি নথিভুক্তির নম্বর নিয়ে নিজের কাছে রাখতে হয়। এই নাম্বারই জিডি নম্বর।
এতক্ষনে অবশ্যই জানলেন কিভাবে থানায় জিডি করতে হয়? নাগরিক জীবনে সকল স্বাভাবিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে কোন প্রমান কিংবা নথি সরকারি কিংবা বেসরকারি দাপ্তরিক কাজে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এই জিডি ( সাধারন ডায়েরী) অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।
জিডি করার জন্য খরচ কত? খরচ ছাড়াই থানায় জিডি করুন
থানায় জিডি করতে কোন টাকা খরচ হয় না। থানায় কাউকে কোন ফী দিতে হয় না। আপনার আশেপাশে পরিচিত কেউ থাকলে তার কাছ থেকে সাহায্য নিন। কখনো থানার ভেতর অপরিচিত কাউকে জিজ্ঞেস করবেন না- কিভাবে থানায় জিডি করতে হয়? তারা আপনার কাছ থেকে টাকা চাইতে পারে।
পরিশেষঃ একটি জিডি খুব বেশি কষ্টকর কোন ব্যপার নয়, তবে জিডি না করা হলে অনেক সময়েই বিপদে পড়তে হয়। যেমন হারিয়ে যাওয়া, হুমকি, কিংবা অন্য যে কোন ব্যাপার যা পরবর্তী অন্যান্য ঘটনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
জিডি নমূনা কপি সূত্রঃ http://katiadi.kishoreganj.gov.bd/
মন্তব্যসমূহ