গুগল ম্যাপ হচ্ছে ইন্টারনেট জগতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এর অনেক তথ্য ওপেন সোর্স ভিত্তিক। অর্থাৎ লোকাল গাইড হিসেবে অনেক ম্যাপ এডিট, ক্রিয়েট এবং পপুলার করতে পারেন। ব্যাবসায়িক এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর অনেক ব্যবহার আছে। গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার হচ্ছে আরো গুরুত্বপূর্ন একটি সেবা। এর মাধ্যমে আপনি যে কোন মানুষকে জানিয়ে দিতে পারবেন এই মূহুর্তে আপনি ঠিক কোথায় আছেন। তাহলে আসুন দেখি কিভাবে গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার করা যায়?
গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার পদ্ধতি
গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার পদ্ধতি খুব সহজ। এর জন্য কঠিন কোন টিউটোরিয়াল দরকার নেই। আপনার ফোনের গুগল ম্যাপ অ্যাপ ওপেন করুন। ম্যানু অপশন থেকে Location sharing ট্যাপ করুন। তারপর একটি ওয়ার্নিং আসবে-Let friends know where you are
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
GET STARTED বাটন ট্যাপ করুন। তারপর Share your real-time location এর নিচে কত সময়ের জন্য শেয়ার করবেন তা সেট করুন। সর্বনিম্ন ১৫ মিনিট শেয়ার দেয়া যায়। সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত লোকেশন শেয়ার কাজ করে।
তারপর কন্টাক্ট থেকে যে কোন ইমেইল এড্রেস সিলেক্ট করে শেয়ার দিলেই তার কাছে একটি ইমেইল পৌঁছে যাবে লোকেশন ম্যাপ লিংক সহ।
এছাড়াও চাইলে কন্টাক্ট লিষ্টে নেই এমন কাউকে একটি লিংক পাঠাতে পারেন। Select people এর পাশেই Copy to Clipboard or more… ক্লিক করে যে কোন শেয়ারিং অ্যাপ যেমন হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে শেয়ার করা যায়।
গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার এর ব্যবহারঃ
ভাল দিক চিন্তা করলে গুগল ম্যাপ লোকেশন এর অনেক ব্যবহার আছে। এরই মধ্যে হয়ত আপনারা উবার বা পাঠাও এর সার্ভিস নিয়ে থাকবেন। সেক্ষেত্রে তারা যা করে- লোকেশন শেয়ারিং এর মাধ্যমে গ্রহীতা এবং সেবাদাতার মধ্যে কানেকশন তৈরী করে। এর ফলে দ্রুত একে অন্যের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা লোকেশন শেয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনেক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারি-
১। বাসার বাইরে বের হয়ে গেলে নিজের সম্ভাব্য গন্তব্যের কথা বলে যেতে পারি এবং পরিবারের কারো সাথে গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার করতে পারি। এতে কিডন্যাপ হয়ে গেলেও অন্তত জানা যাবে শেষ লোকেশন কোথায় ছিলো। এভাবে দ্রুত হয়ত আইননিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।
২। বন্ধুবান্ধবদের সাথে খুব দ্রুত দেখা সাক্ষাত করা যেতে পারে। একই লোকেশন এ থাকাকালীন একে অন্যের সংগে সৌজন্য সাক্ষাত করতে পারেন।
৩। কাউকে জরুরী লিফট দেয়ার জন্য কাজে আসতে পারে। আমাদের অনেক সময় চলে যায় ফোনে কথা বলে জানতে- কোথায় আছিস তুই? এটা এখন এক নিমিষেই জানা যাবে।
৪। পথ হারিয়ে গেলেও খুঁজে পাবেন বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের।
৫। বাচ্চাদের ট্র্যাক করে নজরে রাখা যেতে পারে। বাচ্চার স্কুলে দিয়ে আসার পর কত চিন্তা থাকে। সে কোথায় আছে কী করছে। তার কাছে খুব কম দামী একটা স্মার্ট ফোন থাকলেও জানা যাবে সে আসলে কোথায় আছে।
গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার করার বেলায় কয়েকটি সতর্কতা মেনে চলুন-
১। অপরিচিত কাউকে লোকেশন শেয়ার দিবেন না।
২। কারো সাথে কোন কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে সাথে সাথে লোকেশন শেয়ারিং বন্ধ করে দিন।
৩। বন্ধু বান্ধব বা নিজেদের মধ্যে দরকার ছাড়া কখনোই লোকেশন শেয়ার করবেন না।
৪। শুধু মাত্র পথ দেখানো কিংবা কাউকে খুঁজে পেতে গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ার ব্যবহার করুন।
৫। পুরোপুরি আস্থাশীল না হলে আপনার লোকেশন ট্র্যাক করে খুব ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
৬। নিয়মিত আপনার ম্যাপ চেক করুন কাউকে ভুলে শেয়ার করে রেখেছেন কি না। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুলে ফোন করে বসে থাকেন। যার ফলে ফোন এর ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়। তবু মনে থাকে না। ম্যাপ লোকেশন শেয়ার করে বসে থাকবেন না। চেকে করে দেখুন অপ্রয়োজনে কোন শেয়ার করা হয়েছে কি না।
আশাকরি গুগল ম্যাপ লোকেশন শেয়ারিং অপশন সবাই ভাল কাজেই ব্যবহার করবেন।
মন্তব্যসমূহ