স্থুলকায় কিংবা মোটা শরীর নিয়ে বিপাকে পড়েন নি এমন মানুষ দেখা যায় না। সবাই মোটা হয়ে যাওয়া নিয়ে নানান দুঃশ্চিন্তায় থাকেন। আমাকে যারা চেনেন তাঁরা হয়ত বলবেন, ভাই আগে নিজের ওজন বাড়ান পরে ওজন কমানোর উপায় বলতে আসেন। এর কারন আছে। আমি এখনো প্রয়োজনের চাইতে একটু বেশি হালকা। কিন্তু আজ আমরা কথা বলছি কিভাবে ওজন কমানো যায়? ওজন বাড়ানো নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোন ইচ্ছা নেই তাই সে বিষয়ে আলাপ পরে।
কিভাবে ওজন কমাবেন? কিভাবে ওজন কমানো যায় ?
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুনঃ খাবার গ্রহন বন্ধ করবেন না
আমাদের দেশের অনেকেই মোটা থেকে চিকন হবার জন্য একটা সাধারণ যুক্তি খাটান। না খেলে হয়ত তিনি চিকন হয়ে যাবেন। ধারনাটা ভুল। না খেলে একজন মানুষ অসুস্থ্য হয়ে মারাও যেতে পারেন। তাই আত্মাহুতি দেবার আগে নিজে পারলে কোন স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজে থেকেও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারেন।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
কী কী পরিবর্তন আনবেন?
১। নিয়মিত খাবার গ্রহনঃ আপনি আগে ভেবে দেখুন যে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহন করেন কি না। যদি না করেন তবে তা নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ে আসুন। রাতের খাবার খাওয়ার কমপক্ষে দুই তিন ঘন্টা পরে ঘুমাতে যেতে পারেন।
২। পুষ্টিকর খাবার গ্রহনঃ সব খাবারই খাবার নয়। কিছু খাবার হচ্ছে বিষ। সেরকম খাবার খেলে স্থুলকায় হয়ে যেতে সময় লাগে না। তাই খাবার খেতে হবে বুঝে শুনে।
৩। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না।
৪। চকোলেট কিংবা চিনি জাতীয় খাবার কমিয়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখুন।
মেদ চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম করুনঃ ক্যালরি বার্ন করার ব্যায়াম সম্পর্কে জানুন
দৌড় কিংবা হাঁটা খুব কাজে দেয় যদি মেদ চর্বি কমানোর ইচ্ছে থাকে। নিয়মিত হাঁটা এবং দৌড় হতে পারে আপনার স্থুলকায় দেহের জন্য খুবই কার্যকরী। এছাড়াও অন্যান্য ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে যে কোন একজন ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এর সাথে কথা বলে নিতে পারেন।
নিয়মিত ঘুম এবং বিস্রাম নিন
ঘুম এবং বিস্রাম দু’টোই দরকার। এক্ষেত্রে হিসেব করে দেখুন যে আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে দৈনিক ৬/৭ ঘন্টার বেশি কিংবা কম ঘুমান কি না। যদি তা কম বেশি হয় তবে তার নিয়মিত করণ এবং পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করণ জরুরী। খুব বেশিও নয় আবার একেবারে কমও নয়, এমন ভাবে ঠিক করতে হবে।
বিস্রাম নেয়ার ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই জরুরী যে আপনি কি অতিরিক্ত বিস্রাম নিচ্ছেন কি না। যদি অতিরিক্ত শুয়ে বসে থাকেন তখন মেদ চর্বি সহ শরীর স্থুল হতে পারে। মোটা হয়ে গেলে আরো বেশি অলসতা ভর করে। তখন অনেক সময় পর্যন্ত বিস্রাম নিলেও মনে হয় কম সময়, তাই এর একটা নির্দিষ্টকরণ দরকার।
নিয়মিত ওজন পরিমাপ করুন
ওজন মাপার জন্য স্কেল বা ব্যালেন্স ঘরে রাখুন। প্রতিদিন একই সময়ে (তা যদি খাবারের আগে হয় ভালো) ওজন মাপুন। ওজন না কমলে তার জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কনসালটেশন নিতে পারেন। যদি ওজন কমানোর চেষ্টা তিন মাস করার পরেও কোন উন্নতি না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিৎ। ওজন যদি খাদ্যাভাস পরিবর্তনে না কমে আরো বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে খাদ্যাভাস আবারো বদলে ফেলা উচিৎ। এরকম হতে পারে, আগে যদি আমিষ বেশি খেতেন এখন তা শাক সবজি হতে পারে। ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে রুটি খেয়ে দেখতে পারেন। এরকম কিছু খাবারদাবার পরিবর্তন করে যদি উন্নতি হয় তবে সেভাবে চালিয়ে যেতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে, কিভাবে ওজন কমানো যায় সেকথা মাথায় রাখবেন।
Main Image by mohamed Hassan and all images from Pixabay