খুব সম্ভবত বাংলাদেশে এখন আর কেউ নেই যিনি ইউটিউবের নাম শুনেনে নি অথচ মোবাইল ফোন ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন। ইউটিউবের ভিডিও অনেকেই দেখেছেন। ইদানিং অনেক নাটক শুধু ইউটিউবে প্রচার করার জন্যই নির্মিত হচ্ছে। তাই বুঝতেই পারছেন ইউটিউব এখন অনেক বেশি ব্যবহৃত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। এখানে একটি চ্যানেল থাকলে অনেক সুবিধা। সেসব সুবিধার কথা থাকছে, তার আগে আসুন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন তার বিস্তারিত জেনে নেই।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন – পর্যায়ক্রমিক ধাপ
আপনার নিশ্চয়ই একটি জিমেইল একাউন্ট আছে? যদি থাকে তবে আপনি এখনি www.youtube.com ঠিকানায় চলে যান। সেখানে (ডেস্কটপ) উপরের ডান দিকেই পাবেন নিচের নির্দেশিত সাইন ইন বাটন।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
এবার নিচের মত একটি লগিন ফর্ম আসবে। এখান থেকে লগিন করুন।
এখানে ইমেইল অথবা ফোন নম্বর লিখে খুব দ্রুত (Next) এ ক্লিক করে পরবর্তী স্টেপে চলে যান। পাসওয়ার্ড দিতে হবে, এবার আপনি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করার জন্য প্রস্তুত।
আর যদি আপনার কোন জিমেইল আইডি না থাকে তবে উপরের ছবিতে দেখানো Create account এ ক্লিক করে একটি নতুন জিমেইল একাউন্ট চালু করতে পারেন।
তো জিমেইল একাউন্ট খোলার পুরো ব্যাপারটা আলোচনা না করে আমরা চলে যাচ্ছি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী পদ্ধতির দিকে। আশাকরি ইতিমধ্যেই আপনি ইউটিউবে সাইন ইন করে নিয়েছেন। তাহলে আপনার জন্য ইউটিউব দেখতে লাগবে নিচের মত। অর্থাৎ আপনি কিছু নতুন বাটন পাবেন।
আশাকরি আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে চ্যানেলের যে লিংক পাওয়া যাবে তা আবার কাষ্টম লিংক করা যায়, তবে তার জন্য কমপক্ষে ১০০ সাবস্ক্রাইব এবং আরো কিছু শর্ত আছে। কাষ্টম লিংক বা ইউআরএল(url) youtube.com/yourcustomname and youtube.com/c/yourcustomname এরকম হবে। বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন- https://kivabe.info/youtubechannel
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন কেন?
একটা কথা হচ্ছে এত কষ্ট করে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবো কেন? ইউটিউবে ভিজিট করলেই তো ভিডিও দেখা যাচ্ছে। হ্যাঁ, যুক্তি খারাপ না। তবে আপনি যদি লাইক, কমেন্ট করতে চান কিংবা আপনার কোন লম্বা ছবি দেখছেন, পুরোটা দেখতে পারেন নি, পরে দেখবেন এমন সব সুবিধা পেতে চান। অথবা হিস্টোরী থেকে অনেক আগে দেখেছেন এমন ভিডিও আবার দেখতে চান তাহলে চ্যানেল এর বিকল্প নেই।
ইউটিউবে লগিন করলেই একটা ডিফল্ট চ্যানেল তৈরী হয়। সেটি সাজিয়ে নিলেও হয়। তবে, নিজের কিছু ভিডিও যদি মানুষকে দেখানোর দরকার মনে করেন, কিংবা ব্লগিং বা ভ্লগিং করে নিজের ইচ্ছেমত ভিডিও মানুষকে দেখানোর জন্য চ্যানেল আবশ্যিক।
ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনেকেই এখন আয় করছেন। আয়ের কারনেও একটা চ্যানেল খুলতে হতে পারে।
এছাড়া ব্যাক্তিগত ভিডিও লাইব্রেরী করে রাখতে পারেন, যা প্রাইভেট হিসেবে আপলোড হবে। আপনি ছাড়া আর কেউ দেখার সুযোগ নেই।
ব্যাবসার জন্য এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলছেন। যাতে নিজেদের নিয়মিত আপডেট ছাড়াও নানান তথ্য প্রকাশ করছেন। এছাড়াও যারা ওয়েবসাইট ম্যানেজ করেন তারা সরাসরি ভিডিও সাইটে আপলোড না করে ইউটিউবে আপলোড করে তার এম্বেড শেয়ার করেন।
কিভাবে ইনফোঃ কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন, এই বিষয়ে আরো কোন তথ্য জানতে চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করুন।
মন্তব্যসমূহ