ফেইসবুক ভাল মন্দ মানুষের জায়গা। কিন্তু মজার জায়গা যেখানে যা খুশি তাই করা যায়। একবার যদি আপনার ফলোয়ার লাখ পেরিয়ে যায় তবে ভাবুন আপনি কোথায় চলে গেছেন, সেলিব্রিটি! হ্যাঁ তাই। ফেইসবুকের কিছু টেকনিক আর আপ্ননার চিন্তা ব্যবহার করে আপনি হয়ে যেতে পারেন ফেইসবুক সেলিব্রিটি। কিংবা সফল ফেইসবুকার। জেনে নিন কিভাবে হবেন এমন কিছু যা আপনি হতে চাচ্ছেন। ফেইসবুক জনপ্রিয় সব দেশের মানুষের কাছেই। ফেইক আইডি সহ এই সাইটে ইউজার সবচে’ বেশি। অন্য কোন সোশ্যাল সাইটে এত সংখ্যক ইউজার নেই। এর মধ্যেও কিভাবে ফেইসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াবেন?
ফেইসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াতে আপনার প্রোফাইল সাজানো দরকার
প্রোফাইলঃ ফেইসবুক প্রোফাইল একটি গুরুত্বপুর্ন ব্যপার। প্রোফাইলে যদি আজে বাজে কিছু থাকে তবে কেউ এড করবে না। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো দূরে থাক, একসেপ্ট করবে না। তাই রুচিশীল কিছু একটা দিয়ে কভার ফটো কিংবা প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। নিজের ছবি দিয়ে প্রোফাইল করার চেয়ে ছদ্ম কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে জনপ্রিয়তা বাড়ে । ফেইসবুক সেলিব্রিটি হওয়ার সাথে প্রোফাইল ছবির অনেক সম্পর্ক আছে। মনে রাখবেন আপনি ফেইসবুকের বাইরে কোন সেলিব্রিটি নন।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
ব্যাক্তিগত তথ্যঃ এবাউট সেকশনে ব্যাক্তিগত তথ্য দিন। অন্তত আপনি কী করেন তা যেন বুঝতে পারা যায়। এছাড়াও আপনার পছন্দ অপছন্দ জানাতে পারেন।
ফেইসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত কিছু প্রকাশ করুন
নান্দনিক স্ট্যাটাসঃ ফেইসবুকে নান্দনিক স্ট্যাটাস এনে দিতে পারে চরম সফলতা। কেবল মাত্র লিখে আপনি যা করতে পারবেন তা আর অন্য অনেকভাবেই করতে পারবেন না। তাই পোষ্ট করার সময় আজে বাজে না করে ভাল জিনিস কিছু পোষ্ট করুন জনপ্রিয়তা বাড়বে। আপনার লক্ষ্য যদি হয় জনপ্রিয় হবার তবে কেন আপনি খারাপ আর নিচু মানের পোস্ট করবেন?
ফেইসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াতে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠাতে পারেন,
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানঃ এই কাজ সবাই জানেন এবং করেন ও। তবু আমি কেন জানাচ্ছি? হ্যাঁ, এমন কেউ কি আছেন যিনি একবারের জন্য ব্লক খান নি? ফেইসবুক অতিরিক্ত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সহ্য করে না। ব্লক করে দেয়। আপনি সাত দিনের জন্য ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এবং মেসেজ দিতে পারবেন না। কি চরম কষ্ট। এইভাবে ব্লক খেতে খেতে একদিন দেখলেন যে আপনাকে দিয়ে বলছে, ফটো ভেরিফিকেশন করতে। এবার আম সহ ছালাও গেল। এই আইডি খুব সহজে আর পাবেন না। তার কারন খুব জটিল কাজ।
ফেইসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াতে কিছু কৌশল নিন
কি করবেন শুরু থেকে? ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক জেনে নিন। সবাইকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না দিয়ে আপনার যারা ফ্রেন্ড সাজেশন লিস্টে আছে তাদের কে পাঠান। মনে রাখবেন যাদের সাথে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে, তাদেরকে বেশি পাঠাবেন। নতুনদেরকে পাঠানোর আগে একটু ভেবে নিবেন। তবে নতুন দের পাঠাতে পারেন। পাঠানোর সাথে সাথে কিছু আগের বন্ধুদের সাজেষ্ট করবেন। তাতে আপনার তেমন কোন সমস্যা হবে না। এভাবে আপনি কিছু ফ্রেন্ড বাড়াতে পারেন।
ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিন
তাছাড়া বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিয়ে ও আপনি ফ্রেন্ড বাড়াতে পারেন। তবে ভুয়া ফলোয়ার কিংবা ফ্রেন্ড বাড়িয়ে তেমন কোন লাভ নেই। গ্রুপে বিভিন্ন লেখা লিখে প্রকাশ করুন। ভাল লেখা হলে যে কোন গ্রুপ সেটা এপ্রুভ করে। অডিয়েন্স বাড়বে।
অডিয়েন্স লাগবেই, তা না হলে শুরু হবে কী দিয়ে? তাই বলে অডিয়েন্স যেন এমন না হয় যারা আপনাকে ঠেলে দিতে পারে নির্বোধের দলে। সুতরাং সাবধানে পা ফেলুন। ফেইসবুকে ফেইক আইডি অনেক আছে। ফেইসবুকে ফেইক আইডি চেনার উপায় অনেক আছে। ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করলে পাবেন।
ফেসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত যুক্ত থাকুন
রেগুলারিটিঃ রেগুলার কিছু না কিছু যদি পোষ্ট না করেন তবে আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারেন। পপুলার হবার জন্যে সময়ের সাথে সাথে কমেন্ট শেয়ার এসব রেগুলার করা উচিত। ধরুন আপনি প্রারম্ভিক কিছু অডিয়েন্স পেয়েছেন। অথচ সেই অডিয়েন্স কে কিছুই জানালেন না তো কিভাবে আপনার দিকে তারা তাকাবে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি স্বাভাবিক কিছু নিয়ে এগিয়ে যান। টার্গেট থাকবে আপনি যে দিকে ভালো সেই বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া। ফেইসবুকে অডিয়েন্স এর সাথে গভীর সম্পর্ক করার জন্য নিজের ক্ষমতা ব্যাবহার করুন। দেখুন আপনি নিজে কী করতে পারেন। খুঁজে বের করুন। সেই বিষয়ে রেগুলার কিছু না কিছু পোষ্ট করুন। সেটা হতে পারে ছবি, পাজল, ধাঁধা, কিংবা নিউজ অথবা রিভিউ অন্য কিছুও হতে পারে যেমন গান ছড়া, কবিতা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সাধারন জ্ঞান। কোন ধরাবাঁধা নীয়ম নেই আপনি কী নিয়ে এগুবেন। তবে যাই নিয়ে এগোন না কেন ফেইসবুকে আপনাকে হতে হবে একান্তই ইউনিক। দেখবেন আপনি সেরা হয়ে যাচ্ছেন। এমন কথা কে অস্বীকার করবে যে আপনি যদি সত্যিকারের ক্রিয়েটিভ হন তবে আপনাকে সুপার স্টার বনে যেতে সময় লাগবে না?
ফেসবুক ফ্রেন্ডদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে রেসপন্স করুন, উত্তর দিন তাদের জিজ্ঞাসার
রেসপন্সঃ আরো একটি উল্ল্যেখযোগ্য দিক হচ্ছে রেসপন্স। আপনাকে কে কী লিখল আর আপনি তার কী উত্তর দিলেন তাও কিন্তু বিচারাধীন। সকল অডিয়েন্স এই বিচারই করে যে সে যাকে ফলো করছে সে কী উত্তর দিচ্ছে? কিভাবে প্রকাশ করছে। মাথা ঠান্ডা আছে না চড়াও হয়েছে এসব। আসলে আপনার ইন্টারএক্টিভ গুনাবলী বা ভাব ই আপনাকে একটা সাধারন রূপ দিতে সক্ষম যা সেলিব্রিটি থেকে রাতারাতি ফ্লপ খাইয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিতর্কিত বিষয়ে না বুঝে উত্তর করা কিংবা জড়ানো ঠিক নয়।
মোটের উপর কথা হচ্ছে আপনি মনে রাখুন, আপনি যখন ফেইসবুকে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের সামনে কিছু পোষ্ট করছেন তা নিতান্তই পনের হাজার মানুষ দেখতে পাবে এবং এই পোষ্ট এর প্রচার একটি বড় নেতার সভার চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। তাই বুঝে শুনে লিখুন, প্রকাশ করুন আর নিজেকে দেখান।