নিজের কাপড়চোপড় পোশাক পরিচ্ছেদ এখন আগের মত অনেকেই পরিষ্কার করেন না। লন্ড্রীর দোকান বা কাজের লোককে দিয়েই সেরে ফেলেন এই কাজ। যেভাবেই ব্যবহৃত পোশাক ওয়াশ করেন না কেন তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা থাকলে কাজে আসতে পারে। প্রচলিত দ্বারার চেয়ে কিছু ভিন্ন তথ্য থাকছে এখানে।ব্যবহৃত পোশাক ওয়াশ করা নিয়ে কিছু তথ্য থাকছে আজ।
ব্যবহৃত পোশাক ওয়াশ এর একটা নীয়ম তৈরী করুন
আপনার মোট কতটি পোশাক আছে তার মধ্যে কতটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তার একটা তালিকা তৈরী করে রাখুন। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এখনো একটি নীয়ম আছে, একেক সময়ের জন্য একেক পোশাক নির্ধারন করে রাখা। যেমন প্রতিদিনের এক ধরনের পোশাক, অফিসে অন্য পোশাক, বিয়ে বাড়িতে একটা অথবা নানা অনুষ্ঠানে একেকটা। এর মধ্যে কাপড় বা পোশাক ওয়াশ করার জন্য নানান রকমের ভুল হয়ে যায়। তাই একটি সাধারন নীয়ম নির্ধারন করতে পারলে ভাল হয়। নীয়মের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকতে পারে-
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
১। নির্দিষ্ট পরিমান কাপড়চোপড় দিয়ে শুরু করুনঃ হুট করে পোশাকের পরিমান বাড়ানো ব্যয়বহুল, তাই শুধু মাত্র দরকারী একটি পরিমান দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনার যদি এক সপ্তাহের জন্য কাপড়চোপড় থাকে তবে সবচেয়ে বেশি ভাল হয়। এর চেয়ে বেশি থাকলে সপ্তাহ দিয়ে ছক তৈরী করতে পারেন। কোন পোশাক কোন দিনে পরবেন তার একটা তালিকা থাকতে পারে। এর জন্য ওয়াশ করারও একটা নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় নির্ধারন করা যেতে পারে।
২। রঙ এবং কাপড়ের ধরন অনুযায়ী ওয়াশিং পাউডার নির্ধারন করুনঃ সাদা কিংবা কালো এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপের ওয়াশিং পাউডার বা সাবান ব্যবহার করতে হয়। একই ধরনের কাপড় হলে পাউডার বা সাবানের পরিমান একই রাখা যেতে পারে। আবার যদি ফেব্রিক ভিন্ন ভিন্ন হয় সে ক্ষেত্রে পাউডার বা সাবানের ধরন বদলানো যেতে পারে। যেমন কটন ফেব্রিক আর নাইলন ফেব্রিক একই পরিমান ওয়াশিং পাউডার দিয়ে ধোওয়া যায় না। ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন হবে। আবার ভিন্ন রঙের কাপড়চোপড় হলে ওয়াশিং পাউডারের পরিমান কম বেশি হলে রঙ উঠে যাওয়া সহ নানান অসুবিধা হতে পারে।
৩। কাপড় ধোয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় সংরক্ষণঃ কাপড় ধোয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় লাগবে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কাপড় ধোয়ার সময় এতে পাউডার পানিতে গুলিয়ে প্রস্তুত করতে হয়, নির্দিষ্ট সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়, তারপর অন্তত দশ মিনিট পরে হাতে ঘষে বা ব্রাশ দিয়ে ঘষে ময়লা পরিষ্কার করতে হয়। এর পর পানিতে ডুবিয়ে কাপড় পরিষ্কার করতে হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের দরকার হয়। এছাড়াও কাপড় শুকানোর জন্য সময় দরকার। সব মিলিয়ে কাপড় ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য অন্ততঃ এক ঘন্টা বা ৪০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা দরকার।
ব্যবহৃত পোশাক ওয়াশ এর জন্য কিছু বেসিক বিষয় অনুসরণ করুন
কাপড় ধোয়ার জন্য কিছু বেসিক বিষয় অনুসরণ করা দরকার। তার মধ্যে উল্যেখযোগ্য কিছু হচ্ছে-
- কাপড়কে ক্যাটাগরী অনুসারে পৃথক করুন, এডাল্ট, চিলড্রেন এবং পাতলা কাপড় মোটা কাপড়, কালার ইত্যাদি।
- কাপড়ের মধ্যে থাকা নির্দেশিকা অনুসরণ করুন। কেয়ার লেবেল দেখুন।
- কাপড় ধোয়ার পানি অবশ্যই যেন খর বা হার্ড ওয়াটার না হয়। মৃদু পানি কাপড় ধোয়ার জন্য নির্বাচন করতে হবে
- কাপড়ের ধরন অনুযায়ী সাবান বা ওয়াশিং পাউডার নির্ধারণ করুন।
- একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাপড়কে ওয়াশ করুন। ব্যবহৃত কাপড় যেখানে সেখানে দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা কাপড়ের ক্ষতি করে।
- ধোয়ার পর নিংড়ানো উচিত, কাপড়ের মধ্যে যেন কোন পানি জমে না থাকে।
- নিংড়ানো আগে কিংবা সেই সময় কাপড়ের pH চেক করুন। ক্ষারীয় অবস্থায় কোন জামা কাপড় পরলে তা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। যেসব কাপড় শরীরের সংস্পর্শে থাকে তার pH ৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে থাকা উচিৎ। বাজারে লিটমাস পেপার কিনতে পাওয়া যায় যা দিয়ে খুব কম খরচে pH মাপা যায়। এসব পেপারকে পিএচ পেপারও বলা হয়।
মন্তব্যসমূহ