পারিবারিক জীবনে অনেকের বেলাতেই ঝগড়া হয়।পরিবারের যে কোন সদস্যের সাথেই ঝগড়া হয়ে যেতে পারে। এর জন্য ঝগড়া মিটাতেও কম চেষ্টা করে না মানুষ। কিভাবে সহজে পারিবারিক ঝগড়া সমাধান করা যায় তা একটি প্রশ্ন। অনেকের মাথায় এমন প্রশ্ন ঘোরে। আসুন আজ চেষ্টা করে দেখি।
পারিবারিক ঝগড়া সমাধান করতে জানুন- ঝগড়া কেন হয়েছিলো?
যে কোন ঝগড়া শুরু হবার পেছনে একটা নির্দিষ্ট কারন থাকে। এর কারন হতে পারে খুবই তুচ্ছ কিংবা অনেক বড়। যে কারনই হোক তা আগে খুঁজে বের করতে হবে। কথা বলুন সবার সাথে। কোন ভাবেই এড়িয়ে যাবেন না ঝগড়া শুরুর প্রথম দিকের অবস্থা। মূল কারন বের করতে পারলে বাকী বিষয়টা খুবই সহজ।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
পারিবারিক ঝগড়া সমাধান করতে যুক্তি তর্ক প্রয়োগ করা
যুক্তি তর্ক সব সময় কাজে আসবে তা কিন্তু নয়। এর সুফল এবং কুফল দু’টিই আছে। তাই যখন ঝগড়ার কারন খুবই তুচ্ছ হবে তখন যুক্তি তর্ক বাদ রাখুন। সাধারন কথাবার্তায় ঝগড়া সমাধান করুন। যদি অনেক বড় কোন কারনে ঝগড়া হয় তখন যুক্তি তর্ক প্রয়োগ করুন।
দৃষ্টান্ত ব্যাবহার করে পারিবারিক ঝগড়া সমাধান করতে পারেন
আমাদের আশেপাশেই অনেক দৃষ্টান্ত থাকে। অনেক ত্যাগ থাকে। যেমন কিছুদিন আগেও একটা হরিন এর বাচ্ছা জলে সাঁতরে পার হবার সময় কুমির আক্রমন করে। তখন মা হরিন এসে কুমিরের সামনে নিজেকে সোপর্দ করে বাচ্ছাকে বাঁচিয়ে দেয়। এরকম ভিডিও দেখেছেন নিশ্চয়? এধরনের আরো কঠিন দৃষ্টান্ত দিয়ে পরিস্থিতি সহজ করতে পারেন। দেখবেন কঠিন ঝগড়াও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
পারিবারিক ঝগড়া সমাধানের জন্য দুই পক্ষকে এক সাথে বোঝানোর চেষ্টা বাদ দিন
অনেকেই সমাধান শুরু করেন দুই পক্ষকে এক সাথে নিয়ে বসে। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষ আবারো বারবার সমস্যা তৈরী করতে পারে। তাই একেক সময় একেকজনের সাথে কথা বলুন। তারপর সমাধানের সময় এক সাথে নিয়ে আসুন।
বারবার কথা বলুন, বোঝান কয়েকবার
পারিবারিয়ক ঝগড়া হলেই যে এটি খুব সহজে একবারে মিটে যাবে তা ভাবার কারন নেই। অনেক সময় এরকম সমস্যা অনেক দিন ধরে চলতে পারে। তাই হাল ছেড়ে না দিয়ে বারবার বোঝান। নানান দিক থেকে নানান পদ্ধতিতে বুঝিয়ে শুনিয়ে একমত করানোই ভাল সমাধান হতে পারে।
পরিবারে সবার গুরুত্ব সমান এমন কিছু বিস্তারিত বুঝাতে পারেন
পারিবারিক ঝগড়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড়রা ছোটদের গুরুত্ব না দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এটা ঠিক নয়, বড়দের বোঝাতে হবে যে ছোটদের আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। সম্মান দিতে হয়। শুধু বড়রা সম্মান পাবে ব্যাপারটি এমন নয়। ছোটরা শাসন পাবে তাও নয়। ভারসাম্য নিয়ে আসতে হবে। বয়সে ছোট হলেও তার বয়সের দিকে খেয়াল রাখুন। আঠারো বছরের কম হলে এক ধরনের আচরন করুন। বেশি হলে আচরন সংযত করুন।
দৃষ্টিভংগী পরিবর্তন করুন
অনেক রক্ষণশীল পরিবারে ঝগড়া হয় খুব বেশি এবং কঠোর। এক্ষেত্রে দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন দরকার হতে পারে। কারন সব সময় পরিবারের সব সদস্য একই রকম পারিবারিক নীয়ম পছন্দ না ও করতে পারে। সৃংখ্যল থেকে বেরিয়ে আসতে চাইতে পারে। এর জন্য বড়দের দৃষ্টিভংগী পরিবর্তন করা দরকার।
এভাবেই পারিবারিক অশান্তি কিংবা ঝগড়া সমাধান করা যেতে পারে।
মন্তব্যসমূহ