ঢাকা শহরকে যদি ময়লার শহর বলি হয়ত অনেকেই মেনে নেবেন। এর কারন হচ্ছে প্রতি ঘন্টায় বাসায় রাখা জিনিসপত্র কিংবা আসবাবপত্রের উপর জমা হওয়া ধুলা বালির পরিমান। শহরের পরিবেশ এমন হবার কারনও অনেক। তার মধ্যে প্রচুর পরিমানে নির্মান এবং সড়ক মেরামত সহ জনগনের অসচেতনতা বেশি দ্বায়ী। জীবন বাঁচাতে আপনি হয়ত মরিয়া হয়ে উঠেছেন নিজের বাসা পরিষ্কার রাখা নিয়ে। কিভাবে বাসায় ময়লা পরিষ্কার করা যায় তা নিয়ে কিছু কথা। মনে রাখুন, বাসায় নানান কাজে অনেক ময়লা জমতে পারে। ময়লা ব্যবস্থাপনা না থাকলে আপনার জীবন অতীষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
বাসায় ময়লা পরিষ্কার করতে একটি পদ্ধতি নির্ধারন করুন
বাসায় ময়লা পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই নানান আয়োজন করে বসে থাকেন। কাজের বুয়া কিংবা এ কাজে নিয়োজিত লোকেরা অনেক বেশি হিমশিম খেয়ে একসময় কাজ ছেড়ে পালিয়ে যান। এ কারনে গৃহকর্তার নানান সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। একটি নির্দিষ্ট ময়লা পরিষ্কার পদ্ধতি আপনার স্বাভাবিক জীবনে আনতে পারে আরো বেশি গতি।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
ময়লা পরিষ্কার পদ্ধতিতে ভেজা কাপড়ের প্রয়োগ বেশি করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। কিন্তু সব জায়গায় যেহেতু ভেজা কাপড় ব্যবহার করা সম্ভব নয় তাই কিছু আসবাবপত্রে শুকনো কাপড় কিংবা ডাস্টার অথবা ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফ্লোর ভেজা কাপড়ে সবার শেষে পরিষ্কার করা উচিৎ। এছাড়াও ঘরের পরিবেশ জীবানুমুক্ত রাখার জন্য কিছু জীবানু নাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ময়লা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ মেনে চলা জরুরী। যেমন-
ময়লার ধরন নির্ধারনঃ ময়লা নানান রকমের হয়। যেমন ১) প্রতিদিনের ময়লা( ধুলাবালি, তরকারী, খাবারের পর ময়লা ইত্যাদি) ২) সাময়ীক বা অনুষ্ঠান ভিত্তিক ময়লা( কোন মেহমান বা নানান সময়ে ফল মূল খাওয়ার বাড়তি ময়লা ইত্যাদি)
পরিষ্কারের ধরন নির্ধারণঃ ১) সাধারন পরিষ্কার পদ্ধতি ২) স্থায়ী পরিষ্কার পদ্ধতি
পরিষ্কারক উপাদান নির্ধারণঃ ঝাড়ু, কাপড়, বালতি, ডাস্ট বিন বা ময়লা ফেলার ঝুড়ি, জীবানুনাশক ইত্যাদি
রুটিন নির্ধারনঃ প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করা লাগে কি না দেখতে হবে। যদি একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে বাসায় ময়লা পরিষ্কার করা যায় সবচেয়ে ভাল হয়। স্বাভাবিক জীবন সহজ হয়।
বাসায় ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারনঃ সব জায়গায় সব ময়লা না ফেলে কোথায় কিভাবে ময়লা রাখা যায় তা নির্ধারন করা।
বাসায় ময়লা ব্যবস্থাপনার উপায়
বাসায় বাচ্চাকাচ্চা থাকলে ময়লার পরিমান হয় অনেক বেশি। আবার মানুষ বেশি থাকলেও ময়লা হয় বেশি। এছাড়া আমাদের জুতায় বয়ে বেড়ানো ময়লাও ফেলনা নয়। হিসেবে ধরতে হয়। শরীরের মধ্যে কিংবা জামা কাপড়ের মধ্যে থেকেও ময়লার পরিমান বাড়ে। তাছাড়া বাসায় যে সকল স্থানে চোখ যায় খুবই কম সেসব স্থানেও ময়লার রাজত্ব থাকে।
ময়লার এসব আধিপত্য কমাতে হলে অন্তত প্রতিদিন একবার নিয়মিত ঝাড়ু পরিষ্কার করতে হয়। বাসায় ময়লা পরিস্কার করার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার পদ্ধতি আবশ্যক। তাছাড়াও দরজা জানালা বন্ধ রাখা উচিৎ। বাসা যদি ফার্স্ট ফ্লোর মানে একতলা বা দোতলায় হয় তবে ময়লার বিস্তৃতি কমানোর জন্য দরজা জানালা প্রায়ই বন্ধ রাখা উচিৎ।
সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে অন্তত একবার হলেও স্থায়ী ময়লা পরিষ্কার করা উচিৎ
এক্ষেত্রে বাসায় সব জায়গায় পদচারনা করে ঝাড়ু এবং ডাস্টার বা নানান ধরনের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে সব জায়গার ময়লা বের করে নিয়ে আসা উচিৎ। কোথাও কোন অব্যবহৃত জামা কাপড় বা সরঞ্জামাদি কিংবা যন্ত্রাংশ বা আসবাবপত্র পড়ে থাকলে তা সরিয়ে ফেলা উচিৎ। এসব জায়গায় পড়ে থাকলে এক সময় পোকা মাকড়ের বাসস্থানে পরিনত হতে পারে। অনেক সময় বিষাক্ত পোকারাও বসত শুরু করে দেয়।
এছাড়াও প্রতিবার পরিষ্কার করার পাশাপাশি ময়লা জমিয়ে না রেখে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলা উচিৎ। এভাবেই এক সময় সুন্দরভাবে বাসায় ময়লা পরিষ্কার করা যায়।
মন্তব্যসমূহ