মাথা ব্যাথা একটি অতি প্রাচীন আর সাধারন সমস্যা। মাথা ব্যাথা রোগের কারন অনেক। কিন্তু তারপরেও সব মাথা ব্যাথা একরকম নয়। কিছু কিছু রোগের পূর্ব লক্ষন হচ্ছে মাথা ব্যাথা। এ নিয়ে হেলাফেলা করার মতো কিছু নেই। বয়স যা ই হোক মাথা ব্যাথা হলেই একজন মানুষের কিছু গুরুত্বপূর্ন চেক আপ কিংবা অবজার্ভেশন এর দরকার হয়। তাই আজ আমরা এরকম কিছু অবস্থা নিয়ে আলাপ করবো। যদিও মাথা ব্যাথা নিয়ে প্রবাদ আছে-
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যথা। মা বলেছে আমার নাকি মাথা ধরেছে। মাথা নেই তার মাথা ব্যথা। এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে,আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা।
মাথা ব্যাথা সনাক্ত করনঃ মাথা ব্যাথা রোগের কারন জানার আগে জেনে নিন এর ধরন কেমন?
International Headache Society (IHS) মাথা ব্যাথাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। একটি প্রাথমিক পর্যায়ের মাথা ব্যাথা , মাধ্যমিক পর্যায়ের মাথা ব্যাথা অন্যটি যন্ত্রনাদায়ক ক্রানিয়াল মাথা ব্যাথা ।
প্রাথমিক পর্যায়ের মাথাব্যাথায় অন্য কোন বডি পার্টস সেরকম ভাবে দ্বায়ী না থাকলেও একক ভিত্তির উপর এই ব্যাথা শুরু হয়। অতিরিক্ত খাটা খাটুনি, ঘুম কম কিংবা খুব হতাশাজনক পরিস্থিতিতে এমন মাথা ব্যথার উপদ্রব হয়। এছাড়া অতিরিক্ত চিন্তা থেকেও এ ধরনের মাথা হতে পারে। যেমন মাইগ্রেইন টাইপ মাথা ব্যাথা, টেনশন টাইপ হেডেক বা (টিটিএইচ), টিএসি’স এবং অন্যান্য সাধারন মাথা ব্যাথা এপর্যায়ের মধ্যে পড়ে।
মাধ্যমিক পর্যায়ের মাথা ব্যাথা শুরু হবার পেছনে শরীরের অন্যান্য অংশের প্রভাব থাকে। যেমন এলকোহলিক সাইড ইফেক্ট যা প্রতিদিনই বা নিয়মিত চলতে থাকে। ব্রেইন টিউমার, মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ কিংবা স্ট্রোক অথবা ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা। এছাড়াও অনেক বিস্তৃত কারনে এই ধরনের মাথা ব্যাথা হতে পারে। একে ইনজুরী টাইপ মাথা ব্যাথাও বলা হয়। এর প্রভাব মাথা থেকে ঘাড় কিংবা মুখের দিকেও বিস্তৃত হতে পারে। এ ব্যাথা নিয়মিত পর্যায়ে চলতে থাকে বলে এর জন্য জরুরী পদক্ষেপ নিতে হয়।
যন্ত্রনাদায়ক ক্রানিয়াল মাথা ব্যাথা হতে পারে মাথা থেকে মুখের দিকে প্রচন্ড যন্ত্রনার প্রতিচ্ছবি। এর জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন হুট করেই অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এটা বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন থেকেও হতে পারে। তবে এ নিয়ে আইএইচএস ছাড়াও International Association for the Study of Pain (IASP) কাজ করছে। তাই একে নিউরোলজিক্যাল থিওরী মোতাবেক চিকিৎসা করা হয়।
মাথা ব্যাথা হলে কী করবেন? কিভাবে মাথা ব্যাথা রোগের চিকিৎসা করবেন?
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন এজন্যই যে প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই কম বেশি মাথা ব্যাথা হয়েছে। কিংবা এখনো হচ্ছে। এর জন্য বেশিরভাগ মানুষেই যা করেন তা হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেয়ে ব্যাথা কমানোর চেষ্টা করেন। এছাড়াও অনেকেই বিভিন্ন পেইনকিলার ঔষধ খেয়ে সাময়িক সুবিধা নিয়ে নেন।
অনেকেই আবার সাধারনত আকুপাঞ্চার, মেডিটেশন, থেরাপী ইত্যাদি প্রয়োগ করেন।
সবচেয়ে বেশি ভাল হয় যদি কোন ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিয়ে মাথা ব্যাথা নিয়ন্ত্রন করা যায়। পরপর কয়েকদিন প্রাথমিক পর্যায়ের মাথা ব্যাথা থাকলেও সম্ভব হলে কিছু চেক আপ করিয়ে নেয়া ভালো, ব্রেইন স্ক্যান বা সিটি স্ক্যান কিংবা এমআরআই করালে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
ডাক্তারের অবশ্যই যেতে হবে যদি মনে হয় মাথা ব্যাথায় মুখ কিংবা ঘাড় সহ ব্যথা হয়। এটা স্ট্রোক কিংবা ডিহাইড্রেশনের পূর্ব লক্ষণ কি না তা দেখা দরকার। অন্তত একজন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।
মন্তব্যসমূহ