পায়ের তালু ফেটে অনেকেরই রক্তারক্তি অবস্থা হয়। শীতে এর প্রকোপ অনেক বেশি। তাই পায়ের যত্ম নিতে ভুলে গেলে চলবে না। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা থাকে অনেক কম। যার জন্য সারা শরীরের চামড়া থেকে আর্দ্রতা ধীরে ধীরে বাতাসের দিকে ধাবিত হয়ে ত্বক হয় দারুন শুষ্ক। পায়ের তালুতে কোন প্রকার তৈল গ্রন্থি না থাকায় তা ফাটতে শুরু করে। পা ফাটা থেকে অনেকেই নানান ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। অথচ একটু সাবধান হলে পা ফাটা প্রতিরোধ করা যায়। সুস্থ্য পা আর সুস্থ্য শরীর এর দুই ই কাংখ্যিত। শীতকালে সাবধানতা আর বাড়তি যত্ন হতে পারে অনেক বেশি সহায়ক। কিভাবে শীতে পা ফাটা প্রতিরোধ করবেন, আসুন জেনে নিই পা ফাটা দূর করার উপায়।
কিভাবে শীতে পা ফাটা প্রতিরোধ করা যায়, পা ফাটা দূর করার উপায়
পায়ের শুষ্কতা দ্বায়ী অনেক বেশী, তাই তৈলাক্ত কিছু একটা মালিশ করে দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরিষার তৈল কার্যকরী। তবে ফেটে যাবার আগে হলে ঠিক আছে, কিন্তু ফেটে যাবার পরে সরিষার তৈল ধীরে ধীরে কাজ করে।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
পা পরিষ্কার করাঃ শীতের আগে থেকেই পায়ের পাতা/তালু থেকে ঘষে মৃত কোষ কিংবা চামড়া পরিষ্কার করে ফেলা দরকার। এক্ষ্রেত্রে প্রতিদিন পা ভিজিয়ে রেখে কিছু সময় ঘষে তার পর গ্লিসারিন বা তৈলাক্ত কিছু মেখে দিতে হয়।
লেবুর রস যুক্ত পানিতে পা ডুবিয়ে রেখে দিলেও পায়ের মরা কোষ ঝরে পড়তে শুরু করে। এভাবেও পায়ের পাতা পরিষ্কার করা যায়। পরিষ্কার হয়ে গেলে যথারীতি বডি লোশন, বা গ্লিসারিন মেখে দিলে পা ফাটা প্রতিরোধ হয়।
মোজা ব্যাবহারঃ মোজা ব্যবহারের ফলে পায়ে কিছুটা আদ্রতা ফিরে আসে। এর কারন ঘাম তৈরী হয়। আর্দ্রতা ফিরে আসলেই পা ফাটা কমে যায়। মোজা ব্যবহার করতে সমস্যা হলে ক্যাডস বা সু পরে দেখতে পারেন।
রাতের বেলা শোবার আগে পা ধুয়ে অন্তত কিছুক্ষন পায়ে গ্লিসারিন মালিশ করা উচিৎ। পায়ের গোড়ালীতে তেল বা গ্লিসারিন মালিশ করলে পা ফাটে কম।
নিয়মিত গোসল করাঃ শীত কালে নিয়মিত গোসল করাও পা ফাটা প্রতিরোধে সহায়ক। এর জন্য গোসলের সময় পায়ের গোড়ালী ঘষে পরিষ্কার করা, গোসল শেষে গ্লিসারিন বা তৈলাক্ত কিছু বা বডি লোশন মালিশ করা। তবেই পা ফাটা রোধ করা যায়। পা ফাটা দূর করার উপায় হিসেবে এসব জরুরী বিষয়গুলোকে মেনে চলা উচিৎ।
শীতকালীন সব্জীঃ অনেকের মতেই শীতকালীন সব্জী হচ্ছে চামড়া সতেজ করার একমাত্র উপায়। শীতের শাক সব্জী বেশি পরিমানে খেতে পারলে শরীরের চামড়া অনেক বেশি সতেজ আর জীবন্ত হয়ে উঠে।
আশা করি শীতের শুষ্কতায় আপনার ত্বক হয়ে উঠবে প্রানবন্ত।
মন্তব্যসমূহ