লেখক হতে চাইলে লেখক হওয়া যায় কথাটা অনেক বেশি সত্যি আর বাস্তব। প্রথম ইচ্ছেটাই সবার থেকে আলাদা একটা অনুভুতি এনে দেয়। আমি লেখক হবো। এর সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। কিন্তু অনেকেই পারনে না তাদের এই ইচ্ছাটাকে শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ দিতে। কেন পারেন না? আপনি তাহলে কিভাবে লেখক হবেন? হ্যাঁ পাঠক বন্ধু আজ আমি সেই সুন্দর ইচ্ছাটাকে বাস্তবে রুপ দিতেই আপনাকে সাহায্য করবো।
প্রথমেই জেনে নিই লেখক কারা? কিভাবে লেখক হয়েছেন তাঁরা? সেরা লেখক কি আপনার আশেপাশেই আছে কিংবা থাকে? এসব জানার ভেতরে কিছু গুরুত্বপুর্ন ব্যপার আছে। যার ভেতরে আপনি কিভাবে লেখক হবেন তার ক্লু আছে।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
যিনি নিয়মিত লেখেন তিনিই লেখক। কিন্তু জনপ্রিয় লেখক হচ্ছেন তিনি যার লেখার অনেক পাঠক থাকেন। যেমন হুমায়ুন আহমেদ একজন জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা অনেকেই পড়েন। আবার দলিল লেখক আছেন যার লেখা কেউ কোন দিনও পড়তে চান না যদি জমির কোন সমস্যা না থাকে। আশাকরি লেখক সম্পর্কে আপনাকে আর কিছু বলার দরকার নেই।
কিভাবে লেখক হবেন?
কিভাবে লেখক হবেন? আমাদের সেরা লেখকেরা কিভাবে লেখক হয়েছেন তা জেনে রাখা উচিৎ। বিশ্বের সেরা ১০০জন লেখকের জীবনি আজই সংগ্রহ করে পড়া শুরু করুন। চোখে পানি চলে আসার মত কিছু কাহিনী আছে। জর্জ বার্নার্ড শ লেখক হবার জন্য প্রতিদিন ১০ পাতার বেশি লিখতেন। যা মনে আসত তাই তিনি লিখতেন। এক সময় তিনিই হয়েছেন কালজ্বয়ী লেখক। আর অন্যান্য লেখকের ক্ষেত্রে অনেক অনেক বাঁক ছিলো, জীবনের বাঁকে তারা সময়কেই বাঁকে ফেলেছেন। নিজেরা হয়েছেন সেরা লেখক। কিভাবে লেখক হবেন । আর কিভাবে সেরা লেখকগনের জীবনি পড়বেন তার পুরোটাই আপনাকে ঠিক করতে হবে। শুরু করুন।
কিভাবে লেখক হবেন কিংবা শুরুটা কিভাবে করবেন?
আগে ঠিক করুন আপনি কী ধরনের লেখক হবেন? আপনি কি লিখবেন? অনেক দিক রয়েছে যা আপনাকে শুরুর দিকেই জানতে হবে। লেখালেখির অনেক মাত্রা আছে। যেমন গল্প উপন্যাস, নাটক, কবিতা, স্ক্রিপ্ট(নাটকের জন্য লিখেন), আর্টিক্যাল, গবেষনামুলক, জীবনীগ্রন্থ, ব্লগিং সহ আরো অনেক কিছু। যা ই লিখবেন তা আগে ঠিক করে নিন। গল্প উপন্যাস লেখার জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি লাগবে । আবার আর্টিক্যাল বা ব্লগিং এর জন্য অন্য ধরনের প্রস্তুতি লাগবে। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন লেখকের লেখা অনুবাদ করতে পারেন। সেটাও লেখকেরই কাজ। সরাসরি অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করেও শুরু করতে পারেন।
নিয়মিত পড়ার অভ্যাস
আপনি যদি নিজে না পড়েন তবে ধরে নেন, আর লেখার দরকারই বা কি। লেখকের কাজ লেখা। পাঠকের কাজ পড়া। পাঠক কেন পড়েন কিভাবে পড়েন জানা না থাকলে লেখক হতে পারবেন না। যত বেশি পড়বেন ততবেশি আপনার উপর লেখকের দ্বায়িত্ব চাপবে। আপনি নিজেকে দ্বায়িত্বশীল লেখক হিসেবে নিতে পারবেন। পড়ুন, পড়ুন এবং পড়ুন। যা পড়বেন তার থেকে কম বলবেন এবং লিখবেন তার চেয়েও কম। তবেই আপনার লেখা লেখি প্রসারিত হবে। তাহলে বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই কিভাবে লেখন হবেন?
নিয়মিত লেখার অভ্যাস
আমি বলব বাধ্যতামূলক লেখার অভ্যাস। না লিখলে কিংবা কোন দিন লেখার অভ্যাস বাদ দিলেই আপনি দূরে সরে যাবেন। নিজের লেখার জন্য আরো অন্য একটা কাজ বাদ দিয়ে দিতে পারেন। তবু লেখা বাদ দেয়া চলবে না। লিখুন লিখুন এবং লিখুন। যা আপনার মনে আসে লিখুন। লিখা শেষ হলে তা জমিয়ে রাখুন। প্রতিদিনের লেখার জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন।
নিজের লেখার পাঠক হউন
আপনার লেখার প্রথম পাঠক আপনিই হবেন। হতে হবে। কারন রিভিশন না দিলে কাটছাঁট করতে পারবেন না। কাটা কাটি করে ছোট করুন। এমন ছোট করবেন না যা আর কেউ বুঝতে পারছে না। দক্ষ সম্পাদকের ন্যায় কাটছাঁট করুন।
প্রকাশ করুন
লেখাকে পাঠকের কাছে নিয়ে যান। প্রকাশ করুন। আমি এর আগেও বলেছি কিভাবে ইবুক লিখে আয় করবেন? সেখানে প্রকাশের জন্য অনলাইন মাধ্যমকেই তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যে কোন মাধ্যকে প্রকাশ করতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ