কিভাবে কনফিডেন্ট বাড়াবেন? জানার আগে জানতে হবে আত্মবিশ্বাস কী? আত্মবিশ্বাস বা কনফিডেন্ট বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বলে বুঝানোর দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। শুধু এটুকু বললেই হয়ত আপনার মনে পড়ে যাবে এই অসামান্য গুনটি কত দরকারি। আপনার চাকুরীর ইন্টারভিউতে চারপাঁচ জন যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় আর জানা কথাটাও যখন মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে না তখন বুঝতে পারা যায় কতটা আত্মবিশ্বাসী আপনি। কনফিডেন্ট লেভেল কতখানি।
জন্মসূত্রে কেউই কনফিডেন্ট হয়ে পৃথিবীতে আসেন না। সবাই এখানে এসেই নিজেকে কনফিডেন্ট করে তোলেন। সেক্ষেত্রে কিভাবে কনফিডেন্ট বাড়াবেন? সবাই কিভাবে বাড়ায়? কথা বলার সময় যদি কেউ কনফিডেন্ট না হতে পারে তবে সে হয় মন মরা টাইপের। তার সামাজিক আর্থিক আর সব দিকেই থাকে অবনতির মত ঘটনা। তাই আসুন জেনে নেই কিছু করনীয় যাতে নিজেকে আরো বেশি কনফিডেন্ট করে তোলা যেতে পারে।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
কিভাবে কনফিডেন্ট বাড়াবেন? পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক
কনফিডেন্ট বাড়ানোর জন্য অবশ্যই সবার আগে কনফিউশন ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। তারপরেও নিচের বিষয়গুলোতে নজর দেয়া যাক।
নিজেকে ভালবাসুনঃ পৃথিবীর মানুষ সবাই কিন্তু নিজেকেই ভালবাসে। তবু কেন বললাম নিজেকে ভালবাসুন? হ্যাঁ, ভালবাসার ধরন পাল্টান আর নিজেকেই বেশি ভালবাসুন। যে কেউ আপনাকে যে কোন সময় পন্য বানিয়ে দিতে পারে। কিন্তু একমাত্র আপনিই নিজেকে রক্ষা করেন এবং নিজেকে সবার কাছে তুলে ধরতে চান। তবে তাই করুন। আর সব ভুলে যান। দেখুন কিছুটা কনফিডেন্ট বেড়ে যাবে। আগে নিজের দিকটা দেখুন পরে অন্যেরটা দেখুন। মানুষের জন্য যা ই করুন মানুষ তার মূল্য নাও দিতে পারে।
নিজেকে ভালবাসার সময় অন্যকেও ভালবাসতে হয়। নইলে আপনি স্বার্থপর হিসেবে আখ্যায়িত হবেন।
নিজেকে সমর্থন দিনঃ আপনার জন্য সমর্থক দরকার? তাহলে আগে নিজেই নিজেকে সমর্থন দিন। মনে রাখুন সবাই জেতে না। কেউ তো হারেই। আপনিও সব সময় জিতবেন এমন না ভেবে নিজে যেটা করবেন বলে ঠিক করেছেন তাই করে ফেলুন। অন্যের কথার জন্য সমর্থনের জন্য কখনোই অপেক্ষা করবেন না। সমর্থন পেলে ভালো কিন্তু সমর্থন না পেলেও নিজেই ঠিক করুন আপনি কাজটি বা আইডিয়াটি কতটা ভালবাসেন। নিজেকে নিজে সমর্থন দিতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
কোন কিছু করার আগে অবশ্যই সম্ভাব্য সকল দিক ভেবে করবেন। হুট করে করে ফেলা ঠিক নয়।
মানুষ কনফিডেন্ট কে সমর্থন দেয়ঃ আপনি হেরে গেলেও যদি সেটা আস্থার সাথে করেন তবে মানুষের কাছে ছোট হবেন না। যদি নিজের কাজে নিজেই মনোবল হারান তবে তা আর কাজে পরিনতই হবে না। মানুষের সমর্থন না পেয়ে পাবেন ভর্ৎসনা। কনফিডেন্ট নিজের উপর যেমন জরুরী তেমনি কাজের উপরও জরুরী।
কোন কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই আগ্রহ ধরে রাখুন। ফলাফল যা ই হোক।
আয়নার সামনে কথা বলুনঃ এটা ভাল প্র্যাকটিস। আয়নার সামনে কথা বললে আপনি এক সময় অনেক মানুষের সামনেও অনর্গল কথা বলতে পারবেন। সুবক্তাদের এই অভ্যাসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কনফিডেন্ট ছাড়া অনেক মানুষ কেন একজন মানুষের সামনেও আপনি কথা বলতে পারবেন না। ভাবুন আপনি নিজে নিজের সামনে কতটা স্বাভাবিক!
কনফিডেন্ট সম্পন্ন ব্যাক্তি নিজেকে নিজের কাছে প্রথমে স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করেন। পরে অন্যের কাছে তা নিয়ে হাজির হন। আপনিও তা ই করুন।
মাইন্ড কেয়ার করুনঃ আপনার শরীরের চাহিদা যেমন চাহিদা পূরন করে থাকেন তেমনি মনের চাহিদাও পূরন করুন। শরীরের চাহিদার জন্য তো পান সিগারেট, ভাত মাছ কত কিছুই খেয়ে ফেলেন। মাঝে মাঝে চলে যান ভুফে ডিনারে কিংবা নিষিদ্ধ বারে! তো মনের চাহিদার জন্য কী করেন? জ্ঞান বাড়ানোর জন্য কতটা কী করেন? বই পড়া, ভ্রমন করা, মুভি দেখা, কিংবা মানষিক বিকাশে যা যা দরকার তার জন্যও সময় দিন, সুযোগ দিন। তবেই আপনি খুব ভাল মানষিকতার হতে পারবেন। আত্মবিশ্বাস এভাবেই বাড়ানো হয়।
নিজের খেয়াল রাখার জন্য আজে বাজে নেশা ভান না করে মনের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করুন। ভাল লেখকের বই পড়ুন। পজিটিভ মটিভেশনাল বই বা আর্টিকেল পড়ুন। আজকাল ফ্রী বই পাওয়া যায়। ই বই পড়তে পারেন।
সুন্দর জীবনের জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে হয়। আর আত্মবিশ্বাসী মানুষেরাই সেরা হয়। যে যত সেরা সে ততই আত্মবিশ্বাসী। নিজের উপর কনফিডেন্ট বাড়াতে হলে, নিজেকে ঠিক বলে ভাবতে হলে আগে জানতে হবে- ভাল কোনটি, খারাপ কোনটি। না জেনে, আত্মবিশ্বাসী হওয়া আর আত্মঘাতি হওয়ার মাঝে কোন ফারাক নেই। জেনে বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। আপনি ভাল থাকুন অন্যকেও ভাল থাকার মন্ত্র শিখিয়ে দিন। সবাই ভাল থাকলে কারো ক্ষতি হয় না। বরং সবাই খারাপ থাকলেই কিংবা কেউ ভাল কেউ খারাপ থাকলেই সবার ক্ষতি হয়। অপরাধ বেড়ে যায়।
মন্তব্যসমূহ