স্ত্রীর কাছে বিশ্বস্ত হতে পারাটা ব্যক্তি জীবন এবং সামাজিক জীবনের জন্য অপরিহার্য। একটু ভাবুন, আপনাকে আপনার স্ত্রী কিংবা সন্তান অথবা গার্নফ্রেন্ড বিশ্বাস করে না, আর কে আপনাকে বিশ্বাস করবে? কেউ না। যার স্ত্রী তাকে বিশ্বাস করেনা অথচ একসাথে থাকেন তার ভবিষ্যত হুমকিস্বরুপ। তাই যে কোন আইন কিংবা যে কোন সমাজ এই বিষয়ের প্রতি আলাদা একটা মুল্যায়ন করে থাকেন।
আধুনিক এই সমাজের চিত্র আবার একটু ভিন্ন। খুব কম সংখ্যক দম্পতির মাঝে এসব মিল আর বিশ্বস্ততা খুঁজে পেতেও পারেন। দাম্পত্য কলহের কারনে মানুষের এখন গতি একদিকে গিয়ে ভিড়েছে- পরকিয়া। খুবই সহজ সমাধান। কিন্তু শান্তির জন্য দরকার দাম্পত্য জীবন সুন্দর করা।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
স্ত্রীর সাথে চলাফেরা কিংবা জীবন যাপনে নিচের কিছু বিষয় মেনে চলুন মনে হচ্ছে বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না।
খোলামেলা আলাপ করুনঃ পৃথিবীর একজন মানুষ আছে যার সাথে সব কথাই বলা যায়। সব বিষয়ে। সবকিছু শেয়ার করে ফেলা যায়। সে হল স্ত্রী। তার সাথে শেয়ার করা যায় না এমন কথা যদি থেকেও থাকে তা আপনি না জানার ভান করুন। অনেক সময় কিছু সম্ভাব্য সিক্রেট হয়ত সময়ের জন্য জমা রাখা যায়, সারপ্রাইজ! সেসব বিষয়ে ব্যর্থ হলে বলবেন জানতেন না। কিন্তু জানা কোন বিষয় অগোচর করবেন না। এতে বিশ্বস্ততা কমে যেতে পারে। এমন ভাবে বলুন যেন আপনি সব কিছুই তাকে শেয়ার করেছেন।
আয় ব্যায়ের হিসাব স্ত্রীর কাছেই রাখুনঃ যদি মনে করেন যে আরো বেশি বিশ্বস্ত হবেন তবে আয় ব্যায়ের হিসাব তাকেই রাখতে দিন। কোন দিন যদি অনীহা প্রকাশ করে তখন সেটা ভিন্ন কথা। তবে খেয়াল রাখবেন সে কিভাবে এর ব্যবহার করছে। দু’জনের মধ্যেই আলোচনা খোলা রাখুন। ট্রান্সফারেন্ট থাকার চেষ্টা করুন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার সাহায্য নিনঃ যে কোন পরিস্থিতিতে তাকে কাজ করার সুযোগ দিন। যখন সে আপনার সমান সংখ্যক পদক্ষেপ নিতে পারবে কিংবা চেষ্টা করবে তখন তার ভাল লাগবে এবং ভাববে যে আপনি তার উপর নির্ভর করেন। এই নির্ভরশীলতা আবেগ এবং বিশ্বস্ততাও বাড়ায়। যে কোন পরিস্থিতি গোপন না করে স্ত্রীর সাথে শেয়ার করাই হচ্ছে উত্তম কাজ।
কাজে সহায়তা করার চেষ্টা করুনঃ সময় সবারই কম থাকে, তবে কিছু সময়ের জন্য হলেও যেটা করবেন তা হল তার কাজে সহায়তা করবেন। দেখবেন এক সময় সে নিজেও আপনার কাজে সহায়তা করছে। এমন হয় কাজের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
স্ত্রীর অসুস্থতার সময় ছুটি নিয়ে নিনঃ এই বিষয়ে অনেক কাছাকাছি হওয়া যায়। মনের মিল থাকলে অনেক পরিস্থিতি ইজি হয়। তবু স্ত্রীর অসুস্থতায় তাকে সহযোগীতা করা একান্ত কাম্য। এক্ষেত্রে অনেক সহজেই বিশ্বস্ততা ফিরে আসে।
দোষ ত্রুটির সুবিচার করাঃ একজন মানুষের অনেক দোষ থাকতে পারে, এসবের সুবিচার দরকার। কোন সমস্যা পেলে সাথে সাথে তার জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে আরো কিভাবে সহায়তা করা যায়, কিভাবে সেই বিষয়ে শুধরে দেয়া যায় তাই করা উচিত।
এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যার ফলে স্ত্রীর কাছে বিশ্বস্ত হয়ে উঠা যায় খুব সহজেই। আরেকটা কথা, স্ত্রীর সব কথা শুনবেন না, পরে পস্তাতে হতে পারে। যা কিছুই হোক সমযোতা করে করাই মংগল।