শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা একটু ভিন্ন ধাঁচের, পরিশ্রমেরও বটে। সব সময় তারা আপনার কথা শুনবে এমনটি কিন্তু নয়। এজন্য আপনাকে কৌশলী হতে হয়। আপনি হয়ত এরই মধ্যে নানান কৌশলে শিশুদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আজ আরো কিছু কলাকৌশল জানাচ্ছি যা আপনার হয়ত কাজে লাগবে। তাহলে কিভাবে আপনার শিশুকে পড়াশোনায় মনোযোগী করবেন– দেখা যাক।

পারিবারিক কোলাহল মুক্ত একটা পাঠোপযোগী পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন

শিশুদের সব কিছুই হয় অন্যরকম। ওরা বেশি চঞ্চল প্রকৃতির হয়। নানান দিকে মনোযোগ দিতে থাকে। তাদের মনকে একদিকে টেনে আনার জন্য একটা পরিবেশ গড়ে তুলতে হয়। এই পরিবেশে বসার জায়গা কিংবা নীরবতা, বই পুস্তকের সন্নিবেশন থাকলে ভাল হয়। পরিপাটি একটা গোছানো পরিবেশ দরকার হয়। তাতে বড়দের যেমন মন কাড়ে তেমনি শিশুদেরও মন বসে।

কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান

লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন

শিশুকে পড়ায় মজার দিকটি দেখাতে পারেন

পড়ায় প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি না করে তাকে কিছু মজার মজার বিষয় দিয়ে আকৃষ্ট করতে পারেন। পড়ায় যদি মজা না পায় তা সে পড়বে কেন? শিশুরা মজা পেতে পছন্দ করে। ছড়া, কবিতা, গল্প কিংবা কার্টুন রাখতে পারেন। তবে তা অবশ্যই আকৃষ্ট করার জন্য। নিয়মিত শুধু সেগুলো পড়ানোর জন্য দিলে হিতে বিপরীত হয়। অন্য পড়ায় আর মন দিতে পারে না। একটু একটু করে তাকে পড়ার মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। হুটহাট করে ধমক দিয়ে যদি তাকে পড়ার ভিতর নিয়ে আসতে চান আপনি সফল নাও হতে পারেন।

খুব ছোট বয়স থেকেই অল্প অল্প করে শেখান

শেখানোর জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়। তবে এখন বাবা মায়েরা খুবই ছোট বয়েস থেকে পড়াতে শুরু করেন। কথা বলতে শেখার সময় চাইলে আপনিও একটা দুইটা বর্ন কিংবা খেলার ছলে কিছু সংখ্যা দেখিয়ে শিখিয়ে অভ্যস্ত করে ফেলতে পারেন। শিশুদের সামনে পড়ার সামগ্রী নিয়ে নাড়াচাড়া করলেও শেখানোর শুরুটা করা যায়। শিশুর একধরনের ইচ্ছা তৈরী হয়।

খুব ছোট বয়স থেকেই  অল্প অল্প করে শেখান

বাবা মায়ের পড়াশোনা করার অভ্যাস শিশুরা নকল করে

আপনি যদি কখনোই না পড়েন, কিন্তু শিশুদের পড়াতে যান তখন তারা এতে অবাক হয়। তারা মনে করে তারা না পড়ে কী এক জিনিস তাকে দেখাচ্ছে। তারা সেই পড়ার প্রতি মনোযোগী হয় না। তাদের ইচ্ছা থাকে বড়রা কী করে সেসবে। এজন্য শিশুদের সাথে আপনিও পড়তে পারেন। শিশুর সাথে ছড়া কবিতা, গান, গল্প ইত্যাদি পড়লে তারা আকৃষ্ট হয়। মজা করে পড়লে তো আর কথাই নেই। ওরা একটু বিনোদন খুঁজে নিয়ে নিজেও শিখতে চেষ্টা করে।

সবসময় নতুন করে পড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন

শিশুরা নতুন কোন কিছু পেলে তাতে আকৃষ্ট হয় বেশি। আজ যদি গতকালের চেয়ে নতুন কোন কিছু তার সামনে চলে আসে তবে দৃষ্টি এবং মনোযোগ দুই-ই আটকে যায়। শিশুর মনোযোগ আকর্ষনের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় যেতে পারেন।

শিশুকে ইতিবাচক কথাবার্তা বেশি বলুন

কখনো নেতিবাচক কথা না বলে তাদের সাথে ইতিবাচক কথা বলুন। তারা অনুপ্রানীত হয়ে আরো বেশি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে যদি তাদের উৎসাহী করে তুলতে পারেন। নিজের কাজে কিংবা অন্য কারো অসফলতায় শিশুদের সামনে খুব ভেবে আচরণ করুন। তারা যেন সেইসব অসফল অবস্থা দেখে নিজেদের ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত না নেয় সেদিকে নজর দেয়া উচিৎ।

শিশুকে বুঝতে চেষ্টা করুন

শিশুকে পুরষ্কৃত করতে পারেন, তার উৎসাহ বাড়বে

শিশুকে অল্প একটু সফলতার জন্য পুরষ্কৃত করতে পারেন। সেটা খুবই ছোট হতে পারে। সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে ছোট ছোট পুরষ্কারে আকর্ষণ বাড়াতে পারেন। পড়ালেখায় একসময় তার আগ্রহ অনেক বেশি হবে। যখন সে বুঝতে শিখে যাবে তখন আর এসব লাগবে না।

জনপ্রিয় হচ্ছে

নিবন্ধন

লগিন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের সম্পর্কে

কিভাবে ইনফো - Kivabe Info

কিভাবে ডট ইনফো একটি বাংলা তথ্য শেয়ারিং সাইট। এএখানে আপনি নিজে যেমন জানতে পারবেন তেমনি চাইলে সবাইকে জানাতেও পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

যোগাযোগের জন্য

© কিভাবে ইনফো - Kivabe Info 2013-2022

Developed by: Behostweb.com

আপনি আমাদের সাথে একমত হয়ে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মানে আপনি আমাদের কুঁকি পলিসি গ্রহন করেছেন। পড়ুন প্রাইভেসি পলিসি . সব কুঁকি মেনে নিন