প্রতিদিন নিজের মোবাইল লক খুলতে কিংবা জিমেইল একাউন্ট লগ ইন অথবা ফেসবুক লগ ইন করতে আপনার যে মৌলিক উপাদান দরকার তার মধ্যে পাসওয়ার্ড হচ্ছে অন্যতম। পাসওয়ার্ড অনেকেই এত দূর্বল আর সহজ করে দেন যে পাড়ার প্রাইমারী স্কুলের ছেলেরাও আজকাল ফেসবুক হ্যাক করছে।হ্যাকার হয়ে উঠছে সাধারন ব্যবহারকারীদের অনেকেই। তাই সময় হয়েছে আপনার দূর্বল পাসওয়ার্ড বদলে আজই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করার। কিভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করবেন তা আজ দেখাচ্ছি।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করার আগে দেখুন দূর্বল পাসওয়ার্ড কোন গুলো
০১২৩৪৫৬৭৮৯ অথবা ১২৩৪৫৬৭৮৯০ খুবই সহজ আর খুবই দূর্বল একটি পাসওয়ার্ড। এটি যে কেউ চেষ্টা করেই হ্যাক করতে পারবে। এছাড়াও অনেক শব্দ যেমন goodboy, badgirl, newspaper, FacebookLogIn, এসব পাসওয়ার্ড অত্যন্ত দূর্বল। কোন দূর্বল পাসওয়ার্ড এখন অনেক সাইট কিংবা এপস এ নটিফিকেশন হিসেবেও দেখায়। অনেক ক্ষেত্রে আপনার থেকে কনফার্মেশন নিয়ে নেয় যে আপনি দূর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন কি না।
দূর্বল পাসওয়ার্ড দেয়ার ফলাফল
ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড যদি দূর্বল হয় তবে দেখবেন যে সেই কানেকশন দ্রুত লোকেদের ব্যবহারের নাগালে চলে যায়। সবাই ব্যবহার করার কারনে তা হয়ে যায় ধীর গতির। ফেসবুক লগ ইন দূর্বল পাসওয়ার্ডের কারনে ফেসবুক হ্যাক হয়ে যায়। তখন আপনার মনে হতে পারে – ফেসবুক পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। কিন্তু আসলে ঘটনা ভিন্ন। এখন অনেকেই অনলাইনে নানান গ্রুপ বা সাইটের কিংবা ফোরামের সাথে যুক্ত হয়ে নানান ইউজার দূর্বলতা খুঁজে বের করেন। হ্যাকার হতে চান। তারা ফেসবুক হ্যাকিং সফটওয়্যার নিয়েও অনেকে কাজ করেন। দূর্বল পাসওয়ার্ড আপনার জিমেইল একাউন্ট কিংবা অন্যান্য অনলাইন ব্যাংকিং একাউন্ট এর ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করার পদ্ধতি
পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হবে তখন যখন আপনার তৈরী করা পাসওয়ার্ড সারাবিশ্বের মানুষের কাছে অজানা হবে। কেউ কল্পনাও করতে পারে না যে সব তথ্য তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড। উদাহরন হিসেবে বলা যায়- আপনার একান্তে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা এবং সেই দিন, তারিখ, বছর মিলিয়ে কোন পাসওয়ার্ড। কেউ ভাবতেই পারবে না কী ঘটনা আর কোন তারিখ। যেমন 1Love-3May2011. এছাড়াও কী বোর্ডের কিছু বিশেষ কী(key) বা অন্যান্য ক্যারেক্টার ব্যবহার করেও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করা যায়। যেমনঃ 1L0ve#3M@y2011 খেয়াল করুন আমি এল(L) এর পরে ও(O) এর পরিবর্তে শুন্য(জিরো/ 0) লিখেছি। আবার ২০১১ এর জায়গায় শুন্য(জিরো) না লিখে ও(O) লিখেছি। এরকম পাসওয়ার্ড মনে রাখাও সহজ হয়।
এমন আরো অনেক তথ্য যা সাধারনের দৃষ্টি সীমার বাইরে সেসব তথ্যকে পাসওয়ার্ড হিসেবে দিতে পারেন। যেমন আপনার নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত কিংবা আপনার কোন নতুন রুটিন যা আপনার মনে রাখার দরকার। অথবা কোন একটি প্রজেক্টসহ তার ডেলিভারি নিয়ে তথ্য। এতে আপনি যখন কাজটি করবেন তা পাসওয়ার্ডের কারনেও রিমাইন্ডার এর কাজ করবে।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড মনে রাখার পদ্ধতি
পাসওয়ার্ড শক্তিশালী তৈরী করলেই হয় না। মনে রাখাও লাগে। তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করার সময় মাথায় রাখা উচিৎ তা কিভাবে আপনার মনে রাখা সহজ হবে। পাসওয়ার্ড যেমন বারবার বদলে ফেলতে হয় আবার মনে রাখাটাও জরুরী। কোথাও লিখে রাখা কিংবা কোন সফটওয়্যারে তা সংরক্ষন করা হচ্ছে বোকামী।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড মনে রাখার জন্য আপনার ইচ্ছেটাই হচ্ছে প্রধান। যদি আপনার চারটি বিভিন্ন সাইটে একাউন্ট থাকে তবে প্রতিটি একাউন্ট এর জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড অবশ্যই থাকবে। আর এজন্য চারটি পাসওয়ার্ডই আপনাকে মনে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঘটনা বা কোন স্মরনীয় দিন মনে রাখেন এবং সে অনুযায়ী পাসওয়ার্ড তৈরী করেন।
পাসওয়ার্ড মুখস্ত রাখা বা মনে রাখা জরুরী। লিখে রাখা বোকামী। একান্তই যদি মনে রাখতে না পারেন তবে তা আপনার চেকবই বা মূল্যবান জিনিসপত্রের সাথে লিখে সংরক্ষন করুন। চাবি নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
মন্তব্যসমূহ