অনেকেই মনে করেন একটি বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে খুবই সহজ। নাম ঠিকানা আর ফোন নাম্বার এসব দিলেই হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে আসলেই তাই নয়। বিজনেস কার্ড ডিজাইন কিছুটা ব্যতিক্রমী কাজ। এর জন্য অল্প হলেও চিন্তা করতে হয়। মূলত আপনার বিজনেস কার্ড ডিজাইন দেখেই আপনাকে একজন নতুন মানুষ অনুমান করতে পারেন। আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয় পেতে বেশি দেরি হয় না যখন অতিরঞ্জিত কোন বিজনেস কার্ড কাউকে দেখানো হয়। আজ আমি কিছু গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো কিভাবে একটি ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ভাল বিজনেস কার্ড ডিজাইন করবেন?
কিভাবে বিজনেস কার্ড ডিজাইন করবেন? ফটোশপে কিংবা ইলাষ্ট্রেটর এ আপনি একটি বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে পারেন। আমি আজ সেই টিউটোরিয়াল না দেখিয়ে শুধু কিছু নীতিমালা আপনাদের জানাচ্ছি।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
সাইজ নির্বাচনঃ স্ট্যান্ডার্ড বিজনেস কার্ডের উইদথ বা প্রস্থ্য ২.৫ইঞ্চি হয় আর হাইট বা উচ্চতা ২ইঞ্চি হয়। অর্থাৎ লম্বা আড়াই ইঞ্চি চওড়া দুই ইঞ্চি। এর বেশি বড় কিংবা ছোট আকারের কার্ড দেখতে সুন্দর হয় না। কিংবা তা সংরক্ষনে সমস্যা হয়। সব চে বড় ব্যপার হচ্ছে ব্যবহার করতেই অসুবিধা হয়। বিজনেস কার্ড ডিজাইন করার সময় সাইস খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরী।
তথ্য প্রদর্শনঃ এটা খুবই জরুরী যে কী কী তথ্য আপনার বিজনেস কার্ড ডিজাইন করার সময় প্রদর্শন করবেন তা নিয়ে ভেবে রাখতে হবে। ফেইস সাইডে কী কী তথ্য থাকবে আর পছন সাইডে কী কী তথ্য থাকবে তা খুবই জরুরী।
আমি মনে করি জরুরী ফোন নাম্বার, ইমেইল, কিংবা সকল কন্টাক্ট ইনফরমেশন ফেইস সাইডে থাকা জরুরী। বিজনেস কার্ডের উদ্দ্যেশ্যই হচ্ছে কারো কাছে আপনার যোগাযোগের তথ্য সমূহ প্রদর্শন কিংবা জমা রাখা। এর বেশি কিছুই নয়। তাই তথ্য নিয়ে প্রদর্শনী খুবই দরকারি। আপনার যোগাযোগের ঠিকানা অবশ্যই প্রথম পৃষ্ঠায় দেয়া উচিৎ। পেছনের সাইডে শুধু মাত্র অতিরিক্ত তথ্য দিতে পারেন। কোম্পানীর কোন মার্কেটিং কিংবা অন্যান্য তথ্য।
কালার নির্বাচনঃ অনেকেই ভুল করেন। বিজনেস কার্ড ডিজাইন করার সময় মনে হয় পোষ্টার ছেপেছেন। আহা, বিজনেস কার্ড আপনার নিজের রুচিকে কিংবা কোম্পানীকে তুলে ধরে নতুন কারো কাছে। যদি সেটা স্টাইলিশ হয় তবে তা হতে পারে খুবই স্মার্টলি। ফন্ট এর নানাবিধ সংযোজন, কিংবা খুবই প্রফেশনাল কালার অথবা ব্যাকগ্রাউন্ড শেপ বা আকার আকৃতি নির্বাচনে সজাগ থাকা জরুরী।
নিচে একটি সুন্দর বিজনেস কার্ডের উদাহরন দেয়া হলো। আশাকরি এইবার আপনাদের নিজের বিজনেস কার্ডের জন্য আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। তবে যারা এই লেখাটি কষ্ট করে পড়লেন কিভাবে বিজনেস কার্ড ডিজাইন করা যায় তা শিখার জন্য তাদের নিরাশ হবার কারন নেই। অচিরেই ফটোশফে কিভাবে বিজনেস কার্ড ডিজাইন করবেন তার উপর একটি তথ্যবহুল লেখা নিয়ে হাজির হবো।












মন্তব্যসমূহ