গত তিন দিনে বজ্রপাত প্রায় ৩৫ জনের মত মানুষের জীবন নিয়েছে। এ নিয়ে দুই মাসে প্রায় ৭০ জনের মত প্রানহানী হয়েছে। বজ্রপাত যে কোন সময় শুরু হয়ে চলতে পারে এক থেকে দুই ঘন্টা। বাতাসের গতিবেগ এবং বৃষ্টিপাতের উপর এর স্থায়িত্ব কম বেশি হতে পারে। সাধারনত আকাসে ঘনকালো মেঘের উপস্থিতি বজ্রপাতের পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয়। তবে এখন থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বজ্রপাত বা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস ঘোষনা করবে বলে কথা দিয়েছে। আসুন দেখা যাক কিভাবে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকা যায়?
নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়াঃ বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকা জরুরী। তাই খুব কোন জরুরী কাজ না থাকলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। ঘর বা দালানের ভেতর অবস্থান নিয়ে দরজা বা জানালা যত সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুনঃ যে কোন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বা টুলস ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। যেমন টিভি ফোন ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকা নিশ্চিত করতে পারে।
ধাতব বস্তু থেকে নিজের অবস্থান দূরে রাখাঃ বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকা নিশ্চিত করতে যে কোন ধাতব বস্তু যেমন ঘরের কল, পানির ঝরনা বা ঘরের টিনের চাল ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎ ধাতব বস্তুর মধ্যে বেশি বিস্তারিত হয়।
বাইরে থাকলে গাছপালা বা বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার থেকে দূরে থাকুনঃ বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে হলে গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকুন। এগুলোর উপরেই দ্রুত বজ্রপাত হবার সম্ভাবনা থাকে। খোলা মাঠে থাকলে ভূমির কাছাকাছি ঝুঁকে বসুন। গাছ থেকে চার মিটার দূরে অবস্থান নিতে পারেন।
চামড়ার ভেজা জুতা পরিহার করুনঃ মাটিতে স্পর্শ না করে রাবারের কোন জুতা ব্যবহার করুন। ভেজা চামড়ার জুতা বিদ্যুৎ পরিবাহী হওয়ায় এর ঝুঁকি বেশি। রাবারের গামবুট পরতে পারেন।
রাস্তায় চলাফেরা করার সময়ঃ বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে হলে কোন দালান বা চাউনির নিচে অবস্থান করুন। কারো বাড়ির ভেতর আশ্রয় নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। খোলা কোন মাঠের ছোট চাউনির নিচে অবস্থান নেয়া ঝুঁকিপূর্ন।
জলাশয় থেকে দূরে অবস্থান নিনঃ যে কোন জলাশয় থেকে অনেক দূরে অবস্থান নিন। মাছ ধরা বন্ধ রাখুন। এসব এলাকায় বজ্রপাত বেশি হয়।
ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কাঠের বা প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
উঁচু স্থানে অবস্থান না নেওয়াঃ যে কোন উঁচু স্থানে বজ্রপাত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এসব স্থান পরিহার করুন।
মন্তব্যসমূহ