রাজধানীতে হিজড়া একটি আতংক! এর সমাধান কী হতে পারে? আপনি কখনো ভেবেছেন? হিজড়াদের একটাই দাবী- টাকা দে! যেন অনেক দিন আগে থেকে সে আপনাকে চেনে এমন ভংগীতে টাকাটা চায়। অনেকেই এই বেয়াদব হিজড়াদের সাথে পেরে উঠেন না বলেই টাকা দিয়ে দেন। দশ টাকা পাঁচটাকা। এদের আধিপত্য দিন কে দিন যেন বেড়েই চলেছে। কারো ছেলে হয়েছে কি মেয়ে জন্মেছে ব্যাস, ওদের দাবী টাকা দাও নাহলে বাচ্চা নিয়ে যাব। যেন জলুম, কারো সাধ্য আছে কি নেই তার দিকে নজর দিবে সে ধৈর্য্য হিজড়া সমাজে নেই। নিজেরাই নিজেদের রাজত্বে কেউ রাজা আবার কেউ রানী। পুলিশের কাছে যান এসব নিয়ে গুরুত্ব পাওয়া যায় না। যেন দেখার কেউ নেই। হিজড়া সেসব মিলিয়ে একটি আতংকের নাম।
আমি নিজে থেকে হিজড়াদের টাকা দেই না। ভিক্ষুকদেরও না। কারন টাকা দিয়ে দেয়া কোন সমাধান নয়। টাকা নিতে নিতেই ওদের এই দাবীর ভিত শক্ত হয়েছে। শেকড় গিয়ে ঠেকেছে অনেক দূর পর্যন্ত। হিজড়া সমাজে উচ্চ পদ নিম্ন পদ মিলিয়ে বিশাল কর্মী বাহিনী আছে। এরা তোলাবাজি করে। মাফিয়াদের চেয়ে কম বলা ঠিক হবে না। ভিক্ষা যেমন একটা নীরব প্রফেশনাল এরিয়া তেমনি হিজড়াও সরব প্রফেশনাল এরিয়া। ভিক্ষুকদের সবাই মন ভালো থাকলে দান করে। হিজড়াদের মন ভাল থাকুক আর না-ই থাকুক দিতেই হয়।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
রাজধানীতে হিজড়া একটি আতংক, কেন?
বাংলাদেশে আয়ের ভিত্তিতে হিজড়া আর ভিক্ষা থেকে আয় হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ। এ পেশায় এখনো কোন আয়কর নেই(এখন পর্যন্ত শুনিনি)। তাই তারা যে পরিমান অর্থ রোজগার করে তার তেমন হিসাব কারো কাছেই নেই। সরকারী কোন জায়গায় নেই কিংবা অন্য কোথাও। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী হিজড়াদের আয় ভিক্ষুকদের আয়ের চেয়ে অনেক গুন বেশী। সে হিসেবে একজন ভিক্ষুক যদি মাসে ত্রিশ অথবা চল্লিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন হিজড়াদের আয় কত হতে পারে?
তাহলে এত টাকা যায় কোথায়? প্রশ্ন, আমারো। খুব দ্রুত চিন্তা করলে দেখতে পাবেন কিছু অংশের টাকা চলে যায় লাইফ স্টাইলে। হিজড়াদের প্রত্যেকেরই প্রচুর মেকাপ নিতে হয়, এর খরচ। মোবাইল বিল, খাবার মেসবাড়ি ভাড়া ইত্যাদি সহ নিত্য নতুন বাহারী জামা কাপড়। এছাড়াও এরা অনৈতিক অনেক কিছু করে, যেমন ড্রাগ নেয়া থেকে শুরু করে অনৈতিক হেন কাজ নেই করে না। হিজড়ারা রাতের আঁধারে চোরা চালানীতে সাহায্য করে। নিজেদের ব্যাবসা দেখে, বাড়ি গাড়িও করে। হিজড়া প্রধানরা খুব দ্রুত অনেক সম্পদের মালিক হয়ে যায়।
এতকিছু করে? সাধারন জনগনের টাকা নিয়ে কেন? আপনি জানতে চাইছেন। আমি নিজেও জানতে চাচ্ছি যে এত কিছু করে হিজড়ারা আবার মানুষের সাধারন জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায় কেন?
আসলে ওরা ক্রিমিনাল। বাংলাদেশে এই ধরনের আইন এবং ইনভেস্টিগেশন নেই বলেই এরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে। এদের প্রত্যেকটি কাজ অনৈতিক। মানুষের সাধ্যের বাইরে চাপ দিয়ে ধমক দিয়ে টাকা তোলা কেউ মেনে নিতে পারে না।
রাজধানীতে হিজড়া একটি আতংক কিন্তু এর প্রতি আমাদের কি কোন দায়িত্ব নেই?
অবশ্যই আমাদের দ্বায়িত্ব আছে। হিজড়ারাও মানুষ। তারা হিজড়া হলেই সমাজের বাইরে যাবে কেন? আমার আপনার দৃষ্টিভংগীর জন্যে তো? তো দেখলেনই তো যাকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিলেন সমাজ থেকে বের করে দিলেন সেই কত শক্তিশালী। নিজেদের জন্য কত কিছু আয়োজন করে জীবন কে সাধীনতার সুখ এনে দিয়েছে। সমাজের একটা অংশ হিজড়া যারা অতর্কিত হামলা করলে আপনি শিউরে উঠতে পারেন। সেই হিজড়া আমার আপনার মত কারো না কারো ঘরেই জন্মেছিল। ফেলে দিয়েছেন ভুল করেছেন। তবে অনেক হিজড়াই নিজে থেকে চলে যায়। সে যেতে চায় না, সমাজের সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে চলে যায়। তারা তাদের সমাজে সাধীনতার সুখ পায়। যদিও হিজড়া প্রধানদের উদ্দ্যেশ্য থাকে টাকা রোজগার। এটাকে তারা ভাবে পেশা। সাধারন হিজড়ারা খোঁজে সুখ, আনন্দ, কটাক্ষ মুক্ত জীবন।
হিজড়াদের জন্য অবশ্যই কিছু করার আছে সরকারের। তাদের মুল্যায়ন করতে শেখা। তারা মানুষ তাদের মত করে চলতে না দিয়ে সমাজের সাধারন্ মানুষদের সাথেই কর্মসংস্থান করতে দেয়া। পড়াশোনার ব্যাবস্থা করা। যদি কেউ সাধারন সমাজে না থাকতে চায় তবে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। হিজড়াদের জন্য চিকিতসা বিজ্ঞানে কিছু করা যায় কি না সে নিয়ে কাজ করা।
তবেই এই সমাজে হিজড়া আতংক দূর হতে পারে। সমাজের মানুষের সাথে মিলেমিশে গেলে দেশের উন্নতি হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ