স্টাইলিশ হতে চান? খুব কঠিন কিছু নয়। তবে শুধু কথায় কথায় স্টাইলিশ হওয়া যায় না। তাহলে কিভাবে স্টাইলিশ হবেন? স্টাইলিশ হতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হয়। আসুন দেখি স্টাইলিশ হতে গেলে কী কী বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়?
নিজের স্টাইল নির্ধারন করে নিন
আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন সেলিব্রিটিদের মধ্যে সবাই একই স্টাইল মেনে চলেন না। একেক জনের মধ্যে স্টাইলের তারতম্য অনেক। একেক জন একেক ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করেন। তাঁরা এরকম হবার কারন অনেক। তাঁদের ব্যক্তিগত লাইফেও তাঁরা নির্দিষ্ট স্টাইলে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন। তেমনি আপনার নিজেরও একটা স্টাইল মুড থাকা উচিৎ। এটা বয়স, স্থান, কাল কিংবা পরিবেশের দিকে খেয়াল করেই ঠিক করতে হয়। এদিকে আপনার ব্যক্তিত্ব ঠিক থাকে এমন স্টাইলই হচ্ছে স্টাইলিশ হবার মূল মন্ত্র।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
একটা লুক ঠিক করুন
সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন
পোশাক নির্বাচন একজন স্টাইলিশ ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। কী ধরনের পোশাক পরবেন। কোথায় কিভাবে কিংবা কোন রং এর পরবেন তার জন্য নানান উদ্ভাবনী আর পরিকল্পনার দরকার হয়। পোশাক নির্বাচনের জন্য কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
পোশাকের রংঃ
ছাই রঙ বা এ্যাশ কালার পছন্দ, তাহলে আপনাকে এ্যাশ কালারের সাথে টপ বটোম কিংবা শার্ট প্যান্ট দেখে নিতে হবে। এ্যাশ কালার নিলেন তাতেই হয়ে যায় না, এর কোন শেড আপনার স্কীনের সাথে ভাল লাগবে তাও দেখে নিতে হবে। অনেকেই ব্লাক বা কালো রঙ পছন্দ করেন। গরমের দিনে কালো রঙ কখনোই কম্পোর্ট হয় না। তাই ব্রাইট বা উজ্জ্বল রঙের পোশাক গরমের দিনে নিতে পারেন।
শুধু কালার বা রঙ দেখে পোশাক কিনলেন হয়ে গেলো, এমনটি নয়। রংটি আপনার নির্দিষ্ট দিনের জন্য কি না সেটাও দেখুন। ধরি আপনি পয়লা বৈশাখের আগে একটা ড্রেস কিনতে গেলেন। কিছুটা গ্রীন বা সবুজ একটি রঙ এর পোশাক ভালো লেগে গেলো। মাথায় রাখুন, এই পোশাকটি কি আপনি শুধু পয়লা বৈশাখের জন্য কিনছেন নাকি অন্যান্য দিনেও পরবেন? যদি অন্যান্য দিনেও পরবেন বলে পরিকল্পনা করছেন তবে কেন এই রঙ নিচ্ছেন তা আরেকবার ভাবুন। কিন্তু শুধু পয়লা বৈশাখে পরলে তাতে সেই ড্রেস হয়ত ঠিক আছে।
আপনার মুড এর উপর ভিত্তি করে রঙ নির্ধারন করতে পারেন। আপনি যদি উষ্ণ মুড দেখাতে চান তবে লাল এর বিভিন্ন শেড দেখতে পারেন। আপনি যদি খুবই শান্ত শিষ্ট মুড নিতে চান তবে গ্রীন বা সবুজ এর আশেপাশে নানান ধরনের শেড দেখতে পারেন। ফ্রেন্ডলি বা বন্ধুত্বপূর্ন মুড এর জন্য ব্লু বা নীল রঙের দিকে নজর দিতে পারেন। প্রতিটি রঙের আলাদা ভাষা আছে সেকথা মাথায় রাখবেন।
আপনার মুড এর উপর ভিত্তি করে রঙ নির্ধারন করতে পারেন। আপনি যদি উষ্ণ মুড দেখাতে চান তবে লাল এর বিভিন্ন শেড দেখতে পারেন। আপনি যদি খুবই শান্ত শিষ্ট মুড নিতে চান তবে গ্রীন বা সবুজ এর আশেপাশে নানান ধরনের শেড দেখতে পারেন। ফ্রেন্ডলি বা বন্ধুত্বপূর্ন মুড এর জন্য ব্লু বা নীল রঙের দিকে নজর দিতে পারেন। প্রতিটি রঙের আলাদা ভাষা আছে সেকথা মাথায় রাখবেন।
পোশাকের প্রিন্ট কিংবা ছাপার ডিজাইনঃ
প্রতিটা পোশাকের ডিজাইন করেন কোন না কোন ডিজাইনার। ফ্যাশন ডিজাইনার ডিজাইন করেন তাই বলেই যে সে ডিজাইন সবার জন্য উপযুক্ত তা কিন্তু না। প্রত্যেক ডিজাইনারের নির্দিষ্ট টার্গেটেড মার্কেট কিংবা টার্গেটেড ব্যাবহারকারী থাকে। কেউ কেউ তারুন্যের জন্য পোশাক ডিজাইন করেন, আবার কেউ সিনিয়র ব্যক্তিদের জন্য ডিজাইন করেন। ডিজাইন বয়স এবং মানুষের রুচির উপর ভিত্তি করে নানান ধরনের হয়ে থাকে। মনে রাখবেন, একই ডিজাইনার প্রায় নানান ধরনের নানান রুচির মানুষের জন্য পোশাকের ডিজাইন করেন। তাদের মনের মধ্যে এমন বিষয়গুলোই থাকে যে বিষয়গুলো ক্রেতার মনের ইচ্ছার প্রতিফলনও বটে।
আপনার মুড এবং ব্যক্তিত্বের সাথে মিল রেখে প্রিন্ট পছন্দ করুন। খুব বেশি কভারেজ কিংবা ঘনত্বের ছেয়ে বেশিরভাগ সময় হালকা ঘনত্বের ছাপা অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। প্রিন্টের ভেতরের গল্পটাও দেখুন। যদি গল্প হয় টাইটানিকের আর আপনি গেলেন কোন সভায় বক্তৃতা দিতে তবে কেমন লাগবে ভেবে দেখুন। গল্প হতে হবে কিছুটা হলে সম্পর্কিত। যখন যেখানে যে ধরনের পরিবেশ পোশাকের সাথেও যেন সেটা মানিয়ে যায়। তবেই আপনি নিজেকে স্টাইলিশ হিসেবে গন্য করতে পারেন।
পোশাকের ডিজাইনঃ
পোশাকের ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ন। একেক সময়ে একেক ট্রেন্ড আসে। যেমন আমাদের দেশে এখন প্লাজো নামে এক ধরনের সালোয়ার পরেন অনেকেই। এটা ট্রেন্ড হয়েছে তাই সবাই পরছেন। কিছুদিন আগে দেখলাম এরকম একধরনের প্যান্ট ছিলো যা অনেক আগে ছেলেরা পরতেন। পায়ের গোড়ালীর দিকে বেশি চওড়া সাইজের।
ডিজাইনের ক্ষেত্রে স্টাইলিশরা বরাবরই ট্রেন্ড তৈরী করতে পছন্দ করেন। তারা গতানুগতিক পোশাকের বাইরের কিছু নিয়ে ভাবেন। আপনিও সেভাবে নিজেকে নিয়ে নানান ডিজাইনের পোশাক চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার নিজের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কোন ডিজাইন কোন অনুষ্ঠানের কিংবা দিনের জন্য ভালো হবে তা আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন। অনেকেই স্লীভলেস ড্রেস পরেন। আপনার ক্ষেত্রে আপনি হয়ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারেন। সেজন্য এমন কিছু করা উচিৎ যাতে আপনার নিজস্বতাও থাকে আবার ব্যতিক্রমীও হয়।
সবার থেকে আলাদা কিছু হলেই আপনাকে স্টাইলিশ হিসেবে গন্য করা হবে।
অর্গানাইজ্ড থাকুন
অর্গানাইজড থাকার জন্য নিজের সব কাজ, পোশাক পরিচ্ছেদ, চুল নখ এবং জুতার স্টাইল গুছিয়ে সাজিয়ে রাখতে হয়। এর জন্য নীয়ম করে হেয়ার স্টাইল মেইনটেইন করতে হয়। জুতা, মোজা, বেল্ট কিংবা হ্যান্ড ব্যাগ বা ওয়ালেট। ব্যবহার্য জিনিসপত্র সবকিছুই গুছিয়ে নিয়ে প্রস্তুত থাকা খুব সহজ তা কিন্তু নয়। এর জন্য কিছু পরিশ্রম করতে হয়।
পোশাক পরিচ্ছেদের সাথে মিলিয়ে মেকাপ, সুজ, ওয়ালেট বেল্ট এসব সংরক্ষন এবং রক্ষনাবেক্ষন করতে হয়।
নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছেদ পরিষ্কার করা, এবং এর যত্ম নেওয়া স্টাইলিশ ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ফ্যাশন স্টাইল ম্যাগাজিন পড়ুন
ফ্যাশন এর জগত অনেক বড়। এজন্য এর চারদিকের পরিবর্তন এবং নতুন নতুন ট্রেন্ড দেখে ধারনা নিতে পারেন। ফ্যাশন ম্যাগাজিন আপনাকে স্টাইলিশ হতে অনেক বেশি সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও নানান সেলিব্রিটি কিংবা ফ্যাশন শো দেখতে পারেন। স্টাইলিশ ব্যক্তিদের সোশ্যাল প্রোফাইলে ফলো করতে পারেন। নানান ধরনের মডেল কিংবা নতুন মডেলদের খুঁটিনাটি খুঁজে দেখতে পারেন।
অনেক মানুষই খুব সাধারন ডিজাইন এবং কালারের পোশাকের সাথে সামান্য কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিস রাখেন , তাদেরকে নানান সময়ে সর্বোচ্চ স্টাইলিশ মনে হতে পারে। এর অধিকাংশই নির্ভর করে তার নিজস্ব পছন্দের কিংবা স্মার্টনেস এর উপর। অনেকেই নিজেকে স্মার্ট হিসেবে দেখাতে চান, স্টাইলিশ এবং স্মার্ট এর মধ্যে সামান্য ব্যবধান অবশ্যই আছে।
আপনি স্টাইলিশ এবং স্মার্ট থাকুন, উপভোগ করুন স্টাইলিশদের জীবন।