বাবা মা হিসেবে নয়, আপনি যখন শিশু ছিলেন তখনকার স্কুল লাইফ নিশ্চয়ই আপনার এখন মনে পড়ছে? কেমন ছিলো সেসব সময়? মজার নাকি কষ্টের? তো ভেবে যা ই পেলেন না কেন, এবার ভাবুন নিজের সন্তানের কথা। তারাও একদিন আপনার মত করে সেই দিনগুলো স্মরণ করবে। শিশুদের স্কুল লাইফ আরো বেশি প্রানবন্ত করে তুলতে আপনার অবদান থাকতে পারে। শিশুদের স্কুল লাইফ আনন্দময় করে তোলা সম্ভব। এর প্রয়োজনীয়তা এককথায় খুব সামান্য নয়। বড় আকারে এর ফলাফলও আছে।
শিশুদের স্কুল লাইফ এর আগে দেখি মা বাবার স্কুল লাইফ কেমন ছিলো?
বাচ্চাদের যা কিছু শুরু তার বেশিরভাগই মা বাবা থেকে। কথা বলা, হাঁটা চলা, ওঠা বসা। সব। সব কিছুই বাবা মা অর্থাৎ প্যারেন্টস থেকে শুরু হয়ে বিস্তৃতি লাভ করে। এর জন্য বাবা মা কিংবা যাদের কাছে বড় হচ্ছে তাঁদের শুরু দেখা দরকার। যেভাবে শুরু সেভাবেই বেড়ে ওঠা কিংবা সুন্দর অসুন্দরের ভেতরে প্রবেশ।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
মা বাবা শিশুকালে কেমন স্কুল লাইফ কাটিয়েছিলেন তার একটা সার সংক্ষেপ তৈরী করা উচিৎ। যদি এমন হয় যে মা বাবা কিংবা তাঁদের যেকোন একজনও স্কুল পালানোয় ছিলেন ভীষণ রকমের পারদর্শী তখন নিশ্চয়ই তিনি চাইবেন না তার শিশুদের বেলাতেও সেরকম কিছু ঘটে?
মা বাবা হিসেবে আপনার শিশুর স্কুল লাইফ সাজিয়ে নিন
আজকের দিনে শিশুদের স্কুল ব্যাগের ওজন অনেক বেশি সেখানে আবার স্কুল লাইফ কী করে আনন্দময় করা যায়? এরকম প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মনে? শিশুদের দিকে খেয়াল রাখার মতই তার স্কুল লাইফ নিয়ে ভাবা মা বাবা হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব। আপনি যদি এই খেয়াল না করেন তবে আপনার শিশু খুব বেশি মানসিক চাপেও পড়তে পারে। নিচে কয়েকটি টার্মস নিয়ে আলাপ করছি।
১। শিশুর স্কুল কেমন সেদিকে নজর দিনঃ মা বাবা হিসেবে এতে কোন আলসেমী নয়
স্কুল হতে হবে ফ্রেন্ডলি। যেখানে পড়াবেন তা যেন খুব সুন্দর পরিবেশ হয়। যেন কোন রকমের ভীতিকর পরিবেশ কিংবা শিক্ষকদের হাতে হাতে লাঠি অথবা রাগী চোখ এসব না হয়। কী করে নজর দিবেন? অনেক স্কুলের ভেতরেই তো ঢুকতে দেয় না, তাই না? এর জন্য মা বাবা হিসেবে আপনি শিশুদের জিজ্ঞেস করুন। নিয়মিত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বের করুন সে স্কুলে যেতে ভয় ভীতি পায় কি না? যদি সে বলে তার স্কুল ভালো লাগছে না তবে সেস্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন। আপনি পেয়ে যাবেন বিস্তারিত।
২। শিশুর স্কুল বন্ধুদের সাথে পরিচিত হয়ে নিনঃ
স্কুল লাইফ বড়ই বিরক্তির হবে যখন সে আপনার বয়সে আসবে। এমন হয় যখন খুব খারাপ কোন বন্ধুর সাথে সে মিশে যায়। আর স্কুল লাইফ স্মরণীয় হয়ে থাকবে যখন সে খুব ভাল কোন বন্ধু পেয়ে যাবে। বন্ধুত্ব তো হবে শিশুদের সাথে, মা বাবা হয়ে শুধু খেয়াল রাখাই হচ্ছে দ্বায়িত্ব। খারাপ বন্ধু না পেলে তার স্কুল লাইফ ভালই কাটবে এটা নিশ্চিত হওয়ার মতো।
৩। স্কুল ব্যাগের ওজনটা সত্যিই বেশি হয়ে গেল না তো?
আলাপের শুরুর দিকে বলছিলাম, আজকাল স্কুল ব্যাগের ওজন শিশুদের নিজের ওজনের থেকেও বেশি হয় শুনেছি। এটা মারাত্মক অন্যায়। শিশুদের স্কুল লাইফ একেবারেই বিষময় হয়ে উঠতে পারে। অনেক মা বাবা শিশুদের এই ব্যাগ নিজের কাঁধে বয়ে বেড়ান। তারপরেও দেখুন তার স্কুল এর আনন্দ এই ব্যাগ কেড়ে নিচ্ছে না তো? খেয়াল করে দেখুন। স্কুল শিক্ষকদের সাথে কথা বলে নিন।
৪। স্কুলের নাম্বার কিংবা রেজাল্ট দিয়ে শিশুদের বিচার না করাঃ
স্কুলে অনেক শিশুই খারাপ করে, এর মানে শিশুটি খারাপ তা কিন্তু নয়। শিক্ষক, সময় কিংবা নানান কারন থাকতে পারে একটি শিশুর খারাপ ফলফল করার পেছনে। এর জন্য তার জীবন অতীষ্ঠ করে তুলবেন না যেন। শিক্ষকদের কেউ এ নিয়ে আপনার কাছে কমপ্লেইন করে কি না খেয়াল রাখুন। যদি করে, তবে বুঝবেন আরো জটিল কোন ইঙ্গিত। এখনকার শিক্ষকদের অনেকেই এরকম করেন প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। কোন ভাবেই শিশুর ওপর আলাদা কোন বিচার করবেন না। তাকে শুধু স্কুলে পাঠান। আর মিষ্টি হেঁসে তার সময়টাকে আনন্দময় করে তুলুন। এতে সে আরো বেশি ভরসা পাবে। স্কুলে যাবে। অন্যথায় শিশুর স্কুলে যেতে নানান অযুহাত তৈরী হবে। এসব থেকেই তার স্কুল লাইফ হয়ে উঠতে পারে অনেক বেশি নিম্ন মানের। সব শিক্ষকের কথা কানে নেওয়া ভাল মা বাবার জন্য সঠিক না। বরং আরো বেশি পর্যালোচনা করে দেখা উচিৎ।
৫। স্কুলের সব রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশুকে যুক্ত করুনঃ
শিশুদের জন্য এসব অনেক বেশি বিনোদনের যা তারা সারাজীবন মনে রাখে। যেকোন বনভোজন, আউটিং, কিংবা খেলাধুলা, গান, আবৃতি এসব অনুষ্ঠানে তাকে উৎসাহিত করুন। তাকে জানিয়ে দিন যে এসব এ তার অনেক ভাল সুনাম হতে পারে। শিশুর মনে সকল ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের একটা জায়গা তৈরী করুন।
নিজের মত করে শিশুকে স্কুল লাইফ অনুভব করতে শেখান। শিশুরও মনে গেঁথে থাকবে আনন্দময় স্কুল লাইফ এর সব স্মৃতি।
লেখাটি পড়ে কেমন লেগেছে? ভাল লাগলে ফেইসবুক কিংবা যেকোন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। আর যদি ভাল না লাগে তবে আপনি কি ভিডিও দেখতে চান? তাহলে এই ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। খুব শীঘ্রই নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করা শুরু হবে।
মন্তব্যসমূহ