আমাদের ব্যস্তময় জীবনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শরীর ফিট রাখা। শরীর ফিট না রাখতে পারায় অনেকেই প্রান হারায় অল্প বয়সে। আবার অনেকেই নানান অসুখ বিসুখে ভোগেন।সাধারনত বিভিন্ন ব্যাথা এবং আলস্য ভর করে পুরো শরীরের উপর। সুসাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভাল অভ্যাস এবং কিছু উপায় মেনে চলতে হবে। দৈনিক আপনার কত ক্যালরী দরকার এবং কত ক্যালরী আপনি গ্রহন করছেন তারও হিসেব থাকা জরুরী। আসুন আমরা ছোট পরিসরে জেনে নিই কিভাবে শরীর ফিট রাখা যায়?
শরীর ফিট রাখা যায় যদি আপনি নীয়ম মেনে চলেন-
খুব ভোরে বাইরে বের হওয়া শরীর ফিট রাখায় সহায়কঃ
খুব প্রাচীন আর পরিচিত কথা হচ্ছে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাইরে হাঁটা কিংবা দৌড়ানো হচ্ছে শরীর ফিট রাখার প্রাথমিক পদক্ষেপ। হাঁটা কিংবা দৌড়ানো হচ্ছে সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম। যার ফলে শরীরের বেশিরভাগ পেশি নাড়াচড়ার সুযোগ পায়। তাছাড়া সকালে সতেজ বাতাসে গা ভাসিয়ে চলার আনন্দই আলাদা। এক্ষেত্রে একটু খোলা জায়গায় বেড়ানো ভালো।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
দ্রুত কিছু যন্ত্রপাতিবিহীন ব্যায়াম করুন, শরীর ফিট রাখায় এটা খুবই সহায়কঃ
সকালে আপনার জিমে যাওয়ার মত সময় না থাকলেও আপনি চাইলে খুব দ্রুত কিছু খালি হাতে ব্যায়াম করতে পারেন। এজন্য আপনার বাড়তি হয়ত ২০ মিনিট সময় লাগবে। এর ফলাফল খুবই কার্যকরী। খালি হাতে ব্যায়াম যেমন অন্তত ২০বার উঠবস করা, ২০ বার দুই হাত উপর নিচে ওঠানো নামানো এবং ২০বার বুক ডাউন ইত্যাদি।
পারিবারিক বন্ধন দৃড় করতে পুরো ফ্যামিলীকে নিয়ে একসাথে নাচানাচি করে বিনোদন করা যেতে পারেঃ
আমাদের পরিবার থেকে নানান ধরনের সমস্যা তৈরী হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এতে স্বাভাবিক জীবনে অশান্তি আসতে পারে। তাই পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে বিনোদনমূলক ব্যায়াম অথবা নাচ আপনার শরীর এবং মন দুটোকেই ফিট রাখতে পারে। পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় হয়।
সকালেই খাবার গ্রহন করুন, শরীর ফিট রাখতে প্রয়োজনীয় খাবারের কোন বিকল্প নেইঃ
সকালে খাবার গ্রহন করা উচিৎ। অনেকেই সকালে খুব খান কিংবা খেতেই পারেন না। এটা করা অনুচিত। সকালে প্রয়োজনমত খাবার গ্রহন করতে হয়। খাবারে অবশ্যই শাকসব্জী, ফলমূল সহ অন্ততঃ একগ্লাস দুধ থাকা উচিৎ।
প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহন শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
শরীর ফিট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবেঃ
পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীর ফিট রাখায় সহায়ক। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা জরুরী। এর চেয়ে বেশি পানি পান করতে পারলেও ভাল। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত এক গ্লাস পানি করে মোট আট থেকে বারো গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
মেডিটেশন করেও শরীর ফিট রাখা ত্বরান্বিত করা যায়ঃ
আজকাল অনেক সেলিব্রিটিও শরীর ফিট রাখার জন্য মেডিটেশন করছেন। যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন বা ধ্যান করলে মন প্রফুল্ল থাকে। মনের শান্তি থাকার উপর আমাদের শরীরের ক্রিয়া নিয়মিত হয়।
এছাড়াও ধুমপান বন্ধ করা কিংবা অ্যালকোহল থেকে মুক্ত থাকাও শরীর ফিট রাখতে সহায়তা করে।
মন্তব্যসমূহ