লক্ষী সোনা রাগ করোনা গানের কথা মনে আছে? আমরা রাগ করতে সবাইকেই নিষেধ করি। আবার সেই নিজেরাই রাগ করে বসি। অনেকেই বলে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও কি রাগ নিয়ন্ত্রন করা গেছে? রাগের কারনে ব্যক্তিগত জীবনে কি পরিমানে ক্ষতি হয় তা আর বলে বোঝানো যাবে না। তবে এই বিষয়ে নিশ্চয়ই সবাই জানেন যে রাগ কমানো যায়। অনেকেই রাগ কমানোর দোয়া পড়েন। তবে এসবের বাইরেও কিভাবে রাগ কমাবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

রাগের কারনঃ

রেগে যাওয়ার কারন খুবই সিম্পল। মনের সাথে অমিল বিষয়ে যখন জোর খাটান হয় তখনি রাগ ওঠে। মেজাজ খারাপ হয়। খিটমিট করতে থাকে। রাগ একটি অসুখও বটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে রাগ কে অ্যাংগার ডিজ-অর্ডার হিসেবে গন্য করা হয়। তবে সেটি মাত্রাধিক রাগ হিসেবে গন্য। রাগ করোনা বন্ধু, রেগে কেউ জেতেনি সিন্ধু! চলুন আরো কিছু রাগারাগি জানি।

কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান

লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন

By definition, in Intermittent Explosive Disorder, “the degree of aggressiveness expressed during an episode is grossly out of proportion to any provocation or precipitating psychosocial stressor”.

শুধুমাত্র রাগের কারনে কী কী পরিস্থিতির উৎপত্তি হতে পারে তা বলে বুঝান মুশকিল। এমন পরিস্থিতিও ঘটতে পারে যা প্রথম বার জীবনে ঘটছে। তাই রাগ নিয়ন্ত্রনে যত পদ্ধতি আছে তার প্রয়োগ আবশ্যকীয়।

রাগের মাত্রা কমানোর উপায়ঃ

রাগের মাত্রা একেক সময় একেক মানুষে কিংবা একেক বিষয়ে একেক রকমের হয়। তিনটি বিশেষ বিষয় রাগের কমবেশি নিয়ন্ত্রন করে। ১) ব্যক্তি ২) বিষয় ৩) সময়। তাই একেকজন মানুষ একেক রকমের রাগ প্রকাশ করেন। কেউ তীব্র রাগ দেখান আবার কেউ কোন রাগ প্রকাশই করেন না, ভেতরে রেখে দেন। এ ধরনের ব্যতিক্রমতার কারনে এর কন্ট্রোল অর্থাৎ রাগ ব্যবস্থাপনা(Anger Management) ভিন্ন হয়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি কোন মানসিক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে থেরাপি নেয়া হয়। তবু কিছু কমন বিষয় তুলে ধরছি।

  • রাগের সময় ভাবতে হবেঃ রাগ উঠেছে আর রেগে গেলেন ব্যপারটা তেমন নয়। রাগের সময় রাগ উঠার আগেই ভাবুন কেন রাগছেন? কারো ভুলের জন্য? নিজের জন্য? নাকি পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রনে নেই সেজন্য? যদি এসব কারনে হয় তবে ভেবে দেখুন কী ছিল এর বিকল্প কিংবা কী আছে এখন করার মত? আরো বেশি ভাবুন আর দেখবেন আপনার মন থেকে রাগ খুব বেশি এগোচ্ছে না।
  • রাগের সময় শারিরিক অবস্থানের পরিবর্তনঃ এই বিষয়টা জরুরী। মনকে স্থির কিংবা একদিকে নিয়ে আসার জন্য শরীরের সঞ্চালন দরকার। এজন্য রাগ উঠার সাথে সাথে হাঁটতে শুরু করে দিন। এদিক ওদিক। প্রয়োজনে উঠবস করেও দেখতে পারেন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। রাগ কমার সম্ভাবনা আছে।
  • রাগের কারন বের করার চেষ্টা করাঃ রাগ একটি আপেক্ষিক ব্যপার। এই রাগ সবসময় একই কারনে আসে না। তাই রেগে যাবার আগের মুহুর্তে ভাবুন আপনি কেন রাগছেন? রাগাটা আবশ্যক কি না।

সত্যি বলতে কোন ঔষধ নেই যা রাগ কমাতে পারে। রাগ কমানোর কৌশল ছাড়া আর কিছুই নেই একে দমানোর। যে যত রেগে থাকেন তার কাজের ভুল এবং দক্ষতা ততই কম হয়। যে যত রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারেন তার দক্ষতা ততই বৃদ্ধি পায়।

সাধারন একটি ব্যপার হচ্ছে রাগ আপনার কোন নিজস্ব ইচ্ছা নয়। একে পশুত্বের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। মানুষের ভেতরে যতটা পশুত্ব আছে ততটাই আসলে রাগ। হয়ত অনেকেই এটা মেনে নিতে পারবেন না, কিন্তু ভেবে দেখুন পশুরা নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রনে অক্ষম এজন্যই তারা পশু। অনুভুতি তাদের কোণ অংশেই কম নেই। বোধ হীন হয়েছে তখনি যখন তাদের বুদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়েছে।

রাগের সময় যা যা করা উচিত নয়-

১) রাগের মাথায় কোন ছোটখাট সিদ্ধান্ত নেয়াও উচিৎ নয়।

২) রাগের সময় কথা বেশি বলা বোকামী।

৩) রাগের বশে কারো অনধিকার হস্তক্ষেপ মেনে নিবেন না।

৪) কাউকে নিজের কাজে কথা বলতে দিবেন না।

৫) যে কোন ধরনের লেনদেন করা উচিৎ নয়।

রাগ সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত জানার জন্য অ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট জানুন। নিজের উপর প্রয়োগ করুন। দেখবেন জীবন অনেক সুন্দর লাগছে। রাগ করোনা, বলে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। কথাটি কিন্তু সত্যি, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় হচ্ছে

নিবন্ধন

লগিন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের সম্পর্কে

কিভাবে ইনফো - Kivabe Info

কিভাবে ডট ইনফো একটি বাংলা তথ্য শেয়ারিং সাইট। এএখানে আপনি নিজে যেমন জানতে পারবেন তেমনি চাইলে সবাইকে জানাতেও পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

যোগাযোগের জন্য

© কিভাবে ইনফো - Kivabe Info 2013-2022

Developed by: Behostweb.com

আপনি আমাদের সাথে একমত হয়ে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মানে আপনি আমাদের কুঁকি পলিসি গ্রহন করেছেন। পড়ুন প্রাইভেসি পলিসি . সব কুঁকি মেনে নিন