পাসপোর্ট নবায়ন করা অনেক সহজ একটি কাজ। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে যাবার আগেই নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। কিভাবে পাসপোর্ট নবায়ন করবেন? জেনে নিন সহজ কিছু প্রক্রিয়া। সাথে থাকছে যদি কোন কারেকশন করতে হয় তার জন্য গাইডলাইন।
পাসপোর্ট নবায়ন করতে হলে আপনার যাওয়া উচিৎ আঞ্চলিক অফিস এ। অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আঞ্চলিক অফিসে যাবেন। তার আগে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমান ফী জমা দিয়ে যাবেন। বিভিন্ন ব্যাংকে এখন ফী জমা নিচ্ছে। সোনালী ব্যাংক সহ, ঢাকা ব্যাংক ইত্যাদিতে ফী জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনেও ফী জমা দেয়া যায়। তবে রিইস্যু বা পাসপোর্ট নবায়ন এর ক্ষেত্রে অনলাইনে জমা দেয়া ঠিক নয়। ঝামেলা হতে পারে।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
কিভাবে পাসপোর্ট নবায়ন করতে হয়?
মূলত নতুন পাসপোর্ট আর পাসপোর্ট নবায়ন এর জন্য আবেদন এক নয়। আলাদা ফর্ম ব্যবহৃত হয়। নবায়নের ক্ষেত্রে কোন পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগে না। তাহলে কিভাবে পাসপোর্ট নবায়ন করবেন? আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গেলেই আপনি একটি আবেদন ফর্ম পাবেন। এর নাম রি-ইস্যু ফর্ম। দেখতে অনেকটাই নিচের ছবির মত। এই ফর্মটি চাইলে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ডাউনলোড [icon name=”cloud” padding=”0″ ]
ফরমটি ভালভাবে পুরন করে জমা দিলেই খুব দ্রুত আপনার পাসপোর্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে লাগে এক থেকে দুই সপ্তাহ। আর যদি জরুরী হয় তবে তিন থেকে চার কর্ম দিবস। পাসপোর্ট নবায়ন করা সত্যিই সহজ। কারন এতে কোন ছবি তোলার ঝামেলা নেই, নেই স্বাক্ষর গ্রহনেরও জটিলতা। যা কিছু আছে তা আগের অনুসারেই হবে। তবে যদি আপনি কোন কিছু পরিবর্তন করতে চান তাহলে নিচে আরো পড়ুন।
কিভাবে পাসপোর্ট কারেকশন বা তথ্য পরিবর্তন করবেন?
একই ফর্মে আপনি কি পরিবর্তন করতে চান তা লিখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বর্তমানে কী তথ্য আছে তা এক পাশে লিখতে হয়। অন্য পাশে নতুন তথ্য লিখতে হয়। নিচের ফর্ম দেখুন- দুপাশে দুটি আলাদা আলাদা চার্ট বা ছক আছে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রমান স্বরুপ কিছু দলিল দাখিল করতে হবে।
দলিল সম্পর্কে আগেই জেনে নিন। তা না হলে আপনাকে হয়রানির শিকার হতে হবে। অনেক জনে অনেক তথ্য দিবেন। আপনি কোথাও কান না দিয়ে নিচের তথ্য গুলো দেখুন। এটাই হচ্ছে আসল দরকারি দলিল। নিচের তথ্য সমূহ সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ অক্টোবর ২০১৬
পাসপোট(এমআরপি) রি-ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন এর নিয়মাবলী ও আবেদন ফরম
পাসপোর্ট নবায়ন এর জন্য এই ফরমটি পূরণ করে বর্তমান পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ সংযুক্ত করতে হবে এবং মূল পাসপোর্টটি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
তথ্য পরিবর্তন/সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমানপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
ক) সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও তাদের স্বামী/স্ত্রী, এবং সরকারি চাকুরীজীবির নির্ভরশীল ১৫ (পনের) বৎসরের কম বয়সী সন্তান সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অনাপত্তি সনদ (NOC) ওয়েব সাইটে আপলোড পূর্বক দাখিল করতে হবে।
খ) অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি ও তাদের স্বামী/স্ত্রী সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসরের সনদ জমা দিতে হবে।
গ) বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রি-ইস্যুর আবেদনের জন্য নিন্মরূপ কাগজপত্র প্রয়োজন।
ক্রঃনং | পরিবর্তনযোগ্য তথ্য | কাগজপত্র |
১. | ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, ড্রাইভার ইত্যাদি টেকনিক্যাল পেশা | শিক্ষাগত/পেশাগত সনদ |
২. | নিজের নাম/পিতা/মাতার নাম আংশিক পরিবর্তন | পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি সনদ বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত হলফনামার সাথে মিল রেখে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্মনিবন্ধন সনদ। |
৩. | নিজের নাম/পিতা/মাতার নাম পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন (এরূপ ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে) | (১) পিএসসি/ জেএসসি/ এসএসসি সনদ। শিক্ষাগত সনদ না থাকলে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত হলফনামা। (২) পুলিশ প্রতিবেদন (এর জন্য পূরণকৃত ১ কপি রি-ইস্যু ফরম ও ১ কপি সত্যায়িত নতুন আবেদন ফরম-ডিআইপি ফরম-১)। |
৪. | বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন/বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে | নিকাহনামা/ তালাকনামা (যেখানে যে টি প্রযোজ্য)। |
৫. | জন্ম তারিখ পরিবর্তন | পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি সনদ অনুযায়ী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ/ জাতীয় পরিচয়পত্র। |
৬. | স্থায়ী ঠিকানা | পুলিশ প্রতিবেদন (এর জন্য পূরণকৃত ১ কপি রি-ইস্যু ফরম ও ১ কপি সত্যায়িত নতুন আবেদন ফরম-ডিআইপি ফরম-১)। |
বিঃ দ্রঃ- রি-ইস্যুর আবেদনপত্র জমা এবং ইস্যুকৃত পাসপোর্ট গ্রহণের সময় পুরাতন পাসপোর্ট অবশ্যই সাথে আনতে হবে।
একটি গোপন তথ্য আছে, যদি কোন কারেকশন থাকে। তবে আপনাকে অবশ্যই একবার পাসপোর্ট হেড অফিসে আগারগাঁও এর ৮০৪ নং কক্ষে দেখা করতে হবে। এ নীয়ম কোথাও লেখা না থাকলেও বাস্তবিকভাবে এটাই করতে হয়। তা না হলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পাসপোর্ট হাতে আসে না।
মন্তব্যসমূহ