আমি যে শিরোনাম দিতে চেয়েছিলাম তা সেরকম মিলিয়ে লিখতে পারি নি। তবে মূল বিষয়টা হয়ত এই লেখায় বুঝাতে পারবো। ততক্ষণে আপনি শুধু মাথায় রাখুন, কিশোর বা টিনেজদের মনে নানান সময়ে নানান দুঃখ থাকে। এদের দুঃখের প্রকৃতি নানান ধরনের। সময় পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও সবগুলো দুঃখের আবার প্রকাশ প্রায় একই রকমের হয়। বেশিরভাগ প্রকাশই হতে দেখা যায় ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টুইটারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের বিচরণ নানান কারনে একটু বেশি হয়। তাই দুঃখ কষ্ট কিংবা মনের যা অভিমান সবই হয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। এটা খুবই ক্ষতিকর হতে পারে, যদি কেউ এর অপঃব্যবহার করে। তাই আপনার সন্তানের মঙ্গলের জন্য আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের কথাবার্তা- কিভাবে কিশোর বয়সী সন্তানের দুঃখ দূর্দশায় সহায়তা করবেন, বাবা মা হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব।

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে আপনিও যুক্ত হোন

আপনার সময়ে আপনি যখন একটা মোবাইল ফোনই ভালভাবে দেখেন নি, সেই একই সময়ের আগেই আপনার সন্তান সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এতে অবাক হবার কিছুই নেই। সময়ে প্রযুক্তি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই সময়ে বাচ্চারা হাতের কাছে যা পাবে তা ই তাদের দুনিয়া। আপনার অভ্যস্থ হতে সময় লাগলেও তাদের দুনিয়াটা এসবেই। জনপ্রিয়তার দিকে তাকালে শুধু কিশোর শিশুই নয়, প্রায় সব বয়সীদের হাতের কব্জি/মুঠো দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সহ ইন্টারনেটের নানান এ্যাপস। এখান থেকে বের হওয়া কঠিন। বরং ঢোকা সহজ। তাই আপনিও ঢুকে পড়ুন। তবে আপনার এই ঢুকে পড়া কখনোই যেন সময়ের অপচয় না হয়ে বরং আপনার সন্তানের পাশে থাকার ব্যবস্থা হয়।

কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান

লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন

কিশোরদের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরণ করুন, সোশ্যাল মিডিয়াতেও হতে পারে

বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব হতে পারে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার বড় অংশ। তবে সামনা সামনি বন্ধুত্ব এর পাশাপাশি ভার্চুয়াল জগতের বন্ধু হলে তা কাজের হতে পারে। সন্তান হিসেবেই লাইক ফলো কমেন্ট করুন, তাদের সোশ্যাল প্রোফাইলে আপনি অংশ নিয়ে নিতে পারেন। বাচ্চারা বাবা মায়ের সাথে অবশ্যই সব কিছু শেয়ার করে না। কিন্তু তাদের সাথে ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব রাখতে পারলে তারা সব কিছু না হলেও বেশিরভাগ অনুভূতি প্রকাশ করে। দুঃখে থাকলে জানাতে পারে, তারা দুঃখে আছে। যদি সামনাসামনি জানায় তবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা আর জানাতে হয় না। কিন্তু যদি আপনাদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ না হয়, বন্ধুত্ব না হয় তখন তারা চেপে থাকে। কষ্ট মুখ ফুটে বলে না। এর জন্য কাছাকাছি থাকা দরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন কিছু নজরে এলে তার সাথে কথা বলতে পারেন।

কিভাবে সামলাবেন কিশোর মনের দুঃখ হতাশা?

এতক্ষণ তো বললাম কিভাবে আপনি তাদের কাছ থেকে জানবেন তাদের মনে কী হচ্ছে। এর পরে কী করবেন? জানলেন যে আপনার বাচ্চা তার বন্ধুদের সাথে মিশতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কেউ তাকে খুবই দুঃখ দিয়েছে। এমতাবস্থায় আপনার করনীয় কী হতে পারে?

খুব সাধারণ বাবা মা হলে সব শুনে নিজের সন্তানকেই ধমক দিয়ে বসেন। অনেকে কড়া শাসনের আওতায় নিয়ে নেন। আর কোন বন্ধুই লাগবে না। বেশিরভাগ মা বাবা আগ বাড়িয়ে চলে যান অন্যের কোন বাচ্চা তার এই বাচ্চাকে কী বলেছে এসব নিয়ে ঝগড়া করতে। কিন্তু ভেবে দেখুন, আজ যা ঘটেছে তা তো প্রতিদিনও ঘটতে পারে। আপনার সন্তানকে প্রতিদিনই কেউ না কেউ কিছু না কিছু বলে দুঃখ দিতে পারে। তাই কোন ভাবেই সাংঘর্ষিক কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিৎ নয়। এতে বাচ্চাদের মন আরো খারাপ কিংবা হিংস্র হয়ে যেতে পারে।

তাহলে কিভাবে এই সব পরিস্থিতি সামলে নিবেন?

আপনার সন্তানের সাথেই কথা বলে সব কিছু মীমাংশা করতে হবে। শিশু যদি হঠাৎ বুঝতে না পারে তাহলে আপনাকে সেটা বুঝতে হবে। আপনিও যদি না বুঝতে পারেন, তখন অভিজ্ঞ কারো সহযোগীতা নিতে পারেন। কিন্তু এলোমেলো আর যাচ্ছেতাই একটা ফয়সালা করা যাবে না। আপনার সন্তান এখন আর ছোট নয় যে যা একটা বুঝিয়ে দিবেন। ছোটদেরও অযৌক্তিক কিছু না বুঝানো স্বাস্থ্যকর। তা না হলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের খুব ক্ষতি হতে পারে।

কিশোর বয়সীদের অনেক সমস্যা থাকে। প্রথমত তারা বাইরের পরিবেশে অনেক নতুন। তাদের সে সম্পর্কে আরো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে। যত বেশি অভিজ্ঞতা জানাবেন ততবেশি সে আরো বুঝতে শিখবে।

সব দুঃখের একটা সমাধান আছে- এই ধারনা দিন। দুঃখ হতাশা কিংবা বিষন্নতা এর সব সময় একটা নির্দিষ্ট কারন থাকে। অসফলতা তারও কারন থাকে। অসফলতা বা ফেইল করা সব মানুষেরই হতে পারে। একে সব সময় ইতিবাচক মনোবৃত্তি দিয়ে মোকাবেলা করার ধারনা দিতে হবে। আপনার সন্তানের বয়স বন্ধু বান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের সাথে মেলামেশার উপর ধারনা রাখুন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহী তারও ধারনা রাখুন। সব তথ্য একত্রে জুড়ে দিলে আপনার কাছে অবশ্যই একটা চিত্র সব সময়ই পরিষ্কার থাকবে। কেন আপনার কিশোর কিশোরী সন্তানেরা খুব খারাপ সময়ে পড়েছে, কিভাবে সেখান থেকে তাদের বের করবেন।

বাবা মায়ের সাহায্য অনেক সন্তানই মুখ খুলে বলতে পারে না। তবে সাহায্য পাওয়ার পর অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তারা এক সময় এও বুঝতে পারে, তাদের বাবা মা ই হচ্ছে এই পৃথিবীর একমাত্র সাহায্যকারী।

এরকম সুযোগ আপনি হারাতে পারেন, যদি তাদের নিয়ে খুব কঠোর থাকেন। যদি তাদের কথা কাজ কিংবা কোন স্ট্যাটাস নিয়ে বিদ্রুপ করেন। তাদের তিরঃষ্কার করেন। তাদের নিয়ে হাসি তামাশা করেন। তাদের স্বাধীনতা হরণ করেন। এক্ষেত্রে আপনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন কি না তা দেখার বিষয়।

যদি আপনার সন্তানের খুব খারাপ সময় পার করছে কিন্তু আপনি কোন সাহায্য করতে পারছেন না তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন। আশাকরি আপনাকে কিছু পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারব।

জনপ্রিয় হচ্ছে

নিবন্ধন

লগিন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের সম্পর্কে

কিভাবে ইনফো - Kivabe Info

কিভাবে ডট ইনফো একটি বাংলা তথ্য শেয়ারিং সাইট। এএখানে আপনি নিজে যেমন জানতে পারবেন তেমনি চাইলে সবাইকে জানাতেও পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

যোগাযোগের জন্য

© কিভাবে ইনফো - Kivabe Info 2013-2022

Developed by: Behostweb.com

আপনি আমাদের সাথে একমত হয়ে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মানে আপনি আমাদের কুঁকি পলিসি গ্রহন করেছেন। পড়ুন প্রাইভেসি পলিসি . সব কুঁকি মেনে নিন