কম্পিউটার হ্যাং হয়েছে, এরকম অভিজ্ঞতা সবারই আছে। অনেকেই কাজের মধ্যে ডুবে আছেন, এমন সময় কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেল? কিভাবে কম্পিউটার হ্যাং হয় তা জানা জরুরী। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হ্যাং হলে কিভাবে সারাবেন তার কিছু ধারনা দেওয়া যাক। অবশ্য অনেকেই আরো বেশি অভিজ্ঞ, তারা কম্পিউটার হ্যাং হলে নানান কায়দায় তার থেকে বেরিয়ে আসেন।এই লেখা তাদের জন্য যারা খুব বেশি দক্ষ নন।
কিভাবে কম্পিউটার হ্যাং হয়? কম্পিউটার হ্যাং হবার কারন
কম্পিউটার হ্যাং হলে সবার আগে ধারনা করা হয়, অনেক বেশি অ্যাপ্লিকেশন চালু করা। অর্থাৎ আপনি একই সাথে যদি নানান সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে বসেন তখন প্রত্যেকেরই চালু হবার জন্য একটা নির্দিষ্ট ভার্চুয়াল মেমরী দরকার হয়। এর জন্য যেহেতু একটি কম্পিউটারের মেমরী নির্দিষ্ট পরিমানে থাকে তাই নির্দিষ্ট পরিমান অ্যাপ চালু করলেই কম্পিউটার হ্যাং করে।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
পর্যাপ্ত র্যাম না কম্পিউটারে না থাকা হচ্ছে আসল কারন। কম্পিউটার চালনার জন্য একটা নির্দিষ্ট ভল্যুমের র্যাম দরকার হয়। যেমন উইন্ডোজ ১০ এর জন্য নির্দিষ্ট র্যাম হচ্ছে ন্যুনতম ১ জিবি কিংবা ২ জিবি র্যাম লাগে। নিচে দেখুন উন্ডোজ ১০ এর দরকারী সব সিষ্টেম কনফিগারেশন দেয়া হলো। যদি এর কম বা সমান সমান র্যাম ব্যবহার করেন তখন শুধু মাত্র উইন্ডোজ ভাল চলবে। কিন্তু আপনার অন্যান্য হেভিওয়েট অ্যাপ যেমন ফটোশপ সিএস ৬ বা তার পরের ভার্সন কিংবা মাইক্রোসফট ২০১৬ এসব হালের সফটওয়্যারগুলো চালু করলেই সিস্টেম হ্যাং হয়ে যেতে পারে।
উইন্ডোজ ১০ এর জন্য দরকারী সিস্টেম গঠন
Processor: | 1 gigahertz (GHz) or faster processor or SoC |
---|---|
RAM: | 1 gigabyte (GB) for 32-bit or 2 GB for 64-bit |
Hard disk space: | 16 GB for 32-bit OS 20 GB for 64-bit OS |
Graphics card: | DirectX 9 or later with WDDM 1.0 driver |
Display: | 800×600 |
কম্পিউটারে কোন ভাইরাস বা মেলওয়্যারের আক্রমনেও কম্পিউটার হ্যাং হয়। এর জন্য হ্যাং হওয়া কম্পিউটার এ অন্যান্য যত যন্ত্রাংশ সংযুক্ত করা হয় তার সবগুলোই ডিভাইস হ্যাং হয়। কিভাবে কম্পিউটার হ্যাং হয় বা হয়েছে জানার জন্য ডিভাইস লাগানোর আগের মূহুর্ত চিন্তা করুন।
সিডি, স্মার্টফোন, পেনড্রাইভ ইত্যাদি যুক্ত করা হলেও কম্পিউটার হ্যাং হয়। এর জন্য অনেক সময় মিসকনফিগারেশন দ্বায়ী থাকে।
সিস্টেম ড্রাইভার মিসিং বা আপডেটেড না হলেও কম্পিউটার হ্যাং হয়।
এছাড়াও অন্যান্য অনেক কারনে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে। যন্ত্রাংশের কোন সাময়িক ত্রুটি যেমন ব্লু-টুথ বা ওয়াফাই সেন্সর এর কোন সমস্যা থাকলেও কম্পিউটার হ্যাং হয়।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হ্যাং হলে কিভাবে সারিয়ে তুলবেন?
উপরের আলোচনায় এটা মোটামুটি বুঝতে পারা যায় কিভাবে হ্যাং হলে কম্পিউটার সারিয়ে তোলা যায়। তারপরেও আরেকটু বুঝিয়ে বলছি। কিভাবে কম্পিউটার হ্যাং হয় তা জানানোর সময় বলা হয় নি কম্পিউটার হ্যাং হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমন টাস্কবার এ ডান বাটন ক্লিক করে টাস্ক ম্যানেজার কিংবা Ctrl+Alt+Del প্রেস করে Task Manager নির্বাচন করে কিংবা ক্লিক করে দেখুন প্রসেস এ কোন কোন অ্যাপ চালু আছে। যদি দরকার নেই এমন কোন অ্যাপ দেখেন তখন তাতে ক্লিক করে End task করে বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে সাময়িক মেমরী বা জ্যাম হয়ে থাকা কম্পিউটার ভার্চুয়াল মেমরী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। স্টার্ট আপ ট্যাবে গিয়ে দেখতে পারেন কোন কোন অ্যাপ পিসি চালনার সাথে চালু হয়। চাইলে ডান বাটন নির্দিষ্ট অ্যাপের উপর ধরে Disable করে দিতে পারেন।
র্যাম যুক্ত করা হচ্ছে খুবই ভাল কাজ যদি আপনার পিসিতে আরো র্যাম সাপোর্ট করে। চাইলে আপগ্রেডেড ৮ বা ১৬ জিবি র্যাম লাগাতে পারেন। কারন উইন্ডোজ ১০ এ যারা আছেন তাদের অনেক হালের অ্যাপ কিংবা গেইম চালনা করতে গিয়ে র্যাম সংকট বেশি হয়।
সংযুক্ত কোন স্মার্টফোন কিংবা সিডি অথবা অন্য কোন যন্ত্রাংশ যদি সংযোগ করার পর হ্যাং হয় তবে খুলে ফেলুন। এছাড়াও অনেক সময় ক্র্যাকড সিডি অথবা অন্যান্য যন্ত্রাংশ পিসি স্লো করে দেয়। খুলে ফেলে দেখুন।
মেলওয়্যার বা ভাইরাস আক্রান্ত হলে হ্যাং হয় বারাবার। এক্ষেত্রে ভাল কোন এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। নিয়মিত স্ক্যান করুন।
সিস্টেম ড্রাইভার মিসিং বা মিসকনফিগারেশন হলে কোন একজন দক্ষ লোক দেখান। অথবা আপনি চাইলে কারন বের করতে পারেন। কোন ড্রাইভার বা ডিভাইস সমস্যায় আছে কি না জানতে টাস্কবারে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করুন। সেখান থেকে Device Manager নির্বাচন করে একটা একট করে ডিভাইস চেক করুন। নিচের চিত্রে ডিভাইস ম্যানেজার দেখানো হলো।
এভাবেই একটি কম্পিউটার হ্যাং হলে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
মন্তব্যসমূহ