একটি টি-শার্ট কিনে আপনি নিশ্চয় একবার পরেন না, বারবার পরার প্রয়োজন হয়। তাই একবার পরার পর সেটিকে আবার পরিষ্কার করতে হয়। পোশাকের পরিচর্যা বা পরিষ্কার করার অনেক পদ্ধতি আছে। যে কোন ভাবে পরিষ্কার করলেই হয় না, নীয়ম মেনে করতে হয়। এসব নীয়ম মেনে দৈনিক পোশাকের পরিচর্যা করা নিয়েই আজকের লেখাটি।
অবশ্যই জানা দরকার যে কোন টি-শার্ট ঠিক কোন পদ্ধতিতে ওয়াশ করতে হবে তা সম্পুর্ন নির্ভর করে সেটি কোন ধরনে ফেব্রিক দিয়ে তৈরী তার উপর। তবে এক্ষেত্রে নিয়ম বা পদ্ধতি মেনে না ওয়াশ করলে আপানার প্রিয় পোশাক সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যেতে পারে অথবা কোয়ালিটি হারিয়ে ফেলতে পারে। আপনি হতে পারেন ক্ষতিগ্রস্থ। পোশাক কেনা হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য একটি পীড়াদায়ক স্মৃতি।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
ভয় পাবার কারন নেই। যারা এই ফেব্রিক অথবা পোশাক তৈরি করেন তারা নিজেরা এই বিষয়ে সর্বশেষ গ্রাহক(ইউজার) কে একটি নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আর এটি দেয়ার আগে অবশ্যই তারা সেটি কয়েকবার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখেন। সর্বশেষ যদি কোন খারাপ কোয়ালিটি না পাওয়া যায় তবেই সেটা চুড়ান্তভাবে বাজারের উপযোগী ভাবা হয় এবং বাজারে ছাড়া হয়। এ নির্দেশিকা কে ইংরেজীতে কেয়ার কোড বলে। পোশাকের কেয়ার কোড নিয়ে জানাশোনা জরুরী।
কিন্তু আমি এখানে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে এসেছি তা হলো একজন সাধারন ইউজার কিভাবে তার ব্যবহারকৃত টি-শার্ট অথবা অন্য যে কোন পোশাক পরিষ্কার কিংবা ওয়াশ করবেন। আসুন আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাই- যেকোন একটি পোশাক কেনার সাথে সাথে আপনি কিন্তু একটি ওয়াশ ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশিকা ও পাবেন। যদি না পেয়ে থাকেন তবে সেই পোশাক কেনা ঠিক হবে না। এই ইনস্ট্রাকশন দেয়া লেবেল যেটি পোশাকের সাথেই সেলাই করে লাগানো থাকে, একে বলে কেয়ায় লেবেল। এই ইনস্ট্রাকশন কে বলা হয় কেয়ার ইনস্ট্রাকশন। কেয়ার ইনফো বলেও অনেকে চিনে থাকেন।
একটি বিষয় নিশ্চয় আপনি বলবেন, এটা তো সিম্পল তবে আবার এত করে বুঝানোর কী আছে? হ্যাঁ সিম্পল তো অবশ্যই। কিন্তু এই কেয়ার লেবেলে তেমন কোন বর্ননা থাকে না। থাকে কিছু সিম্বল। এই সিম্বল অনেকেই চিনেন না। সিম্বল পরিচিতি জেনে নিবেন।
সিম্বল পরিচিতি জেনে গেলে আর তেমন একটা কাজ বাকী থাকে না। কিন্তু এই বিষয়টি অবশ্যই একজন ইউজারকে মেনে চলতে হয়। যদি কেয়ার লেবেল অনুসরন না করা হয় তবে কাপড়ের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমন কি ছিড়ে যাওয়া সহ হেয়ারি ইফেক্ট চলে আসতে পারে।
সঠিকভাবে দৈনিক পোশাকের পরিচর্যা নেওয়ার জন্য অবশ্যই নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করা দরকার। কেয়ার ইনফো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা থাকা দরকার।
সাধারন দৃষ্টিতে আমরা দুই ধরনের কাপড় ব্যাবহার করে থাকি। একটি হলো ওভেন ফেব্রিক আরেকটি হলো নীট ফেব্রিক। কিন্তু এ ছড়াও আরো অনেক ধরনের ফেব্রিক ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। ব্লাঙ্কেট এবং ফেল্ট কনষ্ট্রাকশনের ফেব্রিক ব্যবহার হয় বিভিন্ন কাজে। জ্যাকেট এবং কিছু চামড়া জাতের সাথে ফেব্রিক মিক্স আপ করে তৈরি হচ্ছে অসাধারন কিছু ফেব্রিক এবং পোশাক।
তার মধ্যে একেক ক্যাটাগরিতে আবার কয়েকটি করে আছে। যেমন ১০০% কটন, ৬০% কটন + ৪০% পলিয়েষ্টার(সিভিসি), ১০০% পলিয়েষ্টার, ১০০% ভিসকচ(Viscose) ইত্যাদি। এই ভাবে ভাগ করাকে বলে কম্পোজিশনের ভিত্তিতে শ্রেনী বিভাগ। স্পান্ডেক্স জাতীয় আছে, অর্থাৎ ইলাষ্টিসিটি যুক্ত ফেব্রিক।
এই ফেব্রিকের উপরেই নির্ভর করে কোনটা গরম পানি দিয়ে ধোয়া যাবে কোনটা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবে একজন ইউজার কখনোই বুঝতে পারার কথা নয় যে কোন ড্রেস কোন কম্পোজিশনে তৈরি। তাই কেয়ার লেবেলের উপর নির্ভর করতে হয়।
তাই একেক ফেব্রিক কে একেক নীয়মে ওয়াশ করে তবেই ভাল স্তায়ীত্ব পাওয়া যায়। পোশাক সর্বদাই প্রিয় একটি ব্যপার। নিত্য নতুন পোশাক কিনলেও আমাদের কাছে বর্তমানে পরছি এমন পোশাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। মূল্য আর কোয়ালিটি বিবেচনা করে পোশাকের কম্বিনেশন কালেক্ট করা অনেক কষ্টের। এই কষ্ট কম হতে পারে যদি ঠিক পদ্ধতিতে পোশাকের ওয়াশিং বা পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।
অনেকেই হয়ত ড্রাই ক্লিনিং সম্পর্কে জানেন। যেসব পোশাক পানি দিয়ে ওয়াশ করা যায় না সেগুলোকে ড্রাই ক্লিনিং করতে হয়।
আশাকরছি আপনারা জরুরী কিছু তথ্য পেয়েছেন। এই পোষ্টে লেখা হয়নি এমন কিছু তথ্য আপনি জানতে চাইতে পারেন। আপনার জিজ্ঞাসা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। আমাদের টীম সবসময় সেসব জিজ্ঞাসু চিন্তাকে গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী পথে এগোয়।
পোশাকের সম্পর্কে আপনি যে কোন গাইডলাইন কিংবা তথ্য জানার জন্য এই সাইটের যোগাযোগ ফর্ম অথবা ফেইসবুক ফেইজ ইউজ করতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ