ঈদ মানেই আনন্দ আর ঈদ মানেই খুশি। সবার মাঝে ঈদ একই সময়ে এলেও তা এক রকমের হয় না। একেক মানুষের ঈদ একেক রকমের হয়। সবার ঈদেই কিছু না কিছু আনন্দ থাকে। নজরুল ইসলামের সেই অমর সংগীত “ওমন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”। সেই ঈদ নিয়ে আয়োজন প্রস্তুতি থাকে অনেক। একেক মানুষের ঈদের দিনের প্রস্তুতি নেয়া যেন অনেক ঝক্কিঝামেলার কাজ, আবার একেক মানুষের ঈদের দিনের প্রস্তুতি নেয়া খুবই সিম্পল। তো চলুন জানা যাক আপনার কেমন হতে পারে?
ঈদ হোক উৎসব মূখরঃ পরিকল্পনা থাকুক সবচেয়ে ভাল কিছুর
ঈদ নিয়ে সবার চিন্তাভাবনা থাকে অনেক আলাদা। নানান পরিকল্পনা থাকে। ঈদের দিন কিভাবে কী কী আয়োজন করবেন সেজন্য থাকে অসংখ্য চিন্তাভাবনা। এসব কিছুর জন্য ঈদের দিনকে আরো উৎসব মূখর করতে একটা সুন্দর পরিকল্পনা নিন। সকাল বিকাল কিংবা দুপুর রাত কখন কী করবেন তার জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা থাকা উচিৎ।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
ঈদের শপিংঃ ঈদের দিনের জন্য শপিং করুন নিশ্চিন্তে
বাঙ্গালীর জীবনে ঈদ হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ন। একমাত্র ঈদের সময়েই সবাই বেশি বেশি কেনাকাটা করেন। এদেশের ব্যবসা বানিজ্য সব কিছুই আয়োজন করা হয় ঈদকে ঘিরে। পোশাক কিংবা জুয়েলারী সব ফ্যাশন চমক বের হয়ে আসে একমাত্র ঈদেই। তাই ঈদের বাজার ভাল করে ঘুরে দেখতে সবাই চায়। বেশ ঘুরে ফিরে শপিং করে মনের মত ফ্যাশন স্টাইল নিয়ে ঘরে ফেরা চাই সব বয়সীদের। অনেকেই আবার ঠিক চাঁদ দেখে তবে ঈদের শপিং এ যান। চাঁদ রাতে ঈদের কেনাকাটা করতে ভাল লাগে অনেকেরই। যেহেতু ঈদ পুরো সময়টাই একটা উৎসবের তাই চাঁদ রাতে ঈদের কেনাকাটা হতেই পারে। কিন্তু অস্থির হয়ে কেনাকাটা করা চলবে না। নিশ্চিন্ত মনে কেনাকাটা করুন। নিজেদের জন্য কিনুন।
ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহ বেছে নিন
অনেক সময় এমন হয় ঈদের নামাজ পড়ার জন্য জায়গা পাওয়া মুশকিল, তাই আগেভাগেই নির্দিষ্ট করে নিন কোন ঈদগাহে আপনি নামাজ পড়বেন? আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধব যেখানে বেশি যায় সেখানেও নামাজ পড়তে পারেন।
কোন সময়ে নামাজ শুরু হবে তার সম্পর্কে জেনে নিন। অনেক ঈদগাহ আছে যেখানে খুব ভোরে ঈদের জামাত শুরু হয়। আবার অনেক ঈদগাহ আছে যেখানে কিছুটা দেরীতে শুরু হয়।
খাবারের তালিকা নির্বাচন করুনঃ ঈদের দিনের প্রস্তুতি নেয়ায় খাবারের মধ্যে ভিন্নতা আনুন
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঈদের দিনের প্রস্তুতি নেয়া মানে হলো খাবার দাবার নিয়ে প্রস্তুতি। জামা পোশাক আর খাবার হলেই হলো ঈদ উৎসব জমে গেলো। এর জন্য আবার তালিকার কী দরকার? না, খাবার তালিকা বানানোর দরকার আছে। কারণ ঈদ চলাকালীন খাবার খেয়ে অনেক মানুষ অসুস্থ্য হয়ে যান। ফুড পয়জনিং এর মাধ্যমে অনেকেই নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন। তাই খাবারের দিকে আলাদা নজরদারী দরাকার আছে। সব খাবারই খেতে যাবেন না যেন। তেল এর ব্যবহার কমিয়ে দিলে ভাল হয়।
এছাড়াও সব ধরনের সেমাই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। উন্নত সেমাই হলে খেতে পারেন।সেমাই এর বেলায় আমি গুরুত্ব দেই ঘরে বানানো সেমাই। অনেকটাই ভালো। মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব কম খেলে ভাল হয়।
ঈদের দিনের প্রস্তুতি নিতে দাওয়াত দিন বন্ধুবান্ধব আত্মীয়দের
ঈদের দিনে দাওয়াত দেন সবাই। এসব সময় খুব ঘনিষ্ঠ না হলে কেউ বেড়াতে যায় না। প্রানপ্রিয় বন্ধুবান্ধব বাড়িতে না এলেও নানান লোকেশনে আড্ডা দিতে ঠিকই আসে। সেসব মাথায় নিয়ে সবাইকে দাওয়াত দিন। নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হোন যেখানে আপনি যাবেন বলে কথা দিলেন। এসব কিছু ম্যানেজ করার জন্য আপনার ফোনের ক্যালেন্ডার এ্যাপ ব্যবহার করুন। তাহলে সময়মত ঠিক জায়গায় যেতে অসুবিধা হবে না।
ঈদের দিনের প্রস্তুতি নিতে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন
না আপনি যা ভাবছেন তা আমি বলছি না, ডিজে পার্টির কথা বলছি না। নিজেদের মতো ঘরোয়া কিছু আয়োজন করুন। যাতে সবার মনে কিছুটা বাড়তি আনন্দ আসে। হতে পারে ঘরোয়া খেলাধুলা, দাবা কিংবা হতে পারে সাংস্কৃতিক কোন কিছু। যাতে পরিবারের ছোট বড় সবাই যোগ দিতে পারে।
ঈদের দিনকে স্মরনীয় করে রাখতে পারেন
আয়োজন যা ই হোক, একটি সুন্দর ঈদের দিনের জন্য অনেকেই প্রত্যাশায় থাকেন। আপনার প্রস্তুতি এমন হওয়া উচিত যা সবাই অনেক দিন মনে রাখবে। এমন একটি ঈদ আয়োজন করতে পারলে আপনি নিশ্চিত আনন্দিত হবেন।
Image by WAQAR AHMAD from Pixabay
মন্তব্যসমূহ