কটন শব্দটির অর্থ তুলা। তুলা থেকে যে সুতা হয় তাকেই কটন সুতা বলে। এই সুতা দিয়ে তৈরি পোশাক পরতে অনেক বেশি আরাম। তবে আমাদের দেশের বিজ্ঞ দোকানীরা সব কিছুকেই কটন বলে মিলিয়ে ফেলেন। না জেনে অনেকেই ক্রেতার কাছে মিথ্যা বলেন। কটনের দাম অন্য অনেক ফাইবারের চেয়ে বেশি হওয়ায় এর বিকল্প সিনথেটিক অনেক ফাইবার আজকাল ব্যবহার হয়ে আসছে। এসব কারনে বাজারে এমন কিছু সুতার পোশাক আছে যেটা গায়ে দিয়ে গরমের দিনে দুই মিনিট স্থির থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। অনেকেই তাই কটন সুতা পচন্দ করেন। কারন গরম কিংবা ঠান্ডা যেই কোন সময়েই এই কাপড় পরা সুবিধাজনক।
বুঝবেন কিভাবে যে এই পোশাক কটন সুতা দিয়ে তৈরি?
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
এটা বুঝতে হলে আপনি কয়েক ধাপ পদ্ধতি অনুসরন করেই পারবেন। তবে সব চেয়ে সহজ যে পদ্ধতি আছে তাকে physical পদ্ধতিও বলা হয়। এপদ্ধতিতে আপনি শুধুমাত্র আগুনের সাহয্যেই পরীক্ষা করতে পারবেন। আর সে জন্য, যে কোন একটি অংশের একটি সুতা টেনে বের করে আনুন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, সেলাই সুতা যেন না নিয়ে আসেন। কারন সেলাই সুতা কটনের নয়। সেটা পলিয়েষ্টার দিয়ে তৈরি।
দিয়াশলাইয়ের মাধ্যমে আগুন জালিয়ে সেই সুতার একটু পোড়ান, লক্ষ্য করুন যদি আগুন ধীরে জ্বলে এবং ফুঁ দিয়ে নেভানোর পর ছাই স্বাভাবিক হয় তবে নিশ্চিত হবেন যে সেই সুতা কটনের তৈরি।
আর যদি আগুন তীব্র হয়ে লাফিয়ে যায় কিংবা ছাই দানা বেধে যায় তখন বুঝবে সেটা সিনথেটিক কিংবা মিক্সড।
আরেকটি পদ্ধতি আছে, এই পদ্ধতি ল্যাবরেটরী পদ্ধতি। এর জন্য দরকার –
১। সালফিউরিক এসিড দ্রবন ( ৭০%)
২ বীকার
৩। নাড়ানী
৪। সুতা
এই পদ্ধতিতে সালফিউরিক এসিডের ৭০% দ্রবন নিতে হয়, এবং সেই দ্রবনে কিছু সময় সুতা রেখে নাড়ন কাঠি দিয়ে নাড়তে হয়। এতে করে যদি পরিক্ষীত বস্তু কটোনের হয় তবে গলে দ্রবনের সাথে মিশে যাবে, আর যদি অন্য কোন ফাইবার হয় তবে সেটি ওই রকম থেকে যাবে।
একটি কথা মনে রাখবেন, কটন সদৃশ কিছু ফাইবার আছে, যা প্রকৃত পক্ষে কটন নয়, যেমন (Viscos). তবে রাসায়নিক গঠনের দিক থেকে এরা একই গঠনের হয়। অর্থাৎ এই দু’টি ফাইবার সেলুলোজিক ফাইবার। একটি তুলা থেকে অন্যটি বাশ, বেত, কাঠ এসব থেকে হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ