এমন তো প্রায়-ই হয় যখন আপনি ভুলে যান লক করা ফোনের পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন অথবা পিন। এক্ষেত্রে এন্ড্রয়েড ফোনের বেলায় ঝামেলা বেশি। খোলা যায় না বললেই চলে। তবে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরন করে সফল হওয়া যায়। আমি তাই পদ্ধতি গুলো বলছি।
ডিভাইস ম্যানেজারঃ গুগলের ডিভাইস ম্যানেজার একটি মারাত্মক সাহায্যকারি সাইট। সেখানে আপনার যদি গুগল একাউন্ট অথবা জিমেইল আইডি থাকে তবে মোবাইলে গুগল ডিভাইস ম্যনেজার ইনস্টল করে নিয়ে খুব সহজেই মোবাইল্ কে পিসি অথবা অন্য কোন ডিবাইস থেকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। যা করা যায় তা হল- রিং করা – ইরেজ/মুছে ফেলা- নতুন লক করা।
কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান
লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন
নতুন লক করে আগের প্যাটার্ন/পাসওয়ার্ড/পিন বাদ দেয়া যায়।
মুছে ফেললে একেবারে ফ্ল্যাশ এর মত হয়ে যাবে। এন্ড্রয়েড ফোনের কিছুই থাকবে না । আবার নিউ সেটিংস।
যা যা প্রয়োজনঃ মোবাইলে ইন্টারনেট থাকতে হবে, ওয়াইফাই এনাবল্ড থাকলে খুব ভাল। তবে ডাটা এনাবল্ড থাকলেও হবে।
গুগল ডিভাইস ম্যানেজারে ক্লিক করে এখনি চালু করে নিন।
নতুন ফ্ল্যাশ ঃ এটা সর্বশেষ পদক্ষেপ। কিন্তু যদি ইন্টারনেট সংযোগ কোন ভাবেই না পাওয়া যায় তবে এর সাহায্যে খুলতে হবে। এক্ষেত্রে আগের তেমন কিছুই পাওয়া যাবে না। ডাটা সব ডিলিট।
গুগুল একাউন্টঃ লক হয়ে যাওয়া এন্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে আপনি গুগলের ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে ট্রাই করলেও খুলে যায়। তবে ইন্টারনেট কানেকশন এখানে আবশ্যক।
সতর্কতাঃ আমার জানামতে সহজে লক খুলে ফেলার উপায় হল গুগল ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড। তাই মোবাইলে ইন্টারনেট থাকা জরুরী। যখনি মোবাইল কিনবেন তখনি গুগলের একাউন্ট সেটাপ করুন। এর পর ডিভাইস ম্যানেজার দিয়ে টেষ্ট করে দেখুন পিসি থেকে অথবা অন্য ডিভাইস থেকে কন্ট্রোল হচ্ছে কিনা। চুরি যাওয়া মোবাইল খুব সহজে উদ্ধার করে ফেলা যায় এই ডিভাইস ম্যানেজার দিয়ে। সেক্ষেত্রে চুরি যাবার সাথে সাথে ডিভাইস ম্যানেজারে ঢুকে লক করে দিতে হবে। তার পর লোকেশন দেখতে হবে। যদি আশে পাশে লোকেশনে হয় তবে রিং বাজাতে হবে, তবে সাইলেন্ট থাকলেও ফোন বেজে উঠবে এবং সনাক্ত করা যাবে। গুগলের এই সাইটে এখন পর্যন্ত রিং করা, লক করা, ইরেজ/ডিলিট করা আছে। ডিলিট করা হলে তা আর ডিভাইস ম্যানেজার দিয়ে পাওয়া যাবে না।