পেশা নির্বাচন, ক্যারিয়ার গাইড

মানুষের মধ্যে সারাদিন যে বিষয়টি চিন্তার উদ্রেক করে তার নাম পেশা বা ক্যারিয়ার। অনেকেই ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে পড়ে থাকেন। পড়তে পড়তে ভুলেই যান আবার কোথা থেকে শুরু করবেন। বেশির ভাগ মানুষ তাদের পেশা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন। অল্প কিছু মানুষই আছেন যারা নিজের নির্বাচন করা পেশা বা ক্যারিয়ার নিয়ে অনড় থাকেন। সব শেষে ঐ পেশাতেই জীবন অতিবাহিত করেন। অনেকেই আছেন ছাত্র অবস্থায় যে প্ল্যান নিয়ে শুরু করেছিলেন তা কর্ম জীবনে এসে পরিবর্তন করে ফেলেছেন। এসবের অনেকে কারন আছে। আজ পেশা নির্বাচন করা নিয়ে কিছু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করছি।

পেশা নির্বাচন করার আগে ক্যারিয়ার ট্রেন্ড নিয়ে ভাবুন

খুবই গুরুত্বপূর্ন কথা হচ্ছে পেশা নির্বাচনের আগে আমরা শুধু বর্তমানের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করি। অদূর ভবিষ্যতে কী হতে পারে বা ট্রেন্ড কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত নই। এজন্যই ছাত্র ছাত্রীরা অনেক ভাল রেজাল্ট করার পরেও খুব নিম্ন লেভেলের পেশায় নিয়োজিত হন। আবার অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেন। কারন তার পেশা নির্বাচন ভূল ছিলো। পেশা নির্বাচন করার আগে অন্তত এখন থেকে আরো ২০ বছর আগের এবং পরের অবস্থা নিয়ে চিন্তা করুন। কোন ক্যাটেগরি কোন দিকে যাচ্ছে? খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আপনার কাংখ্যিত পেশার ক্যাটেগরি। সিদ্ধান্ত নেবার সময় অনেক ইতিবাচক নেতিবাচক দিক চিন্তা করা উচিৎ। নির্বাচন করার পর আর পরিবর্তন করা ঠিক নয়। যদি নির্বাচন করায় কোন ভূল ধরা পড়ে তখন তা পরিবর্তন করা যেতে পারে।

কিভাবে ইনফো এ লিখুন লেখক হয়ে সবাইকে কিছু তথ্য জানান

লেখালেখি করে আপনি জিততে পারেন আকর্ষনীয় পুরষ্কার! বিস্তারিত দেখুন

পড়াশুনা শুরুর আগে পেশা নির্বাচন করুন

প্রাইমারি লেভেলের পড়াশুনা শুরুর দিকেই ক্যারিয়ার চিন্তা থাকা ভাল। কিন্তু তখন আপনার নিজের ম্যাচুরিটি না থাকায় এই বিষয়টি মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে নেয়া যেতে পারে। আমি মনে করি নবম শ্রেনীতে পড়ার সময় পেশা নির্বাচন করে পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। এখান থেকেই শুরু হয় বিভাগ নির্বাচন। বিজ্ঞান, ব্যবসা, মানবিক। আপনি যে পেশায় যেতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী নির্বাচন করুন। পেশা নির্বাচন করা আবশ্যিক। এক্ষেত্রে পরিবারের অভিজ্ঞ কেউ সাথে থাকলে অনেক ভাল হয়। যৌক্তিক পদ্ধতিতে পেশা বাচাই করুন। যাচাইবাচাই না করে পেশা নির্বাচন করা উচিৎ নয়। পড়াশুনা করার সময় পেশার দিকে নজর দিতে হবে।

পেশা নির্বাচন এর পর সেই পেশাজীবিদের সাথে কিছু সময় ব্যয় করুন

যে পেশায় যাবেন বলে ঠিক করেছেন তাতে কেমন দায়িত্ব পড়বে তার ধারনা নিয়ে নিতে পারেন। সম্ভব হলে পেশা নির্বাচনের পর ঐ পেশার কারো সাথে এক বা দুই দিন কাজ করে দেখা যেতে পারে। এটা অনেক বেশি ফলপ্রসু। তখন পড়াশুনায় নিজেকে সাজিয়ে নেয়া যায়। সিরিয়াসনেস হওয়া যায়।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের প্রথম সারির পছন্দ হচ্ছে ডাক্তারি পড়া এবং ডাক্তার হওয়া। কিন্তু কেউই অন্তঃত একদিন ডাক্তারের সাথে সময় দিয়ে বুঝে দেখেন নি কিভাবে একজন ডাক্তার কাজ করেন। কিংবা কোন ইঞ্জিনিয়ার, উকিল অথবা অন্য পেশা। শুধু নির্বাচন করাই শেষ নয়। আপনার সাথে কেমন হবে সেই পেশা তা দেখা উচিৎ।

পেশা নির্বাচন করে নিজেকে সেই পেশার জন্য গড়ে তুলুন

আপনি নিশ্চয় পড়াশুনা করা শুরু করছেন নিজের নির্বাচন করা পেশাতে জায়গা পাবার জন্য। কিন্তু মনে রাখুন, কোন পেশাই সফল হয় না যদি ভাল স্টাডি না থাকে। পড়াশুনা পড়াশুনা, সাথে দরকার অভিজ্ঞতা। এজন্য সব দিকে নজর দিতে হবে। সর্বশেষ প্রযুক্তি দেখতে হবে। পড়াশুনা করার ক্ষেত্রে শুধু একাডেমিক কারিকুলামে পড়ে থাকলে হবে না। খুঁজতে হবে যত সোর্স পাওয়া যায়। অভিজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ থাকতে হবে। সবার আগে এবং পরে যে কথাটা তা হচ্ছে শিখতে হবে। মনে রাখুন- পেশা নির্বাচন করাই আসল কথা নয়, কাজ করে দেখানোই হচ্ছে আসল।

অভিজ্ঞদের সাথে জ্ঞান আদান প্রদান করতে পারেন,  নির্বাচিত পেশা আরো সহজ হবে

আমাদের দেশের যারা জুনিয়র ছাত্র কিংবা চাকুরে তারা সিনিয়রদের সাথে কথা বলেই শুধু চাকুরী চেয়ে। ভাইয়া একটা চাকুরী দেন, অথবা আপনি একটু চেষ্টা করে দেখুন না! এক সময় কাজ হতো। তখন এত মানুষ ছিলো না। রেফারেন্স দিলেই চাকুরী হতো। এখন রিকমেন্ডেশন লাগে। রেফারেন্স নয়। অর্থাৎ আমি কাউকে কোন পোষ্টে দিতে গেলে আমার রিকমেন্ডেশন করতে হবে, মোটামুটি গ্যারান্টি টাইপের। তাহলে বুঝুন, কে নিতে চায় এত ঝামেলা? যখন জুনিয়র কেউ মাঝে মধ্যে যোগাযোগ করে শুধু কিছু গৎ বাঁধা বাক্যে- “চাকুরী চাই, দিন না”! কিছুই করার থাকে না।

অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলুন রিলেটেড বিষয়ে। আপনি রিলেটেড বিষয়ে ছোটখাট তথ্যও জানতে চাইতে পারেন। আপনার ধারনা জানাতে পারেন। যে কেউ এসব আলাপে আপনাকে সাহায্য করবে। কখনোই বলবে না যে এসব নিয়ে আলাপ করো না। সিনিয়র যদি সেই বিষয়ে না জানেন তবে তার উপকার হবে, তিনি জানার চেষ্টা করবেন। এভাবেই আপনি অভিজ্ঞদের কাছাকাছি যেতে পারেন। পেশা জগতে এসবের অনেক ভ্যালু থাকে। আপনাকে কোথাও রিকমেন্ড করতে সেই সিনিয়রের খুব চিন্তা করতে হবে না।

সিনিয়রদের হাতের নাগালে থাকুন। এমন নয় যে সবাই আপনাকে রিকমেন্ড করবেন। কেউ না কেউ তো করবেন।

এছাড়াও অনেক বিষয় আছে যা আপনি পেশা নির্বাচনের পর যখন সেই পেশা নিয়ে স্টাডি করবেন তখন জানতে পারবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে প্রশ্ন করুন।

ক্যারিয়ার গাইড, পেশা নির্বাচন

Save

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় হচ্ছে

নিবন্ধন

লগিন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের সম্পর্কে

কিভাবে ইনফো - Kivabe Info

কিভাবে ডট ইনফো একটি বাংলা তথ্য শেয়ারিং সাইট। এএখানে আপনি নিজে যেমন জানতে পারবেন তেমনি চাইলে সবাইকে জানাতেও পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

যোগাযোগের জন্য

© কিভাবে ইনফো - Kivabe Info 2013-2022

Developed by: Behostweb.com

আপনি আমাদের সাথে একমত হয়ে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, এর মানে আপনি আমাদের কুঁকি পলিসি গ্রহন করেছেন। পড়ুন প্রাইভেসি পলিসি . সব কুঁকি মেনে নিন